একটি বাচ্চা শিশু যা কিছুই শিখে, প্রাথমিকভাবে সবকিছুই পরিবার থেকে। তাই বলে জোর করে কিংবা চাপের মধ্যে রেখে কিছু শেখানো উচিৎ নয়। পরিবারের সদস্যদের যাই করতে দেখতে, তাই শিখবে। এবং তার উপর যা কিছুই প্রয়োগ করা হবে, পরবর্তীতে সেটাই করতে চাইবে। তাই, শিশুর সুষ্ঠু মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে পিতা-মাতার সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চার সাথে ভাল ব্যবহার করা, খাবার সময় ঠিক রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে শেখা সবকিছুই নির্ভর করবে পিতা-মাতাদের কার্যকলাপের উপর।
বাচ্চা যখন পিতামাতার কাছ থেকে সান্ত্বনা পায়, তখন সে বুঝতে পারে যে, তার পাশে তার পিতামাতা রয়েছেন, অতএব, সে নিরাপদ। বাচ্চারা ভাল কিছু দেখলে ভাল কিছুই করতে শিখবে। তাই, যার কিছুই প্রয়োগ করা হোক না কেন, মনে রাখবেন, বাচ্চা যাতে ভাল কিছুই শিখতে পায়। বাচ্চার প্রতি যতই আদর, স্নেহ-ভালবাসা দেখা যাবে, সে ততোই মা-বাবার সাথে গভীর ভালবাসায় সম্পৃক্ত হতে পারবে। তাই, বাচ্চাকে যত পারেন, ততো বেশি সময় দিন। বাচ্চার সাথে সম্পৃক্ততা তৈরি করুণ।
কিভাবে সময় দিবেনঃ
আপনার বাচ্চাকে হয়তো খাবার মুখে তুলে দিলে খেতে পারবে। কিন্তু নিজে নিজে কখনো পরিষ্কার হতে পারবেনা। তাই, ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে রাখা, প্রতিদিন গোসল করানো, বাচ্চার খাওয়া-দাওয়া, ডায়াপার ব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। কারণ, বাচ্চা যদি পিতামাতার সংস্পর্শ পাবে, ততোই সে প্রত্যেকটি মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারবে, যেটা অন্য কেউ দিলে করতে পারবেনা। খেলার সময় সাথে থাকুন, কারণ, সে কি খেলছে কি করছে, সেটা লক্ষ্য রাখা জরুরী।
বাচ্চাকে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে, পরিবেশ পরিষ্কার থাকবে, বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং বড় হতে হতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে বুঝতে শিখবে। এটা সম্পূর্ণ একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যপার। এটা বাচ্চার মানসিক বৃদ্ধির ব্যপারে যথেষ্ট সাহায্য করবে। মেঝেতে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। যাতে করে বাচ্চার শরীরে কোন প্রকার জীবাণু আক্রমণ করতে না পারে।
শিশুর জন্মদিন পালন করুণ। এসময় ঘরে আত্মীয়-স্বজনদের আনতে পারেন। যাতে করে, সে বন্ধু-বান্ধবের মর্ম বুঝতে পারে। এটা শুধু বাচ্চা অবস্থায় নয়, বরং বড় হয়েও কাজে দিবে।
একটি শিশু একটি নিজস্ব গতিতে বড় হতে থাকে। তাই, বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে খেয়াল রাখুন। যদি কোন সংশয় থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভাল।
আপনার অবর্তমানে বাচ্চাকে জিনি দেখাশুনা করবেন, তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। কেননা, আপনি যখন কোন কাজে ব্যস্ত থাকবে, তিনিই আপনার বাচ্চার দেখভাল করবেন। তাই, সম্পর্কটা যদি হয় আত্মায় আত্মায় সম্পর্ক, তাহলে আপনার বাচ্চাকেও তিনি ঠিকভাবে দেখাশুনা করবেন।
পরিশেষে, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে নজর দিন। তাকে সময় দিন এবং ভালবাসায় আগলে রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০