বিশ্বে এখনও অনেক দেশ আছে যারা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব একটা জানেনা। মাঝে মধ্যে কিছু নেতিবাচক শিরোনামে বিশ্বগণমাধ্যমে বাংলাদেশের নাম আসে। এতে বহির্বিশ্বে যারা বাংলাদেশকে চেনে তার অধিকাংশ চেনে নেতিবাচক বাংলাদেশ। তারপরও বিশ্বে উন্নত দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকের বেশ কদর কারণ সস্তা শ্রম, কর্মঠ কর্মী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রবাসীরা দেশে মুদ্রা পাঠায় কারণ মাতৃভূমি প্রবাসীদের শেষ কথা। নাড়ীর টান, মাটির টান, ফেলে আসা শৈশব আর ফিরে জন্মভুমিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আশা। প্রবাসীদের এই প্রবল দেশপ্রেমকে দুর্বলতা মনে করে এই অবৈধ সরকার।
অবৈধ সরকার ঘোষনা করেছে, যেকোন প্রবাসী বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে হলে অবশ্যই করোনা টেষ্ট ও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। আর তার জন্য প্রবাসীকে ৩৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। কিন্তু দেশের যেকোন জনগন করোনা টেস্ট করতে লাগে ২০০ টাকা। যদিও বিশ্বে অন্যান্য দেশে করোনা টেস্ট ফ্রি। আর প্রবাসীদের লাগবে ৩৫০০ টাকা আমার প্রশ্ন হচ্ছে প্রবাসীদের উপরে এতো জুলুম কেনো? প্রবাসীরা কি দেশের নাগরিক না? তাহলে তাদের কেনো অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে? সরকারের উচিত ছিল এই টাকা সরকারের বহন করা। কিন্তু তারা তো বৈধ সরকার না, তাই এতো জুলুম। দেশের সব সেক্টর যখন বসে গেছে তখন এই প্রবাসীরাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। বিগত ৬ মাস প্রবাসীরা দেশে রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রা পাঠিয়েছে, তাও আবার অনেকাংশে ত্রাণ তৎপরতার জন্য। তারপরেও কেনো প্রবাসীদের উপর এতো বড় একটা বাড়তি চাপ। এই টাকা দিয়ে অবৈধ সরকার চোর ও দুর্নীতিবাজ লালন পালন করছে। আবার টেস্ট নিয়েও বিড়ম্বনার শেষ নেই। কথায় আছে, গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল! বাংলাদেশ দেশ থেকে করোনা টেস্টের সনদ কোন দেশেই গ্রহণ করছেনা কারণ সব ভুয়া সনদ। কিছুদিন আগে ইটালিতে বাংলাদেশী যাত্রীদের নামতেই দেয়নি। সরাসরি ফেরত পাঠিয়েছে। লন্ডনে কাতার এয়ার থেকে তিন বাংলাদেশী যাত্রী ফেরত কারণ বাংলাদেশী কোন সনদ কেউ বিশ্বাস করেনা এবং গ্রহণ করেনা। এরই মধ্যে শাজাহান খানের মেয়ে করোনা হওয়ায় ভাল চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠাতে চেয়েছিল। সেখানেও প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছিল কিন্তু আন্তঃকন্দলের কারণে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। হায়রে দেশর অবস্থা!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৯