আমার ছাত্রীদের যখন আমি প্রথম পড়াতে যাই তখন তাদের পিচ্চি ভাইটার বয়স খুব বেশি হলে দেড় বছর।আমি যখন ওদের পড়াতে যেতাম তখন অবশ্যই অবশ্যই আমার সাথে এসে দেখা করতো।তার খুবই পছন্দের কাজ ছিল আমার কোলে বসে বোনদের বই-পত্র এলোমেলো করা।আর ইচ্ছামতন বই-খাতায় দাগানো।যখন অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতো,মানে আর পড়ানো সম্ভব হতো না তখন তাকে ভেতরে পাঠানো হতো।তার বিদায় নেওয়াটাও ছিল খুবই আনুষ্ঠানিক।বোনদের কোন একজনের কোলে উঠে যাওয়ার আগে গালে একটা চুমু দিয়ে যেতো,একেবারে গাল ভিজিয়ে দিয়ে।আমিতো প্রেমে পড়ে গেলাম।এত সুন্দর একজন প্রেমিক পেয়ে আমিতো খুবই খুশি।কারণ পিচ্চিটা দেখতে খুব সুন্দর।
ওর নামটাও খুবই সুন্দর,যদিও সবার ছোট বলে বারবার ওর নাম বদলানো হয়েছে।একদম প্রথমে ছিল সাকিব,তারপর রাশেদ আর এখন রাফিদ।শুধু ওর নাম বলে তিনটা নামের প্রতিই আমি ভীষণ দূর্বল।
রাফিদ গত বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছে।যদিও এখনো সে ভালো করে কথা বলতে শেখেনি।কিন্তু দুঃখের কথা হল স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে রাফিদ আমাকে আর ভালবাসে না।আসতেই চায় না,আর আসলেও এমন ভাব ধরে থাকে.......কথাই বলে না।কিছু জানতে চাইলে অন্যদিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়।কিছুদিন হল মারামারি করতে শিখেছে,ছোট ছোট হাতের মার কী যে ভয়ংকর!
আবার তুই তুই করে কথা বলে।একদিন বলেছিলাম মিসকে কেউ তুই করে বলে?
বাবারে এটা শুনে তার কী রাগ।আর আসেই না।
আসলে এখন স্কুলে ভর্তি হয়ে আরো অনেক মেয়েদের সাথে পরিচয় হয়েছেতো,মিসকে এখন আর ভালোই লাগে না।মিস পুরনো হয়ে গেছে।রাফিদ আমাকে আর ভালবাসে না।আমার মনে বড় দুঃখ......
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



