কিছু কথাঃ আমার এই গল্পটা ব্লগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। লিখেছিলাম ব্লগের জন্যই। ম্যাগাজিনের জন্য অন্য একটা লেখা রেডি করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সময়ের প্রচন্ড অভাবের কারনে বেদিশা হয়ে শেষমেষ এটাই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ম্যাগাজিনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর ভেবেছিলাম ব্লগে আর দিব না। কিন্তু একটা লেখা কষ্ট করে লেখার পর ভালো-মন্দ প্রতিক্রিয়া না পেলে ভালো লাগে না। ব্লগারদের একটা বড় অংশই ম্যাগাজিন থেকে কবে পড়বেন কিংবা আদৌ পড়তে পারবেন কিনা জানা নাই। যারা পড়বেন তাদের পড়ে কেমন লাগলো, সেটাও জানতে পারবো না। তাছাড়া কয়েকজন লেখাটা ব্লগে দেয়ার জন্যও বলেছিলেন। সব মিলিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে দিয়েই দিলাম।
নতুন বছরের প্রথম পোষ্ট আমার। কেমন লাগলো জানাতে কোন রকমের সংকোচ করবেন না…….প্লি ই জ!!!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওয়েলহ্যাম গ্রীন। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ছোট্ট একটা শহর। ছোট্ট মানে একেবারেই ছোট; গ্রামই বলা যায়। ইংলিশ নেটিভদের শহুরে গ্রাম বলতে যা বোঝায়, এটাও তাই। দু‘টা ভারতীয় পরিবার আর একটা বাংলাদেশী পরিবার, ব্যস; বাকী সব ইংলিশ। এমনই একটা শহরে কাউন্সিল থেকে এক বেডরুমের একটা বাড়ি আবেদনের ছয় মাসের মাথায় বরাদ্দ পেল রাশেদ জামাল। আসলে রাশেদের মতো ব্যাচেলরের পক্ষে বিশেষ বিবেচনায়ও এতো দ্রুত বাড়ি পাওয়া খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা। সেই ঘটনাটা যখন ওর জীবনেই ঘটলো, তখন আক্ষরিক অর্থেই আশ্চর্য না হয়ে পারে নাই ও। কাউন্সিলের হাউজিং অফিসার যেদিন ফোনে ওকে এই বরাদ্দের কথা জানালো; শুধু ও কেন, পরিচিতরাও কেউ বিশ্বাস করতে পারলো না।
যাইহোক, আজই সেই বিশেষ দিন। হাউজিং অফিসার ওকে ছোট্ট বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে ব্যাক গার্ডেনে এসে বললো,
- তো মি. জামাল, বাড়ী তোমার পছন্দ হয়েছে?
- এটা কি বলছো। এই বাড়ী পছন্দ না হওয়ার কোন কারনই নাই। আমি তো এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না যে এটা আমার বাড়ি! খুশীর চোটে তোতলাতে তোতলাতে কোন রকমে বললো রাশেদ।
- এতো খুশী হওয়ার কিছু নাই। এখনও তুমি চাবি বুঝে পাওনি। চোখ টিপে কৌতুকের সুরে বললো হাউজিং অফিসার। তাছাড়া তোমাকে আরেকটা ব্যাপারে সাবধান করা দরকার। বলা হয়ে থাকে, এই বাড়িটার দোষ আছে। ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার আর কি। আমি অবশ্য এসবে বিশ্বাস করি না। তবে, অনেকেই করে। আর এটাও সত্যি যে, এর আগে দু‘জনকে এটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কেউই দুই মাসের বেশী টিকতে পারে নাই। ছেড়ে দিয়ে ভেগেছে। একজন কালো, আরেকজন তোমারই মতো, ইন্ডিয়ান। তারপর থেকেই এটা কেউ নিতে চাচ্ছে না।তোমার এতো দ্রুত বাড়ী পাওয়ার পেছনে এটাও একটা কারণ।
- আমি ইন্ডিয়ান না, বাংলাদেশী অরিজিন!! তীব্র প্রতিবাদ করলো রাশেদ।
- স্যরি। আসলে ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট তো, আমার কাছে সবাইকে ইন্ডিয়ানই মনে হয়। ভুলেই যাই যে, তোমরা, আর পাকিস্তানীরা ইন্ডিয়ান বললে ক্ষেপে যাও!
