somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তবে কি সত্যি ?

০৭ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাদেশে আজ বি এন পি র মানব বন্ধন কর্মসূচি ছিল, কিন্তু সরকারের বাধার কারনে তা পালিত হতে পারে নি ।
হটাৎ করে সরকার কেন এত অসহিস্নু হলো এর কারন বুঝতে পারা যাচ্ছে না । একদিকে ছাত্রলীগ নামক দুর্ধষ সন্ত্রাসী বাহিনী, অপর দিকে পুলিশ কে দলীয় কর্মীবাহিনীর মত ব্যবহার করে বিরোধীদের এই সকল গনতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে কিন্তু সরকার আসলে এ বিষয়টিই প্রমান করে দিচ্ছে যে তারা পুরোপুরি জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সব দেখে মনে হয় দেশে যেন সামরিক শাষন চলছে।
সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টারদের লাগামহীন মিথ্যা এবং ফাকা বাগরম্বরী পূর্ন কথা যে দেশের মানুষ আর এক বিন্দুও বিশ্বাষ করছে না, তাদের গ্রহন যোগ্যতা যে এখন মানুষের কাছে শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, ধীরে ধীরে পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে এসব বুঝতে পেরেই কি আওয়ামী-বাকশালী সরকার বিরোধীদের প্রতি মরন কামড় দেয়া শুরু করেছে??

এ পর্যন্ত কথার ফুলঝুরি উরানো ছাড়া একটা নির্বাচনী ওয়াদা সরকার পালন করতে পারে নাই।
দশটাকা সের চাল খাওয়ানো, ঘরে ঘরে চাকুরী, বিদ্যুতের আলোয় দেশ ভাসিয়ে দেয়া ..........এ রকম হাজারো ছল-চাতুরী পূর্ন ওয়াদা দিয়ে ক্ষমটায় এসে সে সব বাসত্বায়নের কোন উদ্দোগ নেই .........উপরন্তু বিরোধীদল সে গুলো স্মরন করিয়ে দিলে হামলা মামলা দিয়ে জেলে পুরে নির্যাতন ।

দেশের লক্ষ-কোটি সমস্যার মাঝে ছাত্রলীগ( সন্ট্রাসী লীগ বলাই সঠিক) নামক এক নরকের কীটের জ্বালায় দেশের মানুষের নাভিশ্বাষ উঠার যোগার। আসমানের নীচে আর জমিনের উপরে হেন অপকর্ম নাই যেখানে ঐ কুখ্যাত ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচরন নেই ।
হত্যা-খুন-ধর্ষন, চাদাবাজী, ছিনতাই, রাহাজানী, টেন্ডারবাজী, লুটতরাজ........এমন কোন অপকর্ম নেই যেখানে তাদের নাম পাওয়া যাবে না । ঠিক যেন ৭২-৭৫ পর্যন্ত শেখ কামাল-জামাল-মনি বাহীনির যুগ আবার ফিরে এসেছে। মানুষের হাজারো সমস্যার মাঝে এটা 'মরার উপর খাড়ার ঘা' হিসেবে আপতিত হচ্ছে।

এসব থেকে দেশ জাতীকে উদ্ধারের যে কি উপায় আছে তা আমার মাথায় আর আসছে না ।

উপায় ছিল ..........
প্রথমত বিরোধীদল গনতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশ বাসীকে জাগিয়ে তুলে এই জুলুম-নির্যাতন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, জালীম-শাহী হাসিনার বেইমানী-মিথ্যার সমুচিত জবাব দিবে .......সে পথ মুটামুটি কার্যকর ভাবেই বনদ্ধ করেছে বাকশালীরা। এ জন্য দলীয় গুন্ডা বাহীনির সাথে সরকারী বাহীনিকেও তার দলীয় কর্মীর মত ব্যবহার করছে । বি এন পি' ও (মনে হয় কোন অভ্যন্তরীন সমস্যার কারনে) এ সবের বিরুদ্ধে জোরালো ভুমিকা নিতে পারছে না। তদের অবস্থা অনেকটা তথৈবচ। আর এটাকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে কাপুরুষ বাকশালীরা ।

