এখনো জলের বাড়ি, এখনো মেঘের
উপরে উড্ডীন যাতায়াত দেখে দেখে
ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছা প্রত্যেক দুপুরে।
সকাল ফুরিয়ে যায়, বিকাল ও রাত
সহজেই কেটে যায়। কাটে না কেবল
দুপুর। কাঠমালতী-গাছে আটকে যাওয়া
কবন্ধ ঘুড়ির মতো ডানা ঝাপটায়;
নিজের বিচ্ছিন্ন দেহ, কাগজ মাস্তুল
হাওয়ায় ও রোদে রোদে উড়িয়ে উড়িয়ে
কোন প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত, কোন গুপ্ত ধাঁধাঁ
আসলে বোঝাতে চায় ঘুড়ি-ছেঁড়া-মাংস
সহসা বুঝি না। একবার ভাবতে চাই
ওই সাদা পর্যুদস্ত মাংস-কলতান
আসলে বিজ্ঞান, ছেঁড়া পাতার আকার
নিয়ে আমাদের বোকা বানিয়ে চলছে।
বাতাসের অদৃশ্য খাতায়, কাঁপা বর্ণে
লিখে যাচ্ছে কিছু উহ্য হায়ারোগ্লিফিক্স।
বিজ্ঞান জানি না আমি। জানি না কী হেতু
লম্বা দুপুরের সাথে জড়িয়ে জড়িয়ে
একত্রে উড়তে থাকে ঘুড়ি, কাঠমালতীর
শুকেèা পাতা আর অমৃত আইনস্টাইন!
কোন বর্ণাঢ্য সমীকরণ, অঙ্করশ্মি
ক্রমশ বিকীর্ণ হতে থাকে ইশারায়,
ওখানেই কি আসলে অলক্ষ্যে নিহিত
আছে দুপুরের দীর্ঘ হওয়ার রহস্য,
মধ্যদুপুরের হাহাকার, কলতান!
আজ দুপুরের রোদে, রোদের পুকুরে
নিজেকে ডুবিয়ে রেখে সারাটা সময়
আমি বুঝে নিতে চাই সেই উহ্য গীত,
পেলব সন্ত্রাস যা কেবল বোঝে না
হাওয়ার ঘূর্ণিতে কারো নিজস্ব দুপুর
বন্দি করে নিলে তার ঘুম, কর্মযান
সব কিছু ঝরে পড়ে, বিকাল গড়িয়ে
গিয়ে পরবর্তী দুপুরের হাহাকার
ক্রমশ নাড়িয়ে দিতে থাকে তার সব
দিবসের কর্মসূচী, রোদন বৃত্তান্ত।