somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডুমেলা বতসোয়ানা-১

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাইকে ঈদ মোবারক।

২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক উত্তরে বতসোয়ানা নামে একটি দেশে গিয়েছিলাম। প্রায় ৫ মাস ছিলাম। ২০০৬ সালের রমজান এবং ঈদ ঐ দেশে বসেই করতে হয়েছিল। বতসোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একটুকরো বিশ্ব ছিল। আমার হোস্টেল রূম। চব্বিশ ঘন্টা ইন্টারনেট কানেকশন থাকায় আমার ল্যাপটপ দিয়ে আমি একটি বিশ্ব সাজিয়ে নিয়েছিলাম।

২০০৭ এর ওয়ান ইলেভেনের আগে বাংলাদেশের অস্থির এই সময়টাতে আমাদের দেশের ভাবনাগুলো নিয়ে অনেক কিছু লিখেছিলাম। সময়ের প্রয়োজনে এই ভাবনাগুলো নতুন চিন্তার সূত্র হতে পারে।

আসলে দেশের বাইরে থেকেই দেশের অনেক কিছু অনুধাবন করা যায়। আজ যাঁরা প্রবাসে আছেন তাঁরা নিশ্চয়ই দেশের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন আর ভাবছেন কত সহজে আমরা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যেতে পারতাম!

কিন্তু আমরা তা পারছি না। নানান বাধা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রেখেছে। আমাদের উন্নতির অন্তরায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী। আমাদের সামনে কোন ভিশন নেই। আর থাকলেও তা অষ্পষ্ট। আমরা অন্ধের মতো আর কতকাল লাঠি ভর করে পথ চলবো?

এইসব ভাবনাগুলো নিয়েই ডুমেলা বতসোয়ানা ধারাবাহিকটি সাজানো। আশা করি আপনারা আমার এই প্রচেষ্টার সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে এবং ঈদ মোবারক।
......................................................................................................


হীরার দেশে

২০০৬ সালের আগষ্ট মাসের চার তারিখ সকালবেলা কুয়াশা ঘেরা বতসোয়ানা এয়ারপোর্টে যখন পা রাখি একটা অন্যরকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা একটা অনুভূতি। নিজের পরিচিত দেশ ছেড়ে একেবারে অপরিচিত একটি দেশে এলে অনেকেরই মনে হয় এরকম অনুভূতি জাগে। বাংলাদেশ ছেড়ে একা একা সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি দেশে এসে পড়েছি। দুই দুইটি মহাসমুদ্র পাড়ি দিয়ে একেবারে ভারত মহাসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কোলে এসে পড়েছি।

বিশ্ব মানচিত্রের দিকে তাকালে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক উত্তর মাথায় উল্টোভাবে বসানো একখন্ড হীরক মুকুটের মত হীরার দেশ বতসোয়ানা। ঘড়ির কাঁটার দিক থেকে দেশটি নামিবিয়া, এ্যাঙ্গোলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বারা বেষ্টিত একটি দেশ। ১৯৬৬ সালে বৃটিশরা এ দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মাথায় ১৯৬৭ সালে হীরক খনি পেয়ে দেশটির ভাগ্য আমূল খুলে যায়। মোট বৈদেশিক রপ্তানী আয়ের ৮০ ভাগই আসে হীরা থেকে।

ছেলেবেলায় সত্যজিত রায়ের হীরক রাজার দেশে ছবিটি দেখে খুব মজা লেগেছিল। হীরক রাজার অদ্ভূত অদ্ভূত নিয়ম-কানুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রজারা শেষে বিদ্রোহ করে “গদি ধরে মারো টান-রাজা হবে খান খান” বলে যেভাবে রাজার অত্যাচারের অবসান ঘটিয়েছিল সেরকম কোন দেশে এসে পড়লাম না তো-এই ভেবে শংকিত ছিলাম। কিন্তু কিছু দিন থেকে বুঝলাম না সেই রকম কোন অত্যাচারী রাজা শাসিত নয় দেশটি।

এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রের দেশ। গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এদেশের নাগরিকরা এতটাই ভোগ করে যে দেশ পরিচালনা নিয়ে এদের কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। যে যার আপন গতিতে কাজ করে চলছে। তবে এদেশের মূল বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবগুলোই ইন্ডিয়ান, চায়না এবং পাকিস্তানী মালিকানাধীন। বাঙালি মালিকানাধীন ও কিছু মাঝারি কিংবা ছোট মানের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো বতসোয়ানার নাগরিকদের মধ্য থেকে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মালিকানা খুব কম। তেমন একটা নেই বললেই চলে। সেলুন, ফোন-ফ্যাক্সের দোকান, ফুটপাথে খাবার কিংবা চকোলেট-চুইংগাম-সিগারেটের দোকান কিংবা বড়জোর ছোট্ট মুদিখানা (এখানে এরা টাকশপ বলে) নিয়ে বসা মালিকদের অধিকাংশ কালো এদেশী নাগরিক। এদেশের নাগরিকদের ব্যবসায় করার জন্য সরকার থেকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদান তো করা হয়ই এমনকি পুঁজি নিয়েও সরকার বসে থাকে। কিন্তু আমার মনে হয় এদের মাথায় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে মাথায় ঢুকে না তাই এরা নিজে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থাপনের ঝামেলায় তেমন একটা যায় না। চার-পাঁচশ পুলা (বতসোয়ানার মুদ্রার নাম পুলা। বর্তমানে এক পুলা বাংলাদেশী দশ টাকার কিছু বেশি) কিংবা দক্ষতা অনুযায়ী হাজারখানেক পুলা বেতনে এখানকার নাগরিকরা ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী কিংবা বাঙালিদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। বতসোয়ানার অধিবাসীদের জীবন যাত্রা নিয়ে অন্য সময় আরও লিখব।

চার আগষ্ট হাড় কাঁপানো শীতের সকালে যখন বতসোয়ানার মাটিতে পা রাখি এয়ারপোর্টটি দেখে অনেকটা আশাহতই হয়েছিলাম। ছোট্ট একটি এয়ারপোর্ট। বড়জোড় কোন ধণাঢ্য ব্যক্তির প্রাইভেট এয়ারপোর্টের সমান। আমি যখন বতসোয়ানা আসার উদ্দেশ্যে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করি তারপর আরও দু’দুটো বিমান বন্দরে যাত্রা বিরতি করতে হয়েছিল। দুবাই এয়ারপোর্টের চাকচিক্য দেখে তো আমি একেবারে মুগ্ধ! কী বিশাল এয়ারপোর্ট, কত আধুনিক কত গতিময়।

বতসোয়ানা দেশটি তেমন একটা উন্নত নয়। সত্যিকার অর্থে এদেশে যদি হীরার খনি না পাওয়া যেত দেশটির বর্তমান এই অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়তো হতো না। জোহানেসবার্গ এয়ারপোর্ট থেকে সাউথ আফ্রিকান এয়ারলাইন্সের প্লেনটি আমাদের নিয়ে বতসোয়ানার উদ্দেশ্যে ছাড়ে সকাল সাতটায়। স্যুয়ারেজের ঢাউস সাইজের পাইপ আকৃতির প্লেনটি চড়ে মজাই পাচ্ছিলাম। ঢাকা থেকে জোহানেসবার্গ পর্যন্ত এ্যমিরেটস্ এর সুবিশাল প্লেনে চড়ে শেষমেষ এরকম একটি পাইপ আকৃতির প্লেনে চড়ার অভিজ্ঞতাও মন্দ নয়। এয়ার হোস্টেজ সবে ব্রেকফাস্ট সার্ভ করেছে। ব্রেকফাস্ট শেষ করতে না করতেই বতসোয়ানার মাটিতে প্লেন ল্যান্ড করল। আমি সহ হাতে গোনা ১০/১২ জন যাত্রী। এয়ারপোর্টের সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে এয়ারপোর্টের বাইরে পা রাখলাম। যদিও আমাকে বতসোয়ানা এয়ারপোর্টে রিসিভ করার জন্য ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ লোক রাখার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি এবং ই-মেইল পাঠিয়েছিল কিন্তু আমি তাদের সে প্রস্তাবে সাড়া দেইনি। কারণ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফজলুর রহমান আমাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত ছিল।

