সব আর্টিকুলেট করে আনছিলো প্রাপন। স্নানজলে বাথ নিতে নিতে তার তরল শৌর্যের যোগচিহ্ণ ধুয়ে যাচ্ছিলো। লিবিডোসজল স্বপ্নগুলো আড়মোড়া দিয়ে আড় ভাঙছিলো। হর্ষযন্ত্র সামান্য ভিজে সয়লাব। খর্বুটে হলে মিলিন্দ সোমন যেমন হতো আর কি! স্নানজলে মৃদু গুঞ্জন আর পুনঃ পুনঃ সেই অর্জিত বিরক্তি ভেঙে জলে আছাড় খাচ্ছিলো বালতি। জলের ছিটেয় পুরনো অর্শের দাগ ভিজে যাচ্ছিলো। তারপর তারে মেলে দিতে তাতে ছ্যাঁক ছ্যাঁক চুমো খায় ফণাতোলা রোদ্দুর।
নিজের শরীর থেকে লোকায়ত গন্ধ পাচ্ছিলো প্রাপন। পিরিচে থুতনীর শিশির বেটে খিন্ন হাতে তাকে ছুঁতে ইচ্ছে হচ্ছিলো। ছুঁলেই কিন্তু বৈদ্যুতিক শাপ। আর শাপ থেকে জেগে ওঠে ধুঁতরোমার্কা বিচিতে ষাঁড়ের অবসাদ। অবসাদে থ্যা থ্যা মাদুরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রস্রাব করে নিচ্ছিলো চির ডাইনী নাগর। নাভিতে প্রপাত ছিলো চুলের। কেন্দ্রে ভ্রমর আছে কি না, তা জানতেই বুঝি সুকুল আঙুলগুলো তারিফ করে নেয় স্তনবৃন্ত, পুরুষবৃন্তকে। নিশাদলে ঝাঁঝালো রাগ ফলিয়ে নিজেকে শুধায় প্রাপন, হাম আপকে হ্যায় কওন? প্রশ্নের কিছুক্ষণ পর প্লেগ নেমে আসে মেধায়; মগজ-গাদন দিয়ে পান্তা-পুরুষ ঝরোকার মতো লেগপুল করে। মিহিন বাতাসে পাঁচফুটিয়া সময়ের থুতু বিজ্ঞাপন ধ্যেয় জেনে ধর্মের কল নাড়ায়। ধর্মে ভরে ওঠে স্তনবৃন্ত। ডুবো কাম কৃশ পায়ে নিন্দাপঙ্কে ঘোরে। কষ্টবলয় নাড়া হয় যখন সময় এসে মুতে শুকিয়ে নেয়।
তাড়সের ফেন গালছিলো ভোরাই। ফ্যানের সরে রোদ হাসে, তখন তারও হাসি ভাসে ঠোঁটে। ওষ্ঠ থেকে কে নাগরিক ছিঁড়ে নেয় পুরুষ-ভাষা। স্টোভে চতুর্থীর হেলে পড়া চাঁদ; দিশিমদ, ছোলা-গুড় চাপানো। চাঁদের আলোয় চটপটি, চাট খেতে খেতে কে যেন ধর্মপ্রাণ কয়েক হাজার ঘুঘু ছুঁড়ে দিলো বুনো বাগানে। ধান এসে খেয়ে নিলো পাকা মই। খায়। খায়। মাপা হাতে তোলা ভাত খায় মোহাম্মদ বিষ্ণু। খাওয়ার পরে রাহাজানি হয় ভাতঘুম। কেননা প্রায় তক্ষুণি খচাং চিমটি লাগে কাশবনে। মেঘলা দুপুরে ইজ্জত আর রাখা যায় না। স্বপ্ন পর্দা সরে; মেঘভাঙা ঝুলন, আর ঝুলনে ফোলা পাজামার গিঁট। গিঁটে টান। ভরাটানের তদন্ত হয়। ঘরের ভিতর নগ্ন হতে গিয়ে লোভানি কাঁঠালের ভুঁতি ঢুকে যায়। পর্ণকণা সোহাগী আঙুলে নষ্ট করে নগ্নতা। একা একা ঘুরে যায় ফুল, পেন্সিলদাগের মতো কামরেখা, কষ্টভাষ নেয়ে ওঠে সবুজ চিহ্ণে। একাগাছ, প্রাপন, বীজ নষ্ট হতে পারে ভেবে লেবেল ক্রসিংয়ে ঘোলাটে জোৎস্নাকাদা মেখে পেখম খুলে বসে উদোম ট্রেনে। নীল রক্ত মাখে আধুলি ভিখিরি, মহম্মদ। মাখতে মাখতেই সহবাস জ্বালা একাকী জ্বালায় কোষে কোষে ঝিনুকের মতো ভাঙে, ফাটে, বিস্ফারে। ইঞ্চিখানেক অনিদ্রায়, মৈথুনে, গর্জনতেলে মিঠুন পরিহাস। অথৈ রক্তারক্তি। তবু তো সেই মহাপ্রস্থানে সহাবস্থান, সমপ্রেম। এই কি সেই রয়ে সয়ে ননীচুরির স্বাদ যাচনা- ভাবে প্রাপন, ভাবে মহম্মদ। অনালোকে ফ্যাকাশে শ্যামল কবিত্ব যেন বা। হাঃ। অজাচার শেষে, বিলসন অন্তে পালাক্রমে মো. বিষ্ণু আর প্রাপন ডি স্যুজা যে সকল প্রশ্নের মুখোমুখি হয়, তাতে ভূমিকম্প পড়ে ভূগোলে।
:তোমাদের sexual identity কি?
বিখ্যাত উলট বাতাসে বিভিন্ন কৌণিক আলোতে তাদের যৌনতা সুবিচিত্র। মাতালের মতো পাতাল ফেঁড়ে উঠে আসা এ প্রশ্নে সেজদার ভঙ্গিতে উপুড় হয়ে পড়ে তারা। তখন ফুটো উন্মুক্ত ও দৃশ্যমান হয়...
(পরবর্তী পর্বে সমাপ্য)
(দৈনিক বাংলাবাজার, ১ কার্তিক, ১৪০৪)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



