
ছবির এই ভদ্রলোকের নাম মাওলানা নিগার আলম৷ পাকিস্তানের নেতা ইমরান খাঁনের পক্ষের সভায় তাঁকে মোনাজাত করতে বলা হয়। সেই মোনাজাতে তিনি বলেন, ইমরান খান কে তিনি নবীর মতো ভালবাসেন।ব্যস, মাথামোটা কিছু মুসলমান চিল্লানো শুরু করলো এ কথা বলে নবীর অবমাননা হয়েছে। ব্ল্যাসফেমি হয়েছে। শুরু হলো আক্রমণ ৷
মাওলানা আলম দৌড়ে পালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হলো না। কিছু লোক সেই বাড়ি খুঁজে, দেয়াল টপকে ভিতরে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে মাওলানা নিগার আলম কে। পুলিশও ঠেকাতে পারে নি, নাকি পুলিশের মধ্যেও ব্লাসফেমি আইনের সমর্থকও ছিল? কে জানে! পাকিন্তানে এই নিয়ে ৮৮ জন কে ব্লাসফেমির অভিযোগে মেরে ফেলা হয়েছে।
মানুষ কি নবীর মতো আর কাউকে ভালবাসতে পারবে না? কিম্বা এটা ভালবাসার গভীরতা বোঝাতে বলতে পারবে না? কী বন্ধ, বদ্ধ, মাথা এদের?
ধর্মীয় উন্মাদনার শেষ কোথায়? মোল্লারা যখন উস্কানিমূলক কথা বলেন তখন কি একবারও ভাবেন তা বুমেরাং হয়ে নিজের দিকেও ফিরে আসতে পারে? আপনারা সাধারণ মানুষেরা যারা ধর্মীয় অন্ধত্ব ও উন্মাদনার বিরোধীতা করেন না, তাঁদেরও কিন্তু এই নিষ্ক্রিয়তার খেসারত দিতে হবে। কারণ, মব ম্যাডনেস বা কালেকটিভ হিসটেরিয়া আপনাকেও ছাড়বে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে শতগুণ ভাল ছিল এই নিকট অতীতেও। কিন্তু দিনে দিনে সেই দিকেই যাচ্ছে। অতএব, সাধু সাবধান!!
লেখাটি সেজান মাহমুদ এর টাইমলাইন থেকে তথ্য সূত্র: ব্লাসফেমির আরো এক ঘটনা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



