এমনিতেই বাজারে গেলে দামের চোটে হার্ট এটাকের দশা হয়। ঐতিহ্যবাহী ইলিশের বাজারে দামের আগুন আরও বেশি। এই দুরবস্থা গুরতর আকার ধারণ করতে চলেছে আসন্ন পহেলা বেশাখে নববর্ষ উপলক্ষে।
বাংলা সন তারিখের সাথে নগরের লোকদের কোন সম্পর্ক নেই। বেশির ভাগ লোক বাংলা তারিখ দূরে থাক, মাস বা বছরের কথাও ঠিক মত বলতে পারেব না। শুধু নববর্ষ এলে সানকি পেতে পান্তা ইলিশ খেতে লেগে যায়।
বাংলা তারিখের সাথে গ্রামের মানুষের সম্পর্ক এখনও আছে। কৃষক জমির ফসলের পরিকল্পনা বাংলা মাস ধরেই করেন। গ্রামে চৈত্র সংক্রান্তি আর বৈশাখী মেলা আর হালখাতার উৎসব এখনও চলে। সেখানে মিষ্টি খাবার একটা চল আছে। অন্য খাবার নিয়ে কোন শহুরে টাইপের আদিখ্যেতা নেই। শহরে বাকির খাতাই নাই। তার আবার হালখাতা।
শহরের লোক একদিনের জন্য বাংলা নববর্ষের উৎসবে মাতে। মেলাও বসে দুই একটা। সেটা আবার স্পনসরওয়ালা মেলা। সানকিতে পান্তাভাত, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ আর ইলিশ ভাজা খেয়ে বাঙালী সাজার ভণ্ডামীপূর্ণ একটা ভাব ধরে। এইটা না হইলে আজকাল আর প্রেস্টিজ থাকেনা। ফলে ইলিশওয়ালারা পকেট কাটা শুরু করে। এমনিতে এটা ইলিশ মৌসুম না। তাই দামটা আরও বাড়ে।
পাকিস্তান আমলে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ঠেলাঠেলিতে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানট বর্ষবরণের জন্য রমনার বটতলার অনুষ্ঠানটি শুরু করে। ১৯৮৯ সালে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই সব মূলত: নাগরিক বৈশাখ। সেখান থেকে সানকিভরা পান্তাইলিশের ভণ্ডামি শুরু। আবহমান বাংলার বৈশাখ পালনের সাথে এর মিল কোনকালেই ছিল না। এখনও নাই।
মাঝখান থেকে বেহুদা ইলিশ আর সানকির দাম বাড়ায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




