somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» » প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)-৩

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বিভিন্ন সময়ে তোলা ক্যানন ক্যামেরার ছবি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের ।



শিশির ভেজা একটি প্রভাতে তুমি ছিলে পাশে
প্রজাপতি মন আমার উড়ে বেড়িয়েছিল পাতায় পাতায়
চোখের শাটারে মনোহারী ক্ষণ বন্দি করতে গিয়ে দেখি
প্রজাপতি বসে আছে মনের বাসন্তি ফুল শাখে
যেখানে বারোমাসই বিরাজ করে বসন্ত হইচই মুহুর্ত।
অত:পর তুমি চোখে তাকাতেই উড়ে যাই
বসি গিয়ে তোমার চোখে-তুমি উৎফুল্ল সহাস্য বদনে
কানে কানে বলে যাও ভালবাসি ভালবাসি।
আচ্ছা বলতো-ভালবাসার রঙ কি?
সে কি সবুজ? নাকি বাসন্তি? অথবা সোনাঝরা হলুদ?
মনের রঙ কি বলতো?

২।
সূর্য পশ্চিমে নিম্নমুখী-আকাশ জুড়ে রঙের খেলা
আকাশটা নীল-সাদা-গোধূলীর রক্ত রঙ মেলা।
তখনো কৃষক ভাইয়েরা রোয়ে যায় আপনমনে শস্য
কয়দিন বাদেই তুমি বুঝতে পারবে প্রকৃতির রূপ রহস্য!
সবুজ হবে আরো সবুজ-ভরে যাবে ক্ষেত-ধানগাছের পাতায়
মৃদু হাওয়ার তালে পাতার নাচন-আহা কি অপরূপ দৃশ্য
তুমি কবি হয়ে যাবে-লিখে যাবে ছন্দ ছড়া কবিতার খাতায়।



৩।
দূর্বাঘাসের নরম পাটি-কই আর পাবো-বলো পাবো কই
যেথায় আছে লাউয়ের মাঁচা-লতায় ঝুলানো সে পুঁই
নারিকেলের চিরল পাতায়-ঐ দেখো না-হাওয়ার লুকোচুরি
রোদ উঠোনে শীতল ছায়া-আহা আছে কি তার জুড়ি?
বাড়ির সামনে সান বাঁধানো-স্বচ্ছ জলের পুকুর
পা ডুবিয়ে যায় কেটে যায়-শত উদাস দুপুর!
আম শাখাতে গরুর রশি-দুদ্যোল দুলনা দুলে
দোলনায় বসে কত প্রহর-সুখেতে যায়-দিন দুনিয়া ভুলে।



৪।
শিশিরের দল চুপি চুপি নিশিতে হেঁটে যায়
ঘাস পাতার উপর পা ফেলে
নিবিড় আলিঙ্গনে-ভালবেসে ঝাপটে ধরে হীম ছোঁয়ায়
ঘাস লতা পাতা-শীতে কুঁকড়ে ওরা হয়ে যায় এলেবেলে।

প্রকৃতির ছাতা মাথায় পিঁপড়েগুলো
গর্তের মুখে দেয় উঁকি
দিবাকরের এক চিলতে আলোর আশায় ওরা অপেক্ষায়
সহসা বেরিয়ে নেয় না আর জীবনের ঝুঁকি।

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি রোজ প্রভাতের বুকে পা মাড়িয়ে হেঁটে
ছুঁয়ে দেই ওদের আলতো-স্নিগ্ধ প্রহরগুলো খিলখিল হেসে উঠে
শিশির ভেজা মাটি, হীম আবেশে ধূলো বুকে জড়িয়ে শুয়ে
মিঠে রোদ্দুরের তাপে মাটি যায় না আর ফেটে।



৫।
ঠান্ডা শীত প্রভাতে পান্তা ভাতে লংকা মরিচ তুলে দেবো,
টক করে খেতে চাইলে দিবো এক ফালি নিম্বু
বাঁকা চাঁদ হাসি নিম্বুর রসে-মুখ তোমার অন্যরকম
এই দেখো আমার চোখের আয়নায়
আহা কেমন অদ্ভুত বাচ্চা ছোঁয়া মুখ তোমার;
তাকিয়েই ভালবেসে ফেলবো-বলে দিবো ভালবাসি।



