হটাত পুলিশের উপর প্রচণ্ড রকমের মেজাজ খারাপ হওয়ার একটি মাত্র কারণ, তা হয়ত বুঝতেই পারছেন। যেই নিরীহ ছাত্রগুলিকে আজ পুলিশ পেটাল তারা তো কোন রাজনৈতিক দল করে না, আর নাইবা তারা সরকার পতনের কোন ডাক দিয়েছে। তারা শুধুমাত্র নিজেদের সমুহ বিপদ থেকে বাঁচাবার জন্য পড়ার টেবিল ছেড়ে শেষ চেষ্টায় রাজপথে নেমেছে এবং তাদের ছোটকাল থেকে লালিত স্বপ্ন এবং পরিশ্রম ধ্বংসের জন্য সরকারের এই একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট। শেষ চেষ্টা হিসেবে সরকারের কাছে অনুরোধ করে তারা মৌন মিছিলে রাজপথে নামে যার পরিণতি হিসেবে তাদের অনেককেই পড়ার টেবিল ব্যাতিত মেডিক্যালের বিছানায় দিতে হচ্ছে।
যাই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বেই এই সকল নিরীহ ছাত্রদের উপর পুলিশের বর্বর হামলা আবারও আমাদের দেশের পুলিশের ভ্যারিয়াবল অ্যাটিটিউড প্রমাণিত হয়। ছাত্র, শিক্ষক, পলিটিক্যাল, নন-পলিটিক্যাল, শেয়ার ইনভেস্টর, সাধারণ জনগন, শ্রমিক, মালিক, ধার্মিক, নাস্তিক কেওই এদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। আর উপর থেকে সরকার পুলিশের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে তাদের আদর্শ ইনপুট দিচ্ছে।
পাবলিক অপিনিওন কে দমন করার সবচেয়ে ভাল হাতিয়ার হিসেবে সরকার পুলিশকে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে এদেশের সব সেক্টরের জনগনের উপর সরকার এবং তাদের পোষা বিবেকহীন পুলিশ বাহিনীর অত্যাচারের হাত প্রসারিত হয়েছে। সরকার এমতাবস্থায় সচেতন না হলে বড় ধরনের সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।