রাতে ঘুম হয়নি।
হওয়ার কথাও নয়।
অনেকগুলো করোনা সংক্রান্ত লেখা
পড়ে কিছুটা দুশ্চিন্তাবোধ করছি।
জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দেখলাম তিনমাস পর বিশাল মৃত্যুর ঝুঁকির দিকে পৃথিবী ।
ঘুম আসে কি করে???
ক্লান্তিকর সকাল থেকে
কাজ করতে হয় বারোটা পযন্ত,
খুব বিরক্ত হই,
বছরের পর বছর দুর্ভোগ কার
ভালো লাগে???
আমাদের জীবনতো গেল
দাবানলের উপর বসে।
সামনে কি হবে???
ঘরের কাজগুলো আমাকে আজকাল
বেশি অস্থির করে তোলে।
ঘরের কাজ শেষ হতে চায়না।
শরীর ভালো থাকলে কোন
রকম হয়ে যায়।
যেদিন ক্লান্ত বা অসুস্থ থাকে সেদিন চরম বিরক্ত হই।
সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল।
লম্বা এবং ভীষন কস্টকর একটা
সময় পার করেছি বলে
বুঝানো যাবেনা।
বিশ্বব্যাপি মহামারী থামিয়ে দিলো এক ঝটকায়,
অন্যদিকে বাবার অসুস্থতা,
আমি কি করতে পারি??
ধৈর্য্য ধরা ছাড়া???
তবে বড় কস্ট হয় দীর্ঘ সময় এভাবে নিজেকে ধৈর্যের বাঁধনে শৃংখলিত করে রাখতে।
এ সব আমি কেন লিখছি???
এর সমাধান তো আমারই করতে হবে।
তবু লিখছি বাস্তবতা লুকানোর
কোন প্রয়োজনবোধ করি না আমি কোনদিন।
এর পিছনে বড় কারন হলো
ভবিষৎত প্রজম্নের অধিকতর
সচেতনতার জন্য।
তাদের জানিয়ে যাই,
কোন প্রকার আবেগ কাজ
করে না জীবনের হিসেব-নিকেষে।
আমার জীবনে আমি যে কতটা
বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি তার
গল্প বলে শেষ করা যাবেনা।
তবে এর বেশির ভাগ ঘটনা
নিজের জন্য সৃস্টি হয় নি।
অতি আবেগপ্রবন মানুষের হেয়ালীপনায়
জীবন বার বার অতিষ্ট হয়েছে ।
আমি এই ঘুরপাকের চোরাবালি
থেকে বের হতে পারিনা।
আমি বের হয়ে গেলে
বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে যাবে।
তা ভাবতে ইচ্ছে করে না।
তবে বের হওয়ার জন্য
মনটা অস্থির।
আমাকে এবার বের হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