ফিরতে হলো কিম্ভূতকিমাকার ত্রিভুজাকৃতি ঘরে। পরিযায়ী পাখিদের ঈর্ষা হয়। মানুষের পৃথিবীতে শুধু দূষণ। রুক্ষ পাথুরে সড়ক; পর্বতারোহণ যেমন কষ্টদায়ক। নভেম্বরের শেষেও শীত নেই। যদিও আজ আর শীতের অপেক্ষায় থাকি না। কিন্তু একদিন ছিলাম। আহ, একদিন কী তীব্র অপেক্ষা ছিলো শীতের! যেমন অপেক্ষায় ছিলাম কারও উড়োজাহাজ মার্কা সাদা খামের।
মানুষের গল্পের শেষ নেই প্রিয়; আমরা, যারা বেঁচে আছি। ঘরের ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছে যে ষাটোর্ধ লোকটি। আজ আর কিছুতেই তার কাছে তান্নুদের বাড়ির খোঁজ চাইবো না। ঘোরা পথে হেঁটে ত্রিমোহনীর সেই ভিড়ভাট্টার মাছের বাজার যাবো। সেখানে কোনও চা বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেবো। কিন্ত এতোদিন পর কেন যাচ্ছি?
বিকেলের রোদ পড়ে আসছে। নির্জন এভিনিউ। কোথাও কফি পানের স্মৃতি বিষণ্ণ করে দেয়। দুয়েকটি কবিতাও। ফিরিয়ে দিয়ো না নীলাকাশ জুড়ে পাশুটে মেঘের স্মৃতি। ফিরিয়ে দিয়ো না রদার পুতুল মোমের আফ্রোদিতি। আমার বোনের প্রত্যাখ্যাত দুয়েকজন পাণিপ্রার্থীকে মনে পড়ে। নাহ, কিছু গল্প অনুক্তই থাক! কোথাও শুনেছিলাম গানে, তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিলো জানি না কবে কোথায়।
(ছবি: ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