somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ফটোগ্রাফি শুরুর গল্প!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ফটোগ্রাফি ভালোবাসি! জানি বর্তমানে কাকের থেকে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা বেশি! তবে আমি নিজেকে ফটোগ্রাফার বলতে সাহস পাইনা, যেদিন সেরকম কোনো স্বীকৃতি পাবো তখন বলবো!
যাই হোক, ফটোগ্রাফি সম্মন্ধে আমার প্রথম ব্লগ আজ লিখছি। আজকে ফোটোগ্রাফিকে কিভাবে ভালোবাসলাম, কিভাবে শুরু করলাম, কত দূর এগোলাম এসব নিয়ে লিখবো!

আমি আমার এই ১৯ বছরের জীবনে প্রথম সজ্ঞানে ফটো তুলি ২০১০ সালে, ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য। তার আগে কখনো সজ্ঞানে ফটো তুলিনি নিজের, তবে ছোট বেলায় তোলা হয়েছিল।
আমার নিজের বা মানুষের ফটো তুলতে ভালো লাগেনা! আমি পোর্ট্রেট ছাড়া সব তুলতে ভালোবাসি।
যখন ছোট ছিলাম, আমার খালারা স্টুডিও থেকে ফটো তুলে আনত, আমি দেখে অবাক হয়ে যেতাম! একটা মানুষ হুবহু কিভাবে কাগজে ফুটে ওঠে?? (কিন্তু টিভিতে ছবি দেখে অত অবাক হতাম না)
খুব কৌতুহল হতো! তারপর আব্বার কাছে শুনলাম কিভাবে ফটো তোলা হয়। তখন সেই ফ্লিম ক্যামেরা। তবে বাড়িতে ক্যামেরা না থাকায় কোনো দিন ফটো তোলার সুযোগ হয়নি!
তারপর অনেক দিন পর, আমি হয়তো তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, আমার একটা দূর সম্পর্কের মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছিলাম, ওখানে মামার একটা ক্যামেরা ছিল! ওখানে দেখলাম কিভাবে ফটো তুলতে হয়, তবে সুযোগ পেলামনা! কারণ তখন ফিল্মের দাম মধ্যবিত্তের কাছে আকাশ ছোঁয়া। যাইহোক, ক্যামেরাটির উপর আমার নজর পড়ে গেল! প্ল্যান শুরু করলাম কিভাবে হাতানো যায়! বায়না জুড়ে দিলাম মায়ের কাছে, কাজ হলোনা! জেদ শুরু করলাম (ছোটতে খুব জেদি ছিলাম), খাওয়া বন্ধ করে দিলাম (এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ছোটবেলায় অনেক অন্যায় আবদার পূরণ করেছি), তবুও কাজ হলোনা। কারণ আব্বা আমাকে কিছুতেই ক্যামেরা নিতে দেবেনা! আর আব্বার জেদ বরাবরই আমার থেকে ১ কাঠি উপরে(এখনও)!

সেবার ক্যামেরা পেলাম না, কিন্তু তাতে কৌতুহল আরো বেড়ে গেল! তারপর আস্তে আস্তে মোবাইল ফোন এলো। তখন ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি, গ্রামে অনেকে মাল্টিমিডিয়া ফোন কিনতে শুরু করলো(বেশির ভাগ চাইনা, যাদের একটু সামর্থ ছিল তারা নোকিয়া), সবাই ফটো তুলতো, দেখতাম আর ভীষণ ইচ্ছে করতো ফটো তুলতে(কিন্তু যারা ফোন কিন্তু তাদের মাটিতে পা পড়তোনা, তাছাড়া ছোট ছিলাম তাই কেও দিতনা)! যাদের একটু দয়া হতো তারা দিত, ওই একটু পেয়েই যে ফটো তুলে আনন্দ পেয়েছি তা কখনো পাইনি!

তারপর ২০১৩ সালে দশম শ্রেণী পাস করে শহরে পড়তে গেলাম, আব্বা ফোন কিনে দিলো একটা নোকিয়া সাদা কালো। সেটাকে ভেঙে ফেললাম। তারপর পেলাম একটা এন্ড্রোইড ফোন, Gionee P3, তাতে ৫ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা লাগানো! শুরু করলাম ক্লিক! শুধু ক্লিক! ক্লিক! ক্লিক! যাই দেখি তাই তুলি আর ফটো তোলার পর ভালো না লাগলে ডিলিট!

ফোন কেনার পর একদিন বন্ধুর সাথে কোথাও যাচ্ছিলাম, রাস্তার ধারে একটা সাদা ফুল দেখলাম, খুব ভালো লাগলো, করলাম ক্লিক! বন্ধু অন্য দিকে ব্যস্ত থাকায় আমার ফটো তোলা দেখতে পাইনি! ওকে যখন দেখলাম বললাম তুললাম ফটোটা, ও বিশ্বাসই করলনা! বলছে গুগল থেকে সার্চ করা! খুব ভালো লেগেছিল সেদিন যদিও জানি ওর ফটোগ্রাফির ধারণা খুব কম (এখন অনেক কিন্তু অনেক বেশি জানে) তাই ওই কথা বলেছিল! আক্ষরিক অর্থে সেটাই ছিল আমার প্রথম ফটোগ্রাফি!

এখনও সেই ক্লিক জারি আছে তবে তা মোবাইল ক্যামেরাতেই সীমাবদ্ধ! একেবারে একটা ডিএসএলআর কিনবো তাই টাকা জমাচ্ছি! একটা পেজও খুলেছি কিছু দিন আগে ফেবুতে!

‌এই ছিল মোটামুটি আমার ফটোগ্রাফি শুরুর গল্প! আপনাদের সাড়া পেলে ব্লগেও ফটো দেব! (ডিএসএলআর ভাইরা আমার ফটোগ্রাফি দেখে হাসবেন না কিন্তু)






এই সেই সাদা ফুল, আমার প্রথম ফটোগ্রাফি!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×