দ্বিতীয়ত, যে কোন সরকারের জুলুম অত্যচারের বিরুদ্ধে গন-মাধ্যম, সাংবাদিক রা থকে সবচেয়ে সোচ্চার। পৃথীবির সব খানেই এমন হয়। এর একমাত্র ব্যতিক্রম এই বাংলাদেশ। এখানে সাংবাদিক নামে যে প্রানী গুলো বিচরন করে ( অবশ্যই সত্য-বাদী, নির্ভীক, সাহসী সাংবাদিক যে দু-একজন নাই তা নয়, এবং তারা অবশ্যই তাদের কাজ করে যাচ্চেন) তারা সৃস্টি কর্তার এক আজব সৃষ্টি । নীতি-নৈতিকতা বলে তাদের কাছে কিছু বলে আমার মনে হয় না। যদিও প্রবাসে গুরত্বপূর্ন রিসার্স পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকতে হয়, তবুও দেশের সব কয়টি খবরের কাগজে একবার চোখ না বুলোলে দিনের কাজ যেন সমাপ্ত হয় না। আর খবরের কাগজে চোখ বুলাই আর সেই সাংবাদিক নামক প্রানীগুলোর চেহারা মনে মনে আকার চেষ্টা করি। কি আজব সেই চীজ গুলো !! একই বিষয়ের উপর তাদের কি আকাশ সম বৈপরিত্য!! পুরাতন দিনের খবরের কাগজ গুলো( একই ধরনের বিষয় সম্বলিত) সামনে না থাকলে বোঝার উপায় নেই কি এদের চরিত্র।
মাত্র ২৫/৩০ মাস আগে কোন ঘটনা ঘটলে( যেমন উদাহরন স্বরুপ রাজনৈতিক ধড়-পাকর, ক্রস-ফায়ার ইত্যাদি) যে পত্রিকা আর সাংবাদিক বাবুরা পাতার পর পাতা লিখে, তার স্বরে গলা ফাটিয়ে তাদের মহান দ্বায়িত্ব পালন করত, সেই বাবুরাই এখন মনে হয় কোন রুপকথার রাজকন্যার সোনার কাঠির পরশে সুখের নিদ্রায় নিমগ্ন। কে যেন তাদের কানে কানে বলে গেছে দেশে এখন কোন অন্যায়-অবিচার নেই, নেই কোন খুন-ধর্ষন, গুপ্ত হত্যা, টেন্ডারবাজী, ছাত্র হত্যা, গনত্ন্রকে গলা টেপার তো কোন প্রশ্নই আসে না । তাই তাদের আর দ্বায়িত্ব কি ?? যা দুইচারটা খবর তারা ছাপে তাও এটা প্রমান করার জন্যই যে মানুষ বেহেশতি সুখে আছে .......আর বিরোধী দলই সেই সুখ কে শেষ করে দেবার জন্য এসব করেছে ।

হায়রে সাংবাদিকতা !! হায়রে নীতি-নৈতিকতা !!

দুনিয়ার কোন দেশে এমন নীতি বিবর্জিত, এক-চোখ বিশিষ্ট কোন প্রানী সাংবাদিক নামে পরিচিত হয় কিনা তা অন্তত আমার জানা নেই ।

তাহলে আর আশা কি থাকে ?

হ্যা ......অবশ্যই আছে ।
তিনি একজন আছেন .....যিনি সব দেখছেন এবং গুনে গুনে সব লিখে রাখছেন ....।
সময় হলেই সব পাওনা একে একে বুঝে দেবেন করায় গন্ডায় ।
খোদার কসম .......দুনিয়ার ইতহাস সাক্ষী!!
সেই সময় যার এসেছে ..........জান নিয়ে পালাবার ও সময় সে পায়নি ।

বেশীদুরে যাবার দরকার নেই ........মাত্র ৩৫ বছর আগের এই বাংলাদেশই ...... তার জলন্ত প্রমান ।।

এর পরও কি হতাশ হবো??

না অবশ্যই না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×