বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে থাকা লেকচারাররা/ক্ষেত্রবিশেষে সহকারি অধ্যাপকেরা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যান বেশির ভাগ সময়েই একটা সময় পর্যন্ত সার্ভিস দেবার পরে তারা ঐ ভার্সিটি থেকে স্টাডি লিভ পান।ঐটাতে লিখা থাকে-যে তার চাকরি অমুক তারিখ পর্যন্ত এক্সটেন্ড করা হল,বিনা বেতনে;আর তার শিক্ষাছুটি অমুক তারিখ পর্যন্ত।ঐ সময়ে তার শিক্ষার কোন ব্যয় এই ভার্সিটি বহন করবেনা।সে যেন তার স্টাডির আপডেট বিভাগীয় প্রধানকে দেয়।
আমার দেখা ঢাকার/বাংলাদেশের একটা অন্যতম প্রধান ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের(সরকারি না) ঐ শিক্ষাছুটির অফিস অর্ডার এমন ছিল।
বাইরে পিএইচডি/মাস্টারস এর জন্য যারা আরএ(রিসার্চ এসিসট্যান্টশিপ) নিয়ে আসেন তারা জানেন সুপারভাইজর ভাল না হলে লাইফ কেমন হয়;অনেক সময়ই তাই কোনভাবেই খাপ খাওয়াতে না পেরে দেশে যাবার চিন্তা করতে হয় অনেকের।অনেকের আবার ফ্যামিলি প্রবলেম বা অন্য কোন মেজর কারণে এই দীর্ঘ শিক্ষাকালের কোন না কোন সময় দেশে ফিরতে বাধ্য হন।আমি এখানে খালি ঐ অভাগাদের উদাহরণ গুলো দিলাম।অনেকেই সুন্দর ভাবে সব শেষ করে দেশে ফিরে আসেন বা বাইরেই থেকে যান।
এখন এরকম এক অভাগাকে যদি তার এক্সটেনডেড জব পিরিয়ডের আগে দেশে ফিরতে হয় এবং সে যদি আবার সেই জবে জয়েন করতে চায় সেইসময় ভার্সিটি অথরিটির কি কিছু বলার থাকতে পারে?মানে এখন আমাদের অনেক লোক আছে,তোমাকে নিবোনা!!কিংবা লোক খালি হলে নিবো কিংবা অন্য খানে ট্রাই করো স্কলারশিপের জন্য মেনে নিবো।
এই জিনিসগুলা কি এগরিমেন্ট পরিপন্থী না?ধরেন দুই বছর চাকরি করে সে চাকরি ছেড়ে দিলে গ্র্যাচুইটি পাবার যোগ্য থাকে কিংবা তখন বাইরে যেতে চাইলে সে লিভ নিয়ে যেতে পারে।এখন যে লিভ নিয়ে গেল সে কেন তার সমস্যায় চাইলে জবে জয়েন করতে পারবে না?তাইলে এই লিভের কি মানে?
এটা পাবলিক কোন ভার্সিটির চিত্র না।অনেক টপ পাবলিক ভার্সিটিতে লিভ নিয়ে গেলে যে চাইলেই ব্যাক করা যায়,এমনটা আমি অনেকের কাছে শুনেছি।
এখন কেউ যদি মনে করে আমি তো আমার এই ভার্সিটির/কিংবা দেশের ডিগ্রী দিয়েই পিএইচডি করে হয়তো একসময় প্রফেসর ও হয়ে যাবো তাইলে এত অনিশ্চয়তায় গিয়ে টপ ভার্সিটিতে গিয়ে পিএইচডি করার কি দরকার,এই লিভ রুলের জন্য কি তাকে তখন দোষ দেয়া যাবে?
এই কনফিউজিং লিভ রুল নিয়ে কার কি মতামত?অথবা দেশের কোনখানে/কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ভাল লিভ রুল থাকলে সেটাও কেউ তুলে ধরতে পারেন।
ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





