somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন পূরণের পথে

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমাযানের ৫ম দিন পেরিয়ে ষষ্ঠ দিন শুরু হল। প্রচন্ড গরম আর দীর্ঘ দিবসের ভয় নিয়ে শুরু করা রমাযান এখন অনেকটাই সহনশীল। আমার মত কমজোর অনেকেই হয়তো দিনের তাপমাত্রা একটু কমাতে অনেক স্বস্তি পেয়েছেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত তাপমাত্রা কমানোর অন্যতম কারিগর। বিশেষ করে ঢাকা শহরের প্রচন্ড গরমে বৃষ্টিপাত ঠিক যেন আল্লাহতায়ালার রহমত হয়েই এসেছিল। পরিবর্তিত আর একটি পরিস্থিতি হল ঢাকা শহরের যানযটের কমতি। সাধারণ মানুষ হয়তো ভুলতেই বসেছিল যে ঢাকা শহর এরকম যানযটমুক্ত দেখা যেতে পারে। এটা হয়তো সাময়িক, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। দুপুর বেলায় কিংবা ইফতারের পরে রাস্তায় বের হলে যেন ঢাকাকে চেনা যায় না। মোটামুটি দুরের গন্তব্যে পৌছতেও আধ ঘন্টার বেশি লাগে না। যেমন রামপুরা থেকে নিউমার্কেট পৌছতে মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগে। এটা যেন কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। হয়তো এটা আর দুই-একদিন পরে দেখা যাবে না। কারণ তখন ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ কেনাকাটা করতে বের হবে। তবে ক্ষণস্থায়ী এই পাওয়াটুকুই বা কম কিসে?
আমাদের স্বপ্নের ঢাকা শহর এরকম যানযটমুক্ত থাকবে এটা আমরা কতই না চাই। তাহলে আসুন না সবাই একত্রে আমরা আর একটু সচেতন হই, হিসেবি হই। সবাই মিলে সরকারকে সহায়তা করি যানযটমুক্ত ঢাকা শহর গড়তে। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের নিজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন গুলো মেনে চলি তবেই বিষয়টি এক ধাপ এগিয়ে যায়। ঢাকা শহরকে স্থায়ীভাবে যানযটমুক্ত করতে প্রশাসন ও শিল্প বিকেন্দ্রিকরণের কোন বিকল্প নেই। তবে এই কাজটাকে সরকারের জন্য একটু সহজ করে দিতে তো আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ আমরা সবাই একটু শান্তি চাই। তবে আসুন না সবাই নিজেকে একটু মানিয়ে চলি। একটা প্রতিজ্ঞা করি- “সবসময় ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলব, রাস্তা পেরোনোর সময় নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে সিগন্যাল দেখে রাস্তা পেরোব, রাস্তার পাশের ফুটপাত ধরে হাঁটব, যত্রতত্র গাড়িতে উঠব না বা নামব না ইত্যাদি”। আমি জানি এই বিষয়গুলো আপনারা আমার চেয়েও ভাল জানেন, শুধু মনকে বোঝান যে এগুলো মেনে চলতে হয়। আমরা চাইলে কে আমাদের ভাল কাজ করতে ঠেকাবে বলেন। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের এই শহরটিকে অধিক বসবাসযোগ্য করে তুলি।
সবার প্রতি রমাযানের মোবারকবাদ এবং ঈদ-উল-ফিতরের আমগাম শুভেচ্ছা রইল। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×