এয়ারপোর্টের বাইরে পা দিয়ে ফজলু সহ শামীম এবং আলমকে দেখতে পেলাম। অচেনা অজানা একটি দেশে যদি একান্ত আপনজন কাউকে পাওয়া যায় কী যে আনন্দ লাগে সে অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করার মত নয়। ওদেরকে দেখে আমার তিনদিনের এই বিরক্তিকর জার্নির কান্তি নিমিষেই শেষ। একটু হেঁটে আমাকে নিতে আসা শামীমের গাড়ির কাছে যেতেই আমি হতবাক। গাড়িটির বামদিকের সম্মুখভাগের অংশটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে আছে। এরকম অবস্থা কী করে হল সে কাহিনী শুনে তো রীতিমতো আমার গা শিউরে উঠল। গ্যাবরন শহর থেকে আমাকে রিসিভ করার জন্য এয়ারপোর্ট আসার পথে গাড়িটি সামান্য একটু অসতর্কতার কারণে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। ওদের ভাষাতেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এরকম ছিল যে তিনজনের একজনের ও বেঁচে থাকার কথা ছিল না। গাড়িটির অবস্থা দেখে এবং দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কল্পনা করে আমি আবারও শিউরে উঠলাম। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং কৃপায় আমাকে বতসোয়ানা পা দিয়ে তিনজন আপন লোকের লাশ দেখতে হয়নি, আমি আল্লাহর কাছে শোকর গোজার করলাম।

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবরন একটি ছোট্ট পরিচ্ছন্ন শহর। এয়ারপোর্টের রাস্তা ছাড়িয়ে মূল গ্যাবরন শহরের দিকে যত এগুচ্ছি দু’একটা হাইরাইজ বিল্ডিং চোখে পড়ছে। হাইরাইজ বিল্ডিংগুলোও বড়জোড় আমাদের দেশের আটদশ তলা সমান উঁচু। লোকজন, যানবাহন এতই অল্প যে আমাদের দেশের কোন একটা বিভাগীয় শহরে যে ব্যস্ততা থাকে গ্যাবরন শহরটি তারচেয়েও কম ব্যস্ত বলে মনে হল। শামীম আমাকে দেখাল যে এটাই নাকি গ্যবরন শহর এর মূল অংশ। হাতে গোণা বড়জোর সাত আটটি হাইরাইজ বিল্ডিং নিয়ে শহরের মূল অংশটি। যাহোক বাংলাদেশে থাকতে বতসোয়ানা সম্পর্কে যে রকম অনুমান করে এসেছিলাম একেবারে সেরকম না হলেও অনেকটা তার কাছাকাছি। একসময়কার একটি চরম দরিদ্র দেশ সবে আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে এই দেশে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি আর কি আশা করা যায়? তারপরও যতটুকুই হয়েছে সবটুকুর মধ্যেই একটি ভবিষ্যত পরিকল্পনার ছাপ সুস্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়।

রাস্তাঘাটগুলো অনেক সুপরিসর এবং বেশ আধুনিক। পনের বিশ বছর আগে তৈরি করা রাস্তাঘাটগুলো এখনও অনেকটা ঝক্ঝকে তক্তকে। রাস্তা ফাঁকা থাকলেও সিগন্যাল মেনে গাড়িগুলো চলছে। আমাদের দেশের মত চৌরাস্তার মুখে গোল চক্কর বানিয়ে অপরিসর রাস্তাকে আরও অপরিসর করে দ্বীপ তৈরি করে তার উপর দাঁড়ানো কোন ট্রাফিক ও এ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। তবে কিছু ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় গাড়ির ভিড় সামলাতে এরকম দু’একজন ট্রাফিক দেখতে পেয়েছি। মূল গ্যাবরন শহরটি বেশ বড় বড় ক’টি সুপার মার্কেট আর মল সর্বস্ব। শহরের প্রাণকেন্দ্র বলতে মেইন মল এবং তার কাছাকাছি অফিস পাড়াকেই বুঝায়। এছাড়াও গ্যাবরন শহরে কিছু ভিলেজ আছে যেগুলোও অনেকটা মিনি শহরের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। একটা সুপার স্টোর, একটা আমাদের দেশের ডিসপেনসারী, টেক এ্যাওয়ে এবং এরকম বেশ ক’টি ছোট খাট স্টেশনারী, ইন্টারনেট ক্যাফে কিংবা দু’চারটা ছোটখাট নির্দিষ্ট পণ্যের শো রূম থাকলেই মিনি শহর বলা যায়।

এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য না আসলেও কমার্সের ছাত্র হিসেবে এদেশের বাণিজ্য নীতি আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছে। এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য খুব সহজ। কোন রকম একটা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে বসে যেতে পারলেই হলো। পণ্য কিনে এনে দোকানে সাজাও এবং বিক্রি কর। কোন বাকি-বকেয়ার কারবার নেই। নগদ বিক্রি। মাস শেষে বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর নগদ লাভটা বেশ মোটা অংকেরই হয়। কোন কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমন এমন পণ্য বিক্রি করে যাতে পণ্যটির উপর আশি পার্সেন্ট একশ পার্সেন্ট লাভ থাকে। আর ঔষধের ব্যবসায়েতো তিন-চার’শ গুণ পর্যন্ত লাভ থাকে।

এদেশে ঔষধ পত্র আসে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। নাইজেরিয়া এবং ইন্ডিয়াও ঔষধের বাজার দখল করে রেখেছে। শুনেছি আমাদের বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা নাকি একবার কিছু ঔষধ রেজিস্ট্রেশন করাতে একটি টিম পাঠিয়েছিল। তারপর আর কোন অগ্রগতি নেই। আমাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ঔষধ শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা এদেশে ঔষধ রপ্তানীর ব্যাপারে কিংবা ঔষধ উৎপাদনের ব্যাপারে বতসোয়ানা সরকারের সাথে সরকারিভাবে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে দেখতে পারেন। ঔষধ এখানে খুব দামি একটি পণ্য। আগে অবশ্য ফার্মাসিস্টদের এখানে রেজিস্ট্রেশনে কোন ঝামেলা ছিল না। কিন্তু এখন এখানে এসে একটি ছোট্ট পরীক্ষা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হয়। ডাক্তারদেরতো আরও পোয়া বারো। কোন রকমে একটি রেজিস্ট্রেশন করে কোন একটি ভিলেজ কিংবা টাউনে অনুমতি নিয়ে একটি কিনিক খুলে বসে যেতে পারলেই হলো। এক-দুই পুলা দামের ঔষধ যখন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয় এর দাম তখন দুই তিনশ’ গুণ বেড়ে যায় কী করে আমার মাথায় ঢুকে না। আমাদের দেশের ডাক্তার কিংবা ফার্মাসিস্টরা বতসোয়ানায় আসার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

তবে আসার আগে বতসোয়ানা সম্পর্কে ভাল করে জেনে আসাই ভালো। বতসোয়ানার একটি জবসাইট আছে। প্রয়োজনে এই জব সাইটে গিয়ে এ সংক্রান্ত চাকরির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যেতে পারে । এদের এখানে প্রচুর টেকনিক্যাল লোকের অভাব রয়েছে। ‘আইটি’ ক্ষেত্রে এদের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। তাই আইটি ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিরাও এদেশে আসতে পারেন। ভালো প্রসপেক্ট আছে। মোবাইলের টেকনিশিয়ানরাও এদেশে আসতে পারেন। এটি বর্তমানে বতসোয়ানার জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় সম্ভাবনাময় সেক্টর। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, মটর মেকানিজম জানা ব্যক্তিরা এখানে আসলে পসার জমিয়ে ব্যবসা করে যেতে পারবেন। কারণ এখানে এক্ষেত্রে দক্ষ লোকের খুবই অভাব এবং বর্তমান সরকার এ সমস্ত সেক্টরে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসা করার অনুমতি দিয়ে দেয়। তবে এদেশে আসার আগে ভালোভাবে ড্রাইভিংটা শিখে আসা জরুরী।

(ডুমেলা বতসোয়ানার একটা সম্ভাষণ রীতি। এটি নিয়ে আগামী পর্বে থাকবে।)

চলবে...


১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×