শালা ছাগল একটা! মনে মনে গালি দিল রাশেদ। অন্য সময় হলে ব্যাটাকে কতো রসুনে কতো পেয়াজ বুঝিয়ে দিতো; কিন্তু একদিকে নতুন বাড়ির উত্তেজনা, অন্যদিকে চাবি এখনও বুঝে পায় নি। ব্যাপারটা নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করলো না ও। বললো, আমি এসব পোলাপাইন্যা ভুত-টুতে বিশ্বাস করি না। ভুত যদি সত্যি সত্যি থাকেও…...আমার তাতে কিছু যায় আসে না। তুমি নিশ্চিন্তে চাবি হস্তান্তর করতে পারো।
পরবর্তী একটা সপ্তাহ রীতিমতো দৌড়ের উপরে থাকলো রাশেদ। বাড়ি সংক্রান্ত কাউন্সিলের ফর্মালিটিজ, ঘরের আসবাব আর জিনিসপত্র কেনাকাটা, বাড়ির কিছু টুকটাক মেরামতি ইত্যাদি বহুবিধ কাজ শেষ করে আজই থিতু হয়ে বসলো। বিকালে টেসকোর সুপার শপ থেকে কিছু ছোটখাটো কেনাকাটা করে কি মনে গ্রে গুজের একটা ভদকার বোতলও তুলে নিল ও। এ্যলকোহল বলতে গেলে একরকম ছেড়েই দিয়েছে। তবে নতুন বাড়িতে আজ প্রথম থাকা, সেলিব্রেট তো করাই উচিত! ধারেকাছে কেউ পরিচিতও নাই যে, আনন্দ ভাগাভাগি করবে। একা একাই সেলিব্রেট করার সিদ্ধান্ত নিল ও।
বাসায় এসে শপিং করে আনা জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। এ‘কদিনের পরিশ্রমের পর আজ শরীরটা একদম ছেড়ে দিয়েছে। আহ্, হোম….সুইট হোম! আরামে চোখ বুজে এলো ওর। ঘুম যখন ভাঙ্গলো, বাইরে তখন ঘোর অন্ধকার। বেডসাইড ল্যাম্পটার সুইচ অন করে ঘড়ি দেখলো। রাত দশটা বাজে! প্রায় পাচ ঘন্টা মরার মতো ঘুমিয়েছে। শরীরটা পুরাই ঝরঝরে লাগছে এখন। লাফ দিয়ে খাট থেকে নামলো। ইটস পার্টি টাইম ……..গুন গুন করে গানটা ভাজতে ভাজতে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে শরাব সাজালো। তারপর বিকালে নিয়ে আসা স্যান্ডউইচে একটা কামড় বসিয়ে টিভিটা অন করলো। খাওয়া দাওয়ার পর টিভি অফ করে রুমের মূল লাইটটাও অফ করলো। কর্নার লাইটটা জ্বালিয়ে রুমটাতে আধো অন্ধকারের একটা আমেজ নিয়ে এলো। সূরাপানের উপযুক্ত পরিবেশ!! খুশীমনে ভাবলো ও। দু‘পেগ মেরে দেয়ার পর তৃতীয় পেগটাতে দেয়ালের দিকে গ্লাস উচু করে বেশ জোরেশোরেই বললো, চিয়ার্স!!!
চিয়ার্স তোর পেছন দিক দিয়ে ভরে দেব, হারামজাদা! ডানদিক থেকে ভারী শ্লেষ্মাজড়ানো গলায় কেউ বলে উঠলো!! ঝট করে সেদিকে তাকালো রাশেদ। ওদিকে ছোট্ট একটা বারান্দামতো আছে। অন্ধকারের মধ্যে একটা কোনা আরো বেশী জমাটবাধা অন্ধকার মনে হলো ওর। কথাটা ওদিক থেকেই এসেছে কোন সন্দেহ নাই। নাকি মনের ভুল! মাত্র দু‘পেগে তো ওর নেশার রং চড়ে যাওয়ার কথা না! আর কথাটা পরিস্কার শুনেছে বলেই মনে হলো! ভয় কাটানোর জন্য সেদিকে তাকিয়েই বললো, কোন শালারে….সামনে আয়, দেখি!! ওদিকে কোন নড়াচড়া নাই দেখে মনের ভুল ধরে নিয়েই তৃতীয় পেগটাতে মন দিল রাশেদ।
বিড়াল প্রথম রাতেই মারতে হয়। তোকে ঝেটিয়ে আজ রাতেই এই বাড়ী থেকে বের করবো আমি! সেই গলাটা কথা বলে উঠলো আবার। এবার আর কোন সন্দেহ নাই রাশেদের। ভয়ে ভয়ে সেই কোনাটার দিকে তাকিয়ে এবার কালো একটা আবছা অবয়ব দেখতে পেল ও। অবয়বটা ধীরে ধীরে দরজা পেরিয়ে রুমে ঢুকছে, আর সেইসঙ্গে রুমটা ভরে গেল সস্তা চুরুটের কড়া গন্ধে। প্রচন্ড ভয় পেল রাশেদ। চিৎকার করতে চাইলো, কিন্তু গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হলো না। তীব্র আতংকে শরীরটা একদম নেতিয়ে পড়লো। এরপর আর কিছুই মনে নাই রাশেদের।
