একটি সবুজ চিঠি তাকে দেব বলে রেখেছিলাম
যত্ন করে । কিন্তু, তাকে দিতে পারলাম কই ?????
তার আগেই তো সে চলে গেল
দূরে - বহু দূরে –
সে দিন ছিল বৈশাখ মাস । ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর ।
পিয়াসায় ছাতি ফাটে অবস্থা ।
চার ধারে শুধু কাকা ডাকে
আর সব চুপ । কা কা কা ।
ঘরে গুমোট গরম, সময় থমকে আছে
এমন সময় তাকে চিঠি লিখলাম,
চিঠি লিখলাম তাকে –
লিখলাম – বসন্ত আসবে -
বৈশাখের পর জ্যৈষ্ঠ, তারপর
আষাঢ় শ্রাবণ, তারপর কিছুদিন,
তারপর একদিন বসন্ত ।
তাকে লিখলাম – নতুন কুঁড়ি গজাবে
শাখায়, গাছ লতা পাতা সতেজ হবে
ফুল ফুটবে – লিখলাম তাকে – ফুল ফুটবে
অগনিত, ঝাঁকে ঝাঁকে,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে লাল বন্যার মত ।
চিঠিটা তাকে দেব বলে রেখে দিলাম যত্ন করে
কিন্তু তাকে দিতে পারলাম কই ???
সেই যে আষাঢ় এলো, তার পর শ্রাবণ,
ভরা বর্ষার দিনে সে চলে গেল সাম্পান চড়ে।
আমি তীরে ছিলাম - তাকে বিদায় দিলাম -
শুধু চিঠিটাই দেয়া হল না ।
বড় বড় ঢেউ তুলে সে চলে গেল দূরে
বহু দূরে - বড় বড় ঢেউ তুলে
বৃষ্টি ভেজা নদীর জলে; শো শো বাতাস -
চারদিকে বৃষ্টির সাদা চাদর,
সব কেমন ঝাপসা লাগে ।
সে দিন থেকে আমার সব শ্রাবণ দিন;
বিস্তীর্ণ ধান খেতে দাঁড়িয়ে একা
মাথার উপর ঝুম বৃষ্টি, শো শো বাতাস -
ধান ক্ষেত উথাল পাথাল
উন্মক্ত মাতাল – বাতাস – বৃষ্টি – হিম –
বৃষ্টির ঝাপসা সাদা চাদর
আমি খোলা আকাশের নিচে কাক ভেজা হই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৪