কারো-কোনো-বিকার নাই।
এর পাশ দিয়া হুস করে বেড়িয়ে যায়, প্রাডো, বিএম্ভে।
কেল্ভিন ক্লেইনের আন্ডারওয়ারের পছন্দের কালারটা এখানে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে কিছু মানুষ বিকেলের ফ্লাইটে লন্ডন যায়। রাতভর ছিনালি চলে ডিজে আর নাইটক্লাব গুলোয়। একঘেয়ে কাটাতে করে গ্রুপ সেক্স। কারো কোন বিকার নাই।
......কারো কোনো বিকার নাই।
এরই মাঝে বাস করে অদ্ভুত এক প্রজাতি। যার নাম মধ্যবিত্ত। এদের দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, মানবতা এসব নিয়ে ভাবতে হয়। আদর্শ নামক একটা মহান ব্যাপার এদের চেতনা গ্রাস করে, উপরের দুই প্রজাতির কেউই এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। এ সবই মধ্যবিত্তের ভাবনা। আর তা থেকেই মানষিক দন্দ্ব। ওদের জন্যই ''মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট'' ব্যাপারটা বিখ্যাত হয়ে আছে।
এ শহরে এসে তাজ্জব হতে হতে আমি পাথর হয়ে গেছি। ভিড় বাসে আমার বাবার বয়েসি পুরুষ যখন সিক্সে পড়া মেয়ের গায়ে হাত দেয় তখন রাগে দূঃখে ছোট হয়ে যাই। কাকে কি বলব? বৃদ্ধকে না বালিকাকে? ইচ্ছে করে ঘৃণায় কালো হয়ে যাওয়া মেয়েটিকে গিয়ে বলিঃ ভাই আমাকে কষে একটা থাপড় মার। আমিও একজন পুরুষ।
লোকাল বাসের নৈমেত্তিক ক্যাচাল, বড়লোকদের নাক সিটকানি, উঠতি বড়লোকদের ভাব, কালোটাকার তীর্ব গন্ধ, আমার গলির নেড়ি কুত্তার জারজ বাচ্চার লেজ নেড়ে আমার পিছু নেয়া, যুবতীর পাছা দুলিয়ে হেটে যাওয়া, কংক্রিটের ফাঁকে একটি গুল্ম শিশুর দূঃসাহসী বেড়ে ওঠা, এসব দেখতে ভালই লাগে।
তবু পথে পথে হেটে থমকে তাকাই যেকোনো মানুষের দিকে। গাঢ় দৃষ্টি দেই তার মুখোশ থেকে হৃদয়ে, দেখি সেখানে আমার কোনো বসতি নেই। দেখি এখানে সংশয় ভরা শহরে, আমি এক করুণ ভাষ্কর্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




