প্রার্শ্ববতী রাষ্ট্র ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল কংগ্রেস তাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সিংহ ভাগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় অধিষ্ঠিত থেকেছে মাত্র দশ বছরের কিছু বেশী সময়।
স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায়ই কেন বাংলাদেশের মানুষই তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থেকে উতখাত করতে বাধ্য হয়েছে। এর পেছনের মূল কারণ হচ্ছে তাদের বাকশালী আচরণ।
বিরোধী রাজনৈতিক দলসমুহের প্রতি অত্যাচার নিপিড়ন চালানো তাদের প্রধাণ বৈশিষ্ট্য।
জুলুমতন্ত্র কখনোই স্হায়ী হয় না, জালিম সে যত বড় ফেরাউনই হোক না কেন।
প্রকৃত অর্থে আওয়ামী রাজনীতিতে গঠনমুলক কর্মপন্থার চেয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডই বেশি, এ কারণে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের চরিত্র সবসময় ধ্বংসাত্মক ও বিদ্রোহমূলক।
ক্ষমতাসীন দল হওয়া সত্ত্বেও তাদের কর্মকান্ড সবসময় বিরোধী দলের মত। মূলত আওয়ামীলীগের কর্মীদের দ্বারা দেশে গঠনমূলক কাজ অসম্ভব, যারা সরকারে থেকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে জানে না তাদের দ্বারা রাষ্ট্রপরিচালনায় স্থায়ীত্ব কোনভাবেই আশা করা যায় না।
বরাবরের মত এবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েও তারা বিরোধীদল সমুহের উপর অত্যাচারের পথ বেছে নিয়েছে, অগণতান্ত্রিক পন্থা, বিচার বিভাগের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ, মানুষের মত বাক স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধ্বংস করছে, আর তাদের চিরাচরিত অন্যায়, হত্যা, জুলূম-অত্যাচার, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতিতো আছেই।
আওয়ামীলীগের মনে রাখা উচিত যে ফেরাউনের জন্য যেমন মুসা আছেন, বাকশালের জন্যও তেমন আগষ্ট আছে। আওয়ামীলীগের ধ্বংসের জন্য এর বিদ্রোহী ও ধ্বংসাত্মক চরিত্রের নেতা কর্মীরাই যথেষ্ঠ।
তাদের এই অন্যায়-জুলুমের মাত্রা আরো বাড়ুক। আমরা আওয়ামী ফেরাউনের জন্য মুসার অপেক্ষায় আছি। নিশ্বয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে পছন্দ করেন না........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