৬।
এই যে আমার দেশ-এই যে আমার সবুজ-এইতো এখানে সুখ ছড়ানো
এখান'টাতে মায়ের আঁচল, শান্তির ছায়া মমতার অদ্ভুত সুর জড়ানো।
যেথায় আছে আকাশ ছুঁয়ে সবুজ প্রান্তর-যেথায় সোনায় মাখা সকাল রোদ্দুর
দুপুর রোদ্দুর বিকেল হাওয়া, আছে মন মাতানো মিষ্টি আবেশ
এখান'টাতে হেঁটে যেতে যেতে মন চায় যাই দূর বহুদূর।
সিক্ত ঘাসের পথ পা মাড়িয়ে, কাদাজলে মাখামাখি পায়ে
শহুরে জীবন ছাড়িয়ে, ইচ্ছে যাই ছুটে আমার সে সবুজ গায়ে।
কচি ধানের সবুজ আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে দেখো ঐ কৃষকের দল
জলের আয়নায় দেখি আকাশ'টা নুয়ে পড়েছে, আহা সেকি ছল!
নীল আকাশ'টা হয় বিবর্ণ কভু, কভু যায় নীলে ঢেকে
কভু এক দঙ্গল শুভ্র মেঘ মৌনতার চাদর দেয় আকাশের বুকে এঁকে।



৭।
তুমি মাঝি হও ছোট ডিঙার! কি হবে? চলো ডিঙা ভাসাই অথৈ জলে
আমি তোমার জলকাব্য হবো! কি লিখবে ছন্দ আমায় নিয়ে-মন নেবো আজ ছলে
ভেবেছিলে চুপটি বসে থাকবে একাকি! একটু চোখ ফিরাও মন রাজ্যের সুলতান
তুমি হবে আমার গোধূলিয়ার রঙ বাহারী কুহু সুরের মুলতান?
ফিরে তাকাও না-গভীর ভাবনার বেড়াজালে তুমি বন্দি
নাকি আমাকে পরাজিত করবে বলে-মনে আঁটছো কোনো ফন্দি?
কোন সে ধেয়ানে কাটিয়ে দিলে অযস্র প্রহর, মনের মাঝে কি আঁকো সারাক্ষণ
দিবানিশি তুমি-কাঁপিয়ে মনভূমি, যাচ্ছো করে আমায় উপেক্ষণ!
ধেয়ান তোমার ভেঙ্গে যাক-স্বচ্ছ জলের জলোছলোচ্ছলে-ধড়পড়িয়ে উঠুক বুক
ধুয়ে যাক নদীর জলের হাওয়ায় তোমার একলা থাকার অসুখ।



৮।
এমন একটি প্রহর কাটিয়েছিলিস তুই আমার সাথে
পাশে বসে চুপিচুপি ধরেছিলিস হাতে!
এই-রে পাখি শুন্ না! মনে কি তোর পড়ে?
কাক গুনেছিলিস তুই আমার সাথে বাজি ধরে!
রোদ্দুর ছিলো ঝলমলানি-ছায়া ছিল মাথার উপুর
একটি প্রহর ছিলিস পাশে-খাঁখাঁ রোদ্দুর উদাস দুপুর!
ঘাসের ভিতর শুকনো মাটি-তবু যেনো নরম পাটি
গল্প করছিলিস ধীর সে পায়ে একটু দোলে হাঁটি হাঁটি।
মনে কি তোর পড়ে পাখি-সময়কে দিয়ে একটু ফাঁকি
বলেছিলিস ভালবাসি ভালবাসি-হাতের উপর হাতটা রাখি?



৯।

#একবার_তো_প্রকৃতি_ভালবাসো!
আমায় তুমি পাগল বলো, অবুঝ বলো-মেনে নেই অবলীলায়
তুমিই বলো প্রকৃতির মনোলোভা রূপ দেখে পারি কি ঠিক থাকতে?
বুঝতে তুমিও! যদি সবুজের মাঝখানে হৃদয় তোমার রাখতে
দেখো- প্রকৃতি তার কত রূপ বিনা লাভে বিলায়!

আবার বলো- কি লাভ এসব দেখে? কি হয় এতে, এসব ন্যাকামী
ধ্যত বাবা-দু'চোখ তোমার বড় কঠোর-কেবল বাস্তবতা থাকো ঘিরে
চলতি পথে চোখ ঘুরিয়ে সবুজের স্নিগ্ধতা দেখো না একবার ফিরে
তুমি তোমাকে নিয়েই হতে থাকো সম্মুখে অগ্রগামী।



১০।
মুগ্ধ হতে না চাইলে কি-মুগ্ধ হওয়া যায় না
মুগ্ধ হতে কেনো বাপু-মন'টা তোমার চায় না
এই দেখো-না গোলাপী রঙ-গোলাপ কত সুন্দর
নাও মেখে নাও ঘ্রাণ স্নিগ্ধতা-তোমার ভিতর অন্দর।
এসো বসি গোলাপ বাগে-পাপড়ি ঝরুক মাথায়
পড়ছে ঝরে স্নিগ্ধতা ঐ-সবুজ পাতায় পাতায়।
সুর উঠেছে মনে বন্ধু-ঘ্রাণে মাতাল ক্ষণে
ভালবাসায় বাঁধবে বাসা-তুমি আমার সনে?

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×