দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমাযানের ৫ম দিন পেরিয়ে ষষ্ঠ দিন শুরু হল। প্রচন্ড গরম আর দীর্ঘ দিবসের ভয় নিয়ে শুরু করা রমাযান এখন অনেকটাই সহনশীল। আমার মত কমজোর অনেকেই হয়তো দিনের তাপমাত্রা একটু কমাতে অনেক স্বস্তি পেয়েছেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত তাপমাত্রা কমানোর অন্যতম কারিগর। বিশেষ করে ঢাকা শহরের প্রচন্ড গরমে বৃষ্টিপাত ঠিক যেন আল্লাহতায়ালার রহমত হয়েই এসেছিল। পরিবর্তিত আর একটি পরিস্থিতি হল ঢাকা শহরের যানযটের কমতি। সাধারণ মানুষ হয়তো ভুলতেই বসেছিল যে ঢাকা শহর এরকম যানযটমুক্ত দেখা যেতে পারে। এটা হয়তো সাময়িক, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। দুপুর বেলায় কিংবা ইফতারের পরে রাস্তায় বের হলে যেন ঢাকাকে চেনা যায় না। মোটামুটি দুরের গন্তব্যে পৌছতেও আধ ঘন্টার বেশি লাগে না। যেমন রামপুরা থেকে নিউমার্কেট পৌছতে মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগে। এটা যেন কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। হয়তো এটা আর দুই-একদিন পরে দেখা যাবে না। কারণ তখন ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ কেনাকাটা করতে বের হবে। তবে ক্ষণস্থায়ী এই পাওয়াটুকুই বা কম কিসে?
আমাদের স্বপ্নের ঢাকা শহর এরকম যানযটমুক্ত থাকবে এটা আমরা কতই না চাই। তাহলে আসুন না সবাই একত্রে আমরা আর একটু সচেতন হই, হিসেবি হই। সবাই মিলে সরকারকে সহায়তা করি যানযটমুক্ত ঢাকা শহর গড়তে। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের নিজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন গুলো মেনে চলি তবেই বিষয়টি এক ধাপ এগিয়ে যায়। ঢাকা শহরকে স্থায়ীভাবে যানযটমুক্ত করতে প্রশাসন ও শিল্প বিকেন্দ্রিকরণের কোন বিকল্প নেই। তবে এই কাজটাকে সরকারের জন্য একটু সহজ করে দিতে তো আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ আমরা সবাই একটু শান্তি চাই। তবে আসুন না সবাই নিজেকে একটু মানিয়ে চলি। একটা প্রতিজ্ঞা করি- “সবসময় ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলব, রাস্তা পেরোনোর সময় নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে সিগন্যাল দেখে রাস্তা পেরোব, রাস্তার পাশের ফুটপাত ধরে হাঁটব, যত্রতত্র গাড়িতে উঠব না বা নামব না ইত্যাদি”। আমি জানি এই বিষয়গুলো আপনারা আমার চেয়েও ভাল জানেন, শুধু মনকে বোঝান যে এগুলো মেনে চলতে হয়। আমরা চাইলে কে আমাদের ভাল কাজ করতে ঠেকাবে বলেন। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের এই শহরটিকে অধিক বসবাসযোগ্য করে তুলি।
সবার প্রতি রমাযানের মোবারকবাদ এবং ঈদ-উল-ফিতরের আমগাম শুভেচ্ছা রইল। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