সকালে পাখীর ডাকে রাশেদের ঘুম ভাঙ্গলো, কিংবা জ্ঞান ফিরলো…...কে জানে। ভয়ে ভয়ে তাকালো রাতের সেই কোনাটার দিকে। সন্দেহ করার মতো কিছুই নাই ওখানে। একটু থিতু হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে বসলো ও। আগের দু‘জনের ভেগে যাওয়ার কারনটা এখন পরিস্কার। প্রশ্ন হলো, এখন ও কি করবে! বত্রিশ বছরের বাউন্ডুলে জীবনে এই প্রথমবারের মতো বাড়ি, চাকুরী সবকিছু মাত্র গুছিয়ে বসেছে। রাশেদ ভালো করেই জানে, এই বাড়ি ছেড়ে দিলে অদূর ভবিষ্যতে আবার বরাদ্দ পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই। ভুত-প্রেত কোন কালেই বিশ্বাস করতো না ও। এখন অবশ্য আর অবিশ্বাসের কোন কারন নাই। তবে এই বাড়িটাও ছাড়তে পারবে না ও, মরে গেলেও না। মনস্থির করে উঠে দাড়ালো। চেহারায় একটা মরিয়াভাব চলে এসেছে। ভুতের গুষ্ঠি কিলাই! আমিও ঢাকাইয়া পোলা, দেহি তুই কত্তোবড় মাস্তান-ভুত!
সেদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে দোয়া-দরুদ যা জানতো সব পড়ে তিনবার বুকে ফু দিলো। এক ভাবীর পরামর্শ অনুযায়ী আয়াতুল কুরছি পড়ে তিনবার হাততালিও দিলো। আধাঘন্টা পরে শুনতে পেল বাথরুমের কল থেকে পানি পড়ছে। আবাল ভুতটা আইছে মনে হয়…..বিড় বিড় করতে করতে উঠে গিয়ে কলটা বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লো। একটু পরেই শুনলো আবার কল থেকে পানি পড়ছে। প্রচন্ড রাগে পিত্তি জ্বলে গেল ওর। কল বন্ধ করতে করতে চিৎকার করে বললো, মাদার…..Xদ, বারে বারে কল ছাড়তাছোস! বিল কি তোর বাপে ভরবো!! ঘন্টাখানেক শুয়েছে, শুনলো, রান্নাঘরে বাসন-কোসনের ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। এবার আর বিছানা থেকে উঠলো না। শুয়ে শুয়েই চিতকার করে বললো, খানXর…...পোলা, আওয়াজ করতাছোস কর, কোন কিছু ভাঙ্গলে তোর বাপের কাছ থিকা পয়সা উসুল করুম কইলাম। বাকী রাতটা দোয়াদরুদের কল্যানে হোক আর ওর গালাগালির চোটেই হোক, আর কোন উৎপাত হলো না।
পরবর্তী ক‘টা দিন ভুত আর রাশেদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চললো। এর মধ্যে ভুতটা আর দেখা দেয়নি। তবে ওকে ভয় দেখানোর জন্য অনবরত বিভিন্ন ধরনের কান্ডকীর্তি করেছে। আর রাশেদও বাংলা, হিন্দি আর ইংরেজিতে যতো গালি ওর স্টকে ছিল, সব ওটার উপর ঝেড়েছে। এ‘কদিনে একটা ব্যাপার খেয়াল করেছে ও। যখনই মা-বাপ তুলে বিশ্রি বিশ্রি গালি দেয়, ওটা বেশ অনেকটা সময় নিশ্চুপ থাকে। তারমানে এ‘ধরনের গালি ভুতটার হজম করতে বেশ কষ্ট হয়। হাজার হলেও বৃটিশ ভুত, মান-ইজ্জতের বুঝ ভালোই আছে মনে হয়। ফলে, আরো উৎসাহী হয়ে এখন মা-বাপ ছাড়া কোন গালিই দেয় না রাশেদ। নিজের স্টক ফুরিয়ে যাওয়াতে এদিক-সেদিক ফোন করে দেশী-বিদেশী এ‘ধরনের আরও অনেক গালি যোগাড় করে নিজের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে।
