গ্রামীনফোন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি। প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করছে। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লাভজনক প্রতিষ্ঠান ও বটে। সবচেয়ে বেশি রাজস্বও প্রদান করে সরকার কে।
কিন্তু এই কোম্পানী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দূর্নিতীবাজ কোম্পানীও বটে।
গ্রামীনফোন এদেশের সরকার, টেলিভিশন চ্যনেল, সংবাদপত্র এমনকি দেশের বিভিন্ন নামকরা ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে কিনে রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠান একদিকে যেমন এদেশের মানুষের টাকা চুষে নিচ্ছে অন্যদিকে এদেশের যুব সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কোন মিডিয়া বা সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়না। কারন মিডিয়া এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট না প্রকাশ করা বাবদ প্রচুর টাকা ঘুষ খায়। তাছাড়া কোন বিরুদ্ধ রিপোর্ট যদি কোন টিভি চ্যনেল বা সংবাদপত্র প্রকাশ করে তারা এই কোম্পানীর বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত হয়।
দৈনিক প্রথম আলো এতো বড় বড় বুলী আওড়ায় তারাও শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়। এদেশের যে কোন স্থানে যদি একজন ব্যক্তিও অবস্থান বা অনশন ধর্মঘট করে তার ছবি এবং সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ পায়। কিন্তু দৈনিক প্রথম আলো যে মুহুর্তে সবাইকে শপথ করিয়ে বেড়াচ্ছে, উচ্চ কন্ঠে শপথ করাচ্ছে যে, নির্ভয়ে সত্য কথা বলা, এদেশের জন্য ভালো কিছু করা, মানুষের জন্য কিছু করা, ঠিক সেই মুহুর্তে ঢাকার গুলশানস্থ গ্রামীনফোনের প্রধান নির্বাহীর অফিসের সামনে কিছু যুবক অনশন করছিল, তাদের খবর একদিনও কোন মিডিয়া প্রকাশ করেনি। সাংবাদিকরা এসেছিল তাদের ছবি তুলে নিয়ে যায়, ভিডিও করে নিয়ে যায়, তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনে, কিন্তু চ্যনেল বা পত্রিকায় প্রকাশ পায়না। সাংবাদিকরা এই অনশনকে তৈরি করে নিজেদের পকেট ভারী করার একটা অস্ত্র।
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো ভাবছেন এই অনশনকারী যুবকগুলো কারা। এরা হলো গ্রামীনফোন থেকে ছাটাইকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারী। গত একবছরে গ্রামীনফোন প্রায় একহাজার কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ছাটাই করে। এরা এই কোম্পানিতে ১ থেকে ৪ বৎসর পর্যন্ত চাকুরী করেছিল। এদের মধ্যে অনেকের চাকুরীতে আবেদন করার বয়স শেষ হয়ে গিয়েছে। এরা বিটিআরসির চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি পেশ করেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করেছে, তাতেও কোন কাজ হয়নি । গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে কথা বলবে এ সাহস কারো নেই। এভাবে এই কোম্পানী এদেশের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।
গ্রামীনফোন একটি বিদেশী কোম্পানী। আমরা অনেকে মনে করি এটি ডঃ ইউনূসের কোম্পানী। কিন্তু না। এতে ডঃ ইউনূসের খুবই সামান্য শেয়ার আছে। শেয়ারের যেসব শর্তাবলী তাতে ডঃ ইউনূস লভ্যংশ পায় কিনা সন্দেহ। মূল কোম্পানী নরওয়ের এক ইহুদী কোম্পানী নাম 'টেলিনর'। একসময়ে আমাদের ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বেনিয়ারা যেমন ব্যবসা করতে এসে এদেশ শাসন করেছিল, তেমনই এই ইহুদী কোম্পানীটি এদেশে ব্যবসা করতে এসে এদেশ শাসন করছে। এদেশর টাকা চুষে নিয়ে বিদেশ পাচার করছে। এদেশর যুব সমাজের যখন ক্যরিয়ার গড়ার কথা তখন তাদেরকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই আমি এদেশর মানুষের কাছে অনুরোধ করি, আসুন আমরা এই ইহুদী বেনিয়দের পন্য বর্জন করি। এদের এদেশ থেকে তাড়িয়ে দেই এবং দেশী পন্য ব্যবহার করি। এদেরকে যারা সহায়তা করে তাদেরকেও বর্জন করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




