পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে।
শ্রাবণ মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য
আমি থাকবো না কোনো মানে হয়??
ছোটবেলা থেকেই আমি বই
পড়তে খুব পছন্দ করতাম।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখার সাথে আমার পরিচয়, যখন আমি ক্লাস সেভেনে
(সম্ভবত) পড়ি, "আজ হিমুর বিয়ে"
উপন্যাস দিয়ে।
তারপর থেকে উনার লেখার জাদুতে
"হিমু" র প্রায় সব উপন্যাসই পড়ে ফেলি।
যদিও বই গুলো এখন নেই,
বন্ধুরা পড়তে নিয়ে আর কখনো ফেরত দেয়নি,
আমার পড়া স্যারের বই গুলোঃ-
*হিমু সমগ্র
*মিসির আলি-
দেবী,নিষাদ,পুফি,অন্য ভূবন,অনীশ.
*কৃষ্ণপক্ষ
*ছায়া বীথী
* জ্যোৎস্না ও জননী
*আজ আমি কোথাও যাব না
*কুটু মিয়া
* কুহুরানী
*বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল
*সানাউল্লার মহা বিপদ
* সাইন্স ফিকশন সমগ্র
*আত্মজীবনী - আমার ছেলেবেলা,
হিজিবিজি।
*ভূত ভূতং ভূতৌ
*গল্প সমগ্র
*আজ দুপুরে তোমাদের নিমন্ত্রণ,
অসাধারণ টান ছিলো উনার লেখায়।
এমন হতো যে, স্যারের লেখা পড়ার অন্য সব লেখা কেমন পানসে লাগতো কিছুদিন।
তার লেখা কখনো কখনো হাসতে হাসতে কাঁদিয়ে দিতো। উনার চরিত্র উপস্থান দারুণ।
আমার প্রিয় চরিত্র অবশ্যই হিমু।
হিমুর বেখেয়ালি জীবন-যাপন,
উদাসীনতা দারুণ লাগত।
তবে রূপার প্রতি তার মনোভাব
মাঝেমধ্যে খুব রাগাতো।
যতদিন পৃথিবীতে বাংলা সাহিত্য বেঁচে থাকবে ততদিন উনি বেঁচে থাকবেন তার
লেখা প্রতিটি পাতায়,প্রতিটি চরিত্রে,
যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়...!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০১