আরো সপ্তাহ দু‘য়েক পর একদিন রাতে ল্যাপটপে অফিসের কিছু দরকারী কাজ করছে রাশেদ, হঠাৎ শস্তা চুরুটের সেই তীব্র গন্ধে ঘরটা ভরে গেল। না তাকিয়েই অনুভব করতে পারলো রুমে রাখা চেয়ারটাতে কেউ একজন এসে বসেছে। কিছুটা ভয় পেলেও চেহারায় একটা নির্বিকার ভাব ফুটিয়ে তুলে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকার ভান করলো ও।
শ্লেষ্মাজড়ানো সেই পরিচিত ভারী গলায় কথা বলে উঠলো ভুতটা, বাংলাদেশীগুলা ছ্যাচড়া টাইপের হয় জানতাম, কিন্তু এতো ছ্যাচড়া জানতাম না। গত ত্রিশ বছর ধরে এই বাড়িতে থাকি, এমন সমস্যায় আর পরি নাই। হোয়াইট কেউ এই বাসায় থাকলে আমার আপত্তি নাই, কিন্তু ব্ল্যাক কাউকে এই বাসায় আমি এ্যলাও করবো না। আগের দুইটারে খেদাইছি, তোরেও খেদামু। তুই এই বাড়ি আপোষে ছাড়বি কিনা ফাইন্যাল কথা জানতে চাই আমি।
এবার চোখ তুলে তাকালো রাশেদ। দেখলো, ভয়ংকর চেহারার এক বৃদ্ধ বসে জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে। পাত্তা দিল না ও। বেপরোয়াভাবে বললো, ছাড়ুম না। যা বাX...ফালানোর ফালাইতে পারোস তুই। শালা রেসিস্টের বাচ্চা রেসিস্ট!! তুই ক্যান, তোর বাপ-মা চৌদ্দগুষ্ঠি আইলেও ছাড়ুম না। বাপ-মা সংশ্লিষ্ট অতি জঘন্য আর কুৎসিত আরো কিছু গালি মেশিনগানের ব্রাশ ফায়ারের মতো বেরিয়ে এলো ওর মুখ দিয়ে।
এমন জঘন্য গালি শুনে একটা বিভ্রান্ত করুণভাব ফুটে উঠলো ভুতটার চেহারায়। বললো, এ্যাই….ভদ্রভাবে কথা বল। আমার মরা বাপ-মা তুলে গালাগালি করবি না। কিসব মন্ত্র পড়োস তুই প্রত্যেকদিন। কোন একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে….তোকে কিছু করতেও পারি না। আজকাল মাঝেমধ্যে দুঃখে আমার মরে যেতে ইচ্ছা করে। আমার সুখের সংসারে আগুন দিয়েছিস তুই!
এবার তেড়ে গেল রাশেদ। সুখের সংসার! আমার বাড়িতে তোর কিয়ের সুখের সংসার রে হুমুন্ধির পুত! নেহায়েত বুইড়া একটা ভুত তুই। নাইলে লাত্থি দিয়া কবেই বাইর করতাম তোরে। ভুতের আবার মরন! মরবি তো মর, মানা করছে কে? তয় এই বাড়িতে না….দুরে গিয়া মর। আর শোন, আমি ব্ল্যাক না। তোগো মতো সাদা না হইলেও আমারে আমাগো দ্যাশে কয় ফর্সা। শালার কালার ব্লাইন্ড বর্ণবাদী ভুত কুনহানকার! তোর বাপ-মার তোর মতো একটা নালায়েকরে জন্ম দেয়াটাই ছিল চরম ভুল! শালা বেজন্মা খবিস!!
আচ্ছা, আচ্ছা…...চেতিস না। সাদা-কালা দুইভাই মিলেমিশেই থাকি এই বাড়িতে কিছুদিন, কি কস! এর মধ্যে নতুন আস্তানা পেলে শিফট করবো ভাবছি যতো তাড়াতাড়ি পারি।
আবারও কালা!! রাগ করতে গিয়েও হেসে ফেললো রাশেদ। বললো, মানুষ…..থুক্কু, ভুত হিসাবে তুই আসলে খুব একটা খারাপ না। থাক, যতোদিন ইচ্ছা। খালি আমারে বিরক্ত করবি না রাইতে। সারাদিন কামের পরে মন-মেজাজ কইলাম খুব খারাপ থাকে আমার। তবে পারলে তোর চুরুটের ব্র্যান্ডটা বদলা। বিদঘুটে গন্ধ ওইটার, বমি আসে। চাইলে আমার প্যাকেট থিকা বাংলাদেশী বেনসন লাইট ট্রাই করতে পারোস। চমৎকার সিগারেট। বাপের জন্মেও খাস নাই তুই!
আবার বাপ? এবার রাগ করতে গিয়ে ভুতটাও হেসে দিল। বললো, তোর যা মেজাজ! আর মুখ খারাপের যা বহর!! এতো গালাগালি আমি বাপের জন্মেও শুনি নাই!
বুইড়াভাম ভুতটাকে এখন আর মোটেও ভয়ংকর মনে হচ্ছে না রাশেদের, বর্ণবাদীও না!!!
ছবিঃ গুগল থেকে।।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