কোনো কোনো দিন আসে ঝলমলে আলোয় নিজেকে মুড়িয়ে নিয়ে, সদ্যমাখানো ঝালমুড়ির মতোন অথবা নতুন নোটের মতোন মচমচে মুড়মুড়ে হ'য়ে; কড়া মাড়ের ইস্তিরি করা শাড়ির মতোন। ওরকম দিনগুলোতে রোদে পুড়ে ভাজা ভাজা হ'তেও কিরকম যেন ভালো লাগে, অন্যায্যভাবে সব্বাইকে খুউব আপন মনে হ'তে থাকে, খালি পেটে সিগ্রেট খেলেও বুক জ্বালাপোড়া করেনা- এবং সবচে' খারাপ যেটা হয়; নিজের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে ইচ্ছে করে। বিশ্বাস ক'রতে ইচ্ছে হয় অ্যালকোহল ছেড়ে দেয়াটা আদতে খুবই মামুলি ব্যাপার, চাইলে সেই মুহূর্ত থেকেই আড়ি হ'তে পারে। হুট ক'রে ম'রে-ট'রে যাবার আগেই মৃত্যুপথযাত্রী বাবার সাথে কোমল স্বরে দু-চারটে বাক্যবিনিময় করা উচিত বলে ভ্রম হ'তে থাকে- বাবার বিস্ময়ের বহিঃপ্রকাশ যদি বিব্রতকররকমের জোরালো না হয় চাই কি আরেকধাপ এগোনোও যেতে পারে; ভাবি। এগিয়ে একসাথে রাতের খাবারটা খেলাম হয়তো গল্প করতে করতে। মোট কথা, থেকে থেকে কেবলই মনে হ'তে থাকে চমৎকার সেই সময়টির সাথে সত্যিকারের আমার সহাবস্থান কেবল অশোভনই নয়, কদর্যরকমের দৃষ্টিকটু। বদলে যেতে হবে, বদলানো জরুরী! এখুনি মোক্ষম সময়- মনে হ'তে থাকে। ভেজাল মোমের মতোন দ্রুত পুড়ে যেতে থাকে অন্তর্গত পাপরাশি; প্রতি পলে আমি পূর্বমুহূর্তের চাইতে পবিত্রতর হ'য়ে উঠতে থাকি- পূণ্যবৃষ্টিস্নানে যেমন শুদ্ধ হ'য়ে ওঠে লালচে ধূলোর আস্তর জমা একদাসবুজ গাছ...
ফোন করি। রিং হ'তে হ'তেই বুঝে ফেলতে থাকি আমার বানোয়াট ভালোমানুষীর মেয়াদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে দাঁতাল শূয়োরের শুভ্র সফেদ দাঁত। শূয়োরের গলায় স্বর ফোটে না। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার আগে দূর্বলস্বরে হ্যালো শোনা বার কয়েক।
গলাটা ভেজানো দরকার; শূয়োর ভাবে। যা বিশ্রী গরম আজ...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



