মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের জনসংখ্যার রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুলাই ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা হচ্ছে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ জন। সিআইএ ৯ জুন এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অব সিআইএ প্রতিবেদন অনুযায়ী জনসংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এছাড়া দেশের ০ থেকে ১৪ বছরের জনসংখ্যা হচ্ছে ৩৪ দশমিক তিন শতাংশ। অর্থাৎ শূন্য থেকে ১৪ বছরের মধ্যে পুরুষ দুই কোটি ৭৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৪ জন এবং মহিলা দুই কোটি ৬৭ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৭ জন।
১৫ বছর থেকে ৬৪ বছরের জনসংখ্যা হচ্ছে ৬১ দশমিক এক শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষ চার কোটি ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩১ জন এবং মহিলা হচ্ছে পাঁচ কোটি আট লাখ ৯১ হাজার ৫১৯ জন। ৬৫ বছরের ওপরে জনসংখ্যা হচ্ছে চার দশমিক সাত শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষ ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ২৫৫ জন এবং মহিলা ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ১১৯ জন।
সিআইএ’র এ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো (বিবিএস) সচিব রীতি ইব্রাহীম জানান, ‘সিআইএ’র রিপোর্ট আমি দেখেছি। তবে সিআইএ বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা তাদের নিজস্ব মতামত। এ বিষয়ে তারা বিবিএসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি’। এদিকে গত মার্চে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনব্যাপী ৫ম আদমশুমারির গণনায় দেশে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বিবিএস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিবিএস সচিব রীতি ইব্রাহীম বলেন, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা ১৬ জুলাই সমাধান হবে। ওইদিন রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ম আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে অপ্রত্যাশিত কিছু হবে না। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক জরিপে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বলা হয়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ।
এদিকে আজ অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৫ম আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, পরিসংখ্যান বুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




