মা,
এখন মাঝ রাত। কোথাও কোন শব্দ নেই।সব নিশ্চুপ।তাই লিখতে বসলাম।
আমি তোমায় কথাগুলো অনেক দিন থেকে বলতে চাচ্ছিলাম।বলতে পারি নি।তাই আজ চিঠিতে লিখে জানাচ্ছি।
আমি ছোটবেলা ভাবতাম জীবনটা রূপকথার মত। রূপকথায় রাজপুত্র যেমন পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় আসে রাজকন্যাকে নিয়ে যায় তেমন আমাকেও কেউ নিতে আসবে।আমার সব দুঃখ কষ্ট থেকে আমাকে অনেক দুরে নিয়ে যাবে।আমি ভুল ছিলাম।জীবন যে কত কোঠর,কঠিন,নিষ্ঠুর তা জানতাম না।মা আমি এখন বুঝি মানুষ কতটুকু পশু আর পাষন্ড হয়ে গেছে!!
একটা মেয়ে হয়ে বেচে থাকা কতটা যে কষ্টকর তা আমি জেনেছি মা।মেয়েদের প্রতিদিন কত যে কষ্ট করে থাকতে হয় তা বুঝেছি।
সে দিন চাকরীর একটা interview দিতে গিয়েছিলাম।সেখানে একজন লোকের কথা শুনে আমি আর চাকরী করার কথা চিন্তা করতে পারি নি।সে বলেছিল তাদের বস থাকেন ইতালিতে।সে যখন বাংলাদেশে আসেন তখ্ন তার সাথে আমায় থাকতে হবে।তার সুবিধা অসুবিধাগুলো আমায় দেখতে হবে তার সাথে টূরে যেতে হবে।সে যা বলবে তাই করতে হবে।এগুলো করতে পারলে আমার promotion হবে.আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি।চলে আসতে হয়েছিল সেখান থেকে।
আমি তার জন্য স্কুলগুলোকে উপযুক্ত মনে করেছিলাম।সেখানে ও আমি ভালোই কাজ করেছিলাম।আমি স্কুলের ছ্যারের কোচিংয়ে কিছু শর্তের জন্য কাজটা করছিলাম।কিন্তু স্কুলের ছাত্রদের মুখের ভাষা শুনে আর শিক্ষকদের প্রতি খারাপ আচরণে আমি আর কাজটা করতে পারিনি।
আমার আর একদিনের কথা মনে পরে।তুমি তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলে।আমি তোমার আর বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছিলাম।আমি একটা বাসে উঠেছিলাম রাত তখন ১১ঃ৩০ টা।বাসে তখনও অনেক ভিড় ছিল।অনেক কষ্ট করেও নিজেকে বাচাতে পারিনি।উফ!! যখন বাস থেকে নামতে যাচ্ছিলাম।মনে হয়েছিল আমাকে হায়েনারা ছিড়ে ফেলছে দুটো হাত দিয়ে।বাস থেকে নেমে মনে হয়েছিল মরে যাই।তারপর মনে হয়েছে আমি এই দুজনের জন্য বেচে আছি এদের জন্য আমার লড়তে হবে।নিজেকে অনেক বুঝিয়েছি। ঠিক তেমনি কিছু আজও হচ্ছে তবু আমি কিছু বলতে পারছি না।অসহায় লাগে নিজেকে।একা হয়ে গেছি আমি।কাকে বন্ধু ভাববো বলো?সবাই স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত।বন্ধুরা যেন দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে।আর কতবার মরব?কত আর চিৎকার করে কাদব?কেউ শুনে না আমার চিৎকার।বার বার হার মানতে আর পারছি না।প্রত্যেকবার নিজেকে তৈরী করি তবু যেন আবার হেরে যাই।টাকার জন্য লোকজন কত যে খারাপ হয়ে যাচ্ছে!!!
টাকা কথা বলে।আসলেই বলে।আমি তোমাদের মুখে দুটো ভাত তুলে দিতে পারছি না এই টাকার জন্য।আমি আর পারছি না এসব বইতে।
সবাই প্রতিদিন এসবের স্বীকার হচ্ছে কিন্তু কেউ মুখ খুলতে চায় না।
মা আমি কি করব বুঝতেছি না।নিজেকে এখন অপদার্থ মনে হয়।সবাই পারতেছে তাইলে আমি কেন একা এমন কষ্ট পাচ্ছি??
আমার এ পৃথিবীতে থাকার মত অবস্থা নেই।এ পৃথিবী আমার নয়।
আসবে না কোন রাজকুমার নিয়ে যাবে না আমাকে দূরে।তাই আমি নিজেই চলে যাচ্ছি।আমাকে মাফ করে দিও।
আমি হার মানতে চাই নি এই অদ্ভুত হৃদয়হীন পৃথিবীর কাছে।তোমাদের ছেলে হতে চেয়েছিলাম।ভুলে গেছিলাম যে এটা মুখের কথা।
ভালো থেকো।
তোমার আদরের,
নয়না
আলোচিত ব্লগ
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।