রক্ত ও লাশের উপর হরিতকী নাচ, কে দ্যাখে?
যে দ্যাখে, সে দ্যাখে। আমি তো দেখি না কিছু।
আমি বদ্ধচোখ। দুহাত উদ্বাহু। পাশেই বালির গ্রাম
গোপনে জানিয়ে দিলো, এইখানে শুয়ে আছে আবুল হাসান।
মাটিতে বিলীন দৃষ্টি, তবু চোখ নেই?
আমি ছাড়া জগতের সব লোক, সব কর্তাব্যক্তিগণ
আমি ছাড়া মাটির সমস্ত প্রাণ, ক্রিয়াকর্মযান
কথা শোনে। গান গায়। বেহালা বাজায়।
করুণ, মদির সুর। ছায়া ছায়া গুঞ্জরণ।
একবার ওঠে। ওড়ে। ডুবে যায়। জ্বলে থাকে, নিভে যায়।
গগনটিলার পাশে সূর্যাস্ত দেখবো বলে মুঠোতে পুরেছি দ্যাখো
প্রান্তরের ধূলি। সন্ধ্যার শিয়রে নিভিয়ে দিয়েছি উপঝাউবন।
আকাশ তথাপি খোলা। লবণের জলে ভেসে যায় ঘোলা ঘোলা কীর্তির সংবাদ।
কান বন্ধ নয়। তবু কেনো সুর ছাড়া আর কিছু কানে বাজে না?
জিহ্বায় ও ত্বকে কেন রক্ত ও লাশের অন্তরঙ্গ দুর্বা লেগে যায়?
হরিতকী পাতায় পাতায় নাচে দিবস শেষের আলো। শব্দহীন।
বালিতেও শব্দ নেই কোন। জোড়ামানুষের কঙ্কাল কেবল গুনগুন গায়।
সেই শব্দ শুনি। জোড়া মানুষের কঙ্কালে কে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই গান,
পায়ের তলায় ছড়িয়ে দিয়েছে কীর্তিনাশা বালি? বাতাস ভাসিয়ে নেয় খোলা কলতান
পৃথক পালঙ্কে ভেসে যায় আবুল হাসান, আবুল হাসান