somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বগতোক্তি_1

৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোনো কোনো দিন আসে ঝলমলে আলোয় নিজেকে মুড়িয়ে নিয়ে, সদ্যমাখানো ঝালমুড়ির মতোন অথবা নতুন নোটের মতোন মচমচে মুড়মুড়ে হ'য়ে; কড়া মাড়ের ইস্তিরি করা শাড়ির মতোন। ওরকম দিনগুলোতে রোদে পুড়ে ভাজা ভাজা হ'তেও কিরকম যেন ভালো লাগে, অন্যায্যভাবে সব্বাইকে খুউব আপন মনে হ'তে থাকে, খালি পেটে সিগ্রেট খেলেও বুক জ্বালাপোড়া করেনা- এবং সবচে' খারাপ যেটা হয়; নিজের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে ইচ্ছে করে। বিশ্বাস ক'রতে ইচ্ছে হয় অ্যালকোহল ছেড়ে দেয়াটা আদতে খুবই মামুলি ব্যাপার, চাইলে সেই মুহূর্ত থেকেই আড়ি হ'তে পারে। হুট ক'রে ম'রে-ট'রে যাবার আগেই মৃত্যুপথযাত্রী বাবার সাথে কোমল স্বরে দু-চারটে বাক্যবিনিময় করা উচিত বলে ভ্রম হ'তে থাকে- বাবার বিস্ময়ের বহিঃপ্রকাশ যদি বিব্রতকররকমের জোরালো না হয় চাই কি আরেকধাপ এগোনোও যেতে পারে; ভাবি। এগিয়ে একসাথে রাতের খাবারটা খেলাম হয়তো গল্প করতে করতে। মোট কথা, থেকে থেকে কেবলই মনে হ'তে থাকে চমৎকার সেই সময়টির সাথে সত্যিকারের আমার সহাবস্থান কেবল অশোভনই নয়, কদর্যরকমের দৃষ্টিকটু। বদলে যেতে হবে, বদলানো জরুরী! এখুনি মোক্ষম সময়- মনে হ'তে থাকে। ভেজাল মোমের মতোন দ্রুত পুড়ে যেতে থাকে অন্তর্গত পাপরাশি; প্রতি পলে আমি পূর্বমুহূর্তের চাইতে পবিত্রতর হ'য়ে উঠতে থাকি- পূণ্যবৃষ্টিস্নানে যেমন শুদ্ধ হ'য়ে ওঠে লালচে ধূলোর আস্তর জমা একদাসবুজ গাছ...

ফোন করি। রিং হ'তে হ'তেই বুঝে ফেলতে থাকি আমার বানোয়াট ভালোমানুষীর মেয়াদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে দাঁতাল শূয়োরের শুভ্র সফেদ দাঁত। শূয়োরের গলায় স্বর ফোটে না। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার আগে দূর্বলস্বরে হ্যালো শোনা বার কয়েক।

গলাটা ভেজানো দরকার; শূয়োর ভাবে। যা বিশ্রী গরম আজ...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×