অনেক ধরনের প্রতিবন্ধীত্ব আছে। এই যেমন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মানুষিক প্রতিবন্ধী। সব প্রতিবন্ধীত্বই কষ্টদায়ক তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী অনেকাংশে কর্মক্ষম। কিন্তু মানুষিক প্রতিবন্ধীত্ব খুবই পীড়াদায়ক কারণ মস্তিস্ক অকেজো। মস্তিষ্ক অকেজো হলে অনেক শক্তিশালী দেহও কাজে আসেনা।
আমরা জাতি হিসেবে একটি প্রতিবন্ধী জাতি হিসেবে অভিহিত বলে আমি মনেকরি। আমরা হলাম মানুষিক প্রতিবন্ধী জাতি এবং হীনমন্যতায়ও জর্জরিত। সুঠাম দেহের মত আমাদের আছে নিজস্ব দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কিন্তু মননে মগজে আমরা ভারসাম্যহীন। মানে মানুষিক প্রতিবন্ধী জাতি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও চরম সত্য মানুষিক প্রতিবন্ধীত্ব আমাদের একেবারে অক্ষম করে রেখেছে।
সব অন্যায় আমরা প্রতিবাদ করব আবার সব মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সহমর্মিতাও জানাব তবে নিজেদের দিকেও তো একটু নজর দিতে হবে। তাই না?
সামাজিক মাধ্যমে আমরা এখন বৈরুত নিয়ে খুব শোকাহত কিন্তু আমার ঘরে যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ তো করিই না, অতটা উদ্বিগ্ন নই। বরঞ্চ শোষকের পদ লেহন করে চলেছে অবিরত। ভুলে গেলে চলবেনা আপনি আমি যে কেউ হতে পারি পরবর্তী টার্গেট।
সবাই শুধু লাইম লাইটে আসতে চাই। নিজের আত্মীয়, প্রতিবেশী ভুখা কিন্তু তাঁদের সাহায্য না করে ১০,০০০ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করে মার্কেট পেতে চাই। কোরবানির নামে হাকডাক করে গরু কিনে প্রচার করে আলোয় আসতে চাই। একমুঠো দান করে এক কোটি ফটো সেশন করে। মাঝে মাঝে দানও ফেরত নিয়ে নেয় ফটো সেশন করার পরে।
হে প্রভু, হীনমন্যতা ও প্রতিবন্ধীত্ব থেকে আমাদের মুক্তি দাও।