somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ছাগু উদ্ভুদ্ধকরণ পোস্ট

২৪ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার প্রথম ছাগু বিষয়ক পোস্টটি অত্যন্ত কমেন্ট সফল হওয়ায় ছাগু ও জা-শি বিরোধী সকল ব্লগারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।কমেন্টে কেউ কেউ আমাকে গালাগালিও করেছেন। তবে আবারও বলছি গালাগালি আমাকে এফেক্ট করে না, বরং বিষয়টার শিল্পগুণ খানিকটা উপভোগ করি। এর পেছনে একটা গোপন উদ্দেশ্য আছে। এখন ফাঁস করবো না। আগে আরো কিছুদিন গালি খেয়ে নেই তারপর।
আমার এবারের পোস্টটি আমি ছাগুদের (শিবির) উদ্দেশ্য উৎসর্গ করলাম। পড়া-শুনায় খানিকটা ব্যস্ত থাকার কারণে ছাগু বন্ধুদের অনেকদিন কোন খোজ-খবর নিতে পারছি না।
যে যাই বলুক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমি ছাগুদের বিকল্প দেখি না। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সোনালী অধ্যায় থেকে ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের নামতো অনেক পূর্বেই কাটা গেছে। ওদের গঠনমুলক কোন কাজ করার শক্তি, ক্ষমতা, যোগ্যতা অবশিষ্ট নেই।- কিছু চাপাতি আর রামদা দাও নিজের দলের ছাত্রদের রক্ত ঝরাতে পারবে।
বাম ধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর মাঝে যে কিছুটা জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক মেজাজ ছিল তাও একেবারে বিলুপ্তির পথে- সমাজতান্ত্রিকরা এখন সব চেয়ে বড় বর্জুয়া। ওদের আদর্শের পজিটিভ দিক যা ছিল সব খেয়ে বসে আছে, আর আছে শুধু নাস্তিক্ নাস্তিক একটা ভাব। সেখানেও আবার ভন্ডামি। জুমুয়া আর ঈদের নামায পড়া নাস্তিক!!?? তাই সবদিক থেকে বিবেচনা করলে ছাগুরাই (শিবির) একমাত্র ছাত্র রাজনীতির কিছু পজিটিভ দিক ধরে রেখেছে। পরে এসব নিযে অনেক কথা হবে।
আমার এ ছাগু প্রীতি অনেকের কাছেই অসহ্য লাগে আমি জানি। কিন্তু কি করা। আমি যা সত্য মনে করি তা বলে যাব, তোমরা কতটুকু খুশি বা অখুশি হলে তা আমার দেখার বিষয় নয়।
মুল কথায় আসি, ফাউ পেচাল পেরে লাভ নেই।
ছাগুরা, তোমাদের আমি পছন্দ করলেও ইদানীং তোমাদের কর্মকান্ড আমাকে অনেক চিন্তিত করে তুলছে। তোমরা অতিমাত্রায় রাজনীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছ। বর্তমান পরিস্তিতি তা দাবি করলেও আমি মনে করি এটা তোমাদের মুল কাজ না। যেখানে সভ্যতা পরিবর্তনের বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে নাও ভাসিয়েছো সেখানে সামান্য কিছু বিদ্যুত চামকানি তোমাদের আশাহত করবে তা আমি আশা করি না।
মুল বিষয় হচ্ছে, রাস্তায় নেমে কয়েকবার নারায় তাকবির বললেই সত্যের আলোকে সমাজ বিনির্মাণ হয় না। সভ্যতা পরিবর্তনের জন্য যে ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন তার ধারের কাছে পৌছনি এখনো তোমরা।- এর পরও তোমাদের বিরোধীদের নাকি দুঃচিন্তায় ঘুম হয় না। আমি অবাক হই অর্ধশতাব্দীর বেশি ধরে চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়েও তোমাদের অগ্রগতি এত অল্প! হয়তো বলবে আদর্শবাদী দলের অগ্রগতি খানিকটা ধীরেই হয়। সে ক্ষেত্রে আমি বলবো তোমরা যে বাহনে চড়ে সমুদ্র যাত্রায় নেমেছ সেটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল এবং দ্রুতগতির বাহন। তোমাদের পুর্বের যাত্রীরা মাত্র তেইশ বছরে এ দুলঙ্ঘনীয় সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল এ জাহাজে। আর তোমরা অর্ধশত বছর পরও তীরের কাছেই পড়ে আছো। সে যুগের মাঝি আর মাল্লাও ছিল সর্বকালের সেরা বটে। তাতো আর তোমাদের ভাগ্যে জুটবে না।

তোমাদের অগ্রগতি কম হওয়ায় দোষ শুধু মাঝির একার নয়, মাল্লারাও চরম অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে। অবাক লাগে তোমাদের সাথে প্রায় একই সময়ে যাত্রা শুরুকারী ইখওয়ান তাদের জাহাজে অনেক বেশি অভিজ্ঞ মাল্লার সমাগম গটিয়েছে। অর্ধশত বছর হতে চললো, তোমাদের জাহাজে না দেখলাম কুতুবদের মত কাউকে না দেখলাম কারযাবীদের মত কাউকে। মাল্লা প্রশিক্ষনের প্রক্রিয়াতেই তোমাদের যত গন্ডগোল। আমি অধম ছোটমুখে অনেক বড় কথা বলে ফেলছি। তবুও বলি এখনও যদি তোমাদের ঘুম না ভাঙ্গে তবে তেইশ বছর কেন? তেইশশত বছর পেরিয়ে গেলেও সমুদ্র পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে না। ততদিনে জাহাজের যাত্রীরা ক্ষুধায়, তৃষ্ণায় আর মহামারিতে মারা পড়বে, আর তাদের মড়া লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে হাঙরের পেটে সপে দিয়েই হা হুতাশ করবে।
সময় থাকতে সচেতন হও। মাল্লা প্রশিক্ষনের ব্যাপারে আরো যত্নবান হও। সভ্যতা পরিবর্তন করবে অথচ সমাজ পরিচালনার মানুষ নেই। এত দিন ধরে তৈরী করা কয়েকজন মাল্লার নাম বলতো? বল, বল শুনি‍!!??

আলেম? বুদ্ধিজীবি? সাংস্কৃতিবিদ? অর্থনীতিবিদ? আইনজ্ঞ?

হায়! প্রভু তোমাদের ক্ষমা করুন। কাদের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রভু তার জাহাজ আর যাত্রীদের সমুদ্র পার করার ভার? জান না? অযোগ্যদের প্রভু তাঁর সুশৃঙ্খল পৃথিবী পরিচালনার দায়িত্ব দেন না? মানুষকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক গোলামী হতে মুক্তি দেবে?- হাস্যকর, এগুলো তোমাদের অতিরিক্ত মাত্রায় রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার ফল। কার উপর দোষ চাপাবে? সবাই দোষী।

সকলের তওবাতো খুব ভাল করে পড়ার কথা, তওবার শেষ দিকে কি প্রভু বলেন নি? তোমাদের সকলেই কেন সংগ্রাম-আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লে? একটি দলকে কেন রেখে গেলে না যাতে তারা জ্ঞান অর্জন করতো আর পরে আন্দোলন -সংগ্রাম হতে ফেরতদের তা শিক্ষা দিতে পারতো?
নাবিকরা আজ শৃঙ্খলিত তাই কাজে আলসেমির সুযোগ নেই। এ জাহাজতো কোন নাবিকের নিজের সম্পদ নয, এটি সয়ং প্রভুর, একজন চলে গেলে অন্যজন হাল ধরে নাও। তোমাদের পথে সামান্য প্রতিবন্ধকতা দেখে তীরে রয়ে যাওয়া যাত্রীদের খানিকটা হাসতে দাও। সমুদ্রে ডুবে তোমাদের সলিল সমাধি দেখার আশায় যারা বসে আছে আর ভাবছে উত্তাল সমুদ্রে পাড়ি না জমিয়ে তারা ঠিকই করেছে, তাদের আরো কিছু সময় আনন্দে করতে দাও। আকাশের মেঘ মালা কেটে গেলে এক সময় তারাই হা হুতাশ করবে, আর জাহাজে আরোহন না করার জন্য নিজেদের ভৎসনা করতে থাকবে।
নাসরের কথা খেয়াল রেখ।- যখন বিজয় আসবে তখন তুমি দেখবে দলে দলে সবাই প্রভুর দলে সামিল হচ্ছে। কিন্তু বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত কাফেলাকে এগিয়ে নিতে যেতে আরো অনেক যোগ্যতার প্রয়োজন।- বিশ্বাসগত আর সমাজ পরিচালনমুলক। মহান নেতার যে কাজ সম্পাদন করতে সময় লেগেছিল দুই যুগ তোমাদের তা করতে হয়তো লেগে যেতে পারে দুই শতাব্দী। তবু হাল ছেড় না। ভাল করে দেখে নাও এ পথের প্রতিবন্ধকতাগুলো- বাতাসের জোড় কতো? ঢ়েউয়ের উচ্চতা কত? জলের ঘুর্ণন কেমন?

এসো ছাগুরা হাতে হাত রাখি, আর শপথ করি সভ্যতা বির্নিমানের যে স্বপ্ণ দেখছি তা বাস্তবায়নের জন্য জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে সহস্র বান্না, সাইয়্যেদ কুতুবদের ন্যায় অভিজ্ঞ মাল্লার সমন্বয় ঘটাবো আর প্রভুর সেই জাহাজকে ছুটিয়ে নিযে যাবো তীরবেগে লক্ষ্যপানে।
কামাল (পাশা), জামাল (নাসের) আর হাসু আপুদের যতই অর্ন্তজ্বালা হোক.....................





পোস্টটি ছাগু এবং জা-শি বিরোধীদের গালাগালির জন্য একদম ফ্রি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×