পারিপার্শিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জীবনকে উপভোগ করা ভুলে গেছি।
তাই মিত্যুকে আপন মনে হয়।
কেউ কথায় কথায় মিত্যু চায় কেউ আবার অসহ্য হয়ে
আত্নহননের পথ বেছে নেয় ।
কি অদ্ভুত আমাদের জীবন।
আরো বৈচিত্র্য তা যাপনে,
জীবনের এই বৈচিত্র্যতায় থাকে হাসি-আনন্দ,দুঃখ-কষ্ট,পাওয়া না পাওয়ার
কত হিসেব নিকেশ???
বেশিরভাগ মানুষ জীবনের
এই পরিক্রমায় হতাশাকে
আলিঙ্গন করে বসে থাকে।
জীবন বড় অসহ্য মনে হয় তাদের কাছে,
এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে আত্নকেন্দ্রিক।
কারো কাছে এরা সহজ ভাবে
কোন কিছু প্রকাশ করে না।
কেউ আবার এর বিপরিত।
নিজেও ভালো থাকেনা,
অন্যকে ভালো থাকতেও দেয়না।
নিজের অস্থিরতায় ঘিরে রাখে
আশে পাশের সবাই কে।
কারো ভালো থাকা কিংবা মন্দ থাকাটা অনেকটা ছোঁয়াচে রোগের মতো,
একজন হাসলে যেমন
পাশের জন হাসে,
একজন কাঁদলে বা কস্টে থাকলে তার ছায়া আশে
পাশে ছড়িয়ে পরে।
একসময় প্রায় পুরো পরিবার
হাসতে ভুলে যায় ।
তারা দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে
একসময় ক্লান্ত হয়ে পরে এবং
দ্রুত মৃত্যু কামনা করে ।
কিন্তু,ব্যাপারটা যদি দুটোর কোনোটাই না হয়ে বেঁচে থাকার সত্যিকার উদ্দেশ্য জানা হতো,তাহলে আর যাই হোক
বিষাদ ভর করতো না
মগজে মগজে।
বেঁচে থাকার আকুলতা
থাকতো প্রানের মাঝে ।
পাশে বসে প্রিয়জনের হাতটা
ধরে দুদন্ড কথা বলার জন্য অস্থির থাকতো মন।
পরিবারের প্রতি আত্নিক টানে
যে যেখানেই থাকি না কেনো ঘরে ফিরে আসার জন্য অস্থির থাকতো মন।
এতো বিষাদ?
এত অস্থিরতা?
অথচ করোনায় মিত্যু থেকে
বেঁচে থাকার জন্য কি আপ্রান চেস্টা চলছে আমাদের ।
আসলে জীবন এটাই।
সবকিছুর পরেও বেঁচে থাকার
লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং লড়াইয়ের মাঝেই
মানুষকে ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