আজ সেই দিন।
হ্যাঁ আজকেই সেই দিন।
ভেবে অনেক খারাপ লাগছে। আগামী ২৪ তারিখে ছয় বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু আমি আর অপেক্ষা করছি না। আমার যাওয়ার সময় যে হয়ে এল। আজ বিখ্যাত সেই কথাটা মনে পড়ছে- “বেলা যে ফুরিয়ে এল জলকে চল...”। কিছুদিন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল খুব একটা বোধ হয় খারাপ লাগবেনা। কিন্তু এখন বুঝছি- এত সহজ না। বিদায় বেলা যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মনটা পোড়াচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই বিদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছি। বেশিরভাগ কাজ গোছানো ছিল। শেষটুকু শুধু আজকের জন্য ছিল। সেও কম না। সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেও গুছিয়ে নিতে প্রায় দশটা বাজল। এখন অপেক্ষা করছি।
বুকের ভিতরটা খুব মোচড়াচ্ছে। এটা কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। ভুক্তভোগী মাত্রই ব্যাপারটা বোঝে।
আজ আমি আমার দীর্ঘ ছয় বছরের আবাসস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছেড়ে যাচ্ছি। যারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হলে কাটিয়েছেন তারা আমার কষ্টটা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।
কিছুদিন থেকেই বাসা খুজছিলাম। পেয়ে গেলাম। তখন মনে হচ্ছিল- এইতো নতুন বাসায় উঠব, কত মজা। নতুন বাসার জন্য কেনাকাটাও বিস্তর করতে হল। খুশিমনেই কেনাকাটা সারলাম। কিন্তু এখন যখন চূড়ান্ত সময় আসল, তখন বুঝলাম এটা এত সহজ ব্যাপার নয়। কয়েক দিন থেকেই এটা-সেটা কিনে বাসায় রেখে আসছিলাম। নিজের জিনিসপত্রও কিছু রেখে এসেছি। তারপরও অনেক বাকি। দুইজন ছোট ভাই আসছে। ওরা এলে ওদের সহযোগিতায় মালামাল নিয়ে একসাথে বের হব।
বের হব কথাটা ভাবতেই বুকের ভিতরটা চিনচিন করছে। সত্যি বলছি।
সকাল বেলায়ও বিষয়টা তেমন নাড়া দেয়নি। এখন কবিগুরুর সুরে বলতে ইচ্ছে করছে-
ছেড়ে নাহি যাব হায়...
তবু ছেড়ে যেতে হয়...
তবু ছেড়ে যায়...
সবাই দোয়া করবেন যেন নতুন বাসার নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিয়ে ভাল থাকতে পারি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





