somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চোখ মেলে দেখো যদি মৃত্যুদূত খাড়া!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অত:পর মৃত্যুর বীজ তার দেহ জমিনে বোনা হয়ে গিয়েছিলো
কেবল চারা গজানো থেকে ফসল বেড়ে উঠার অপেক্ষায় ছিলেন মৃত্যুদূত,
সে বুঝে উঠতে পারেনি, ঘুনাক্ষরেও জানতে পারেনি,
শীঘ্রই তাকে মর্ত্য ছেড়ে প্রস্থান করতে হবে শূন্যে
না, তার আত্মা চলে যাবে আর আহ্লাদী দেহটা জায়গা করে নেবে মাটিতে
অথবা তার দেহ পুড়ে হবে ছাই!
ইহলোক ছেড়ে সে চলে যাবে স্বর্গলোক,
অথবা কোথায় ঠাঁই হবে কেউ জানি না।

ক'দিন আগেই লিফটে উঠেছিলো সে, ঠোঁটে আলতো হাসি
গোলাপী লিপস্টিক, চোখে কাজল, হাতে একগাছি চুড়ি,
আহ্ ঠিক তখনি বোধয় মৃত্যুর চারা গজিয়ে উঠেছিলো,
সে দেখতে পায়নি, আমিও না;
কেমন আছো?
সে হেসে উঠে বলেছিলো এইতো ভালো আছি
শরীর আগের চেয়ে ভালো!

অফিসের সিঁড়িতে কখনো দেখা হতো,
কখনো লিফটে-মৃত্যুর ছায়া দেখতে কখনো পাইনি!
বেঁচে থাকার আনন্দে সে বিভোর ছিলো!
দুটো কন্যা তার, মা মা বলে যখন ডেকে উঠতো
তখন হয়তো তার বেঁচে থাকার সাধ বেড়ে যেতো পাঁচগুন!

দুটো কন্যার গায়ের ঘ্রাণ মনে মেখে
সে কখনো হয়তো বসেছিলো সন্ধ্যার ধূঁপজ্বালানো প্রহরের পুজো অর্চনায়!
কন্যারা ঝাপটে ধরেছিলো, পুজোর ফুল কপালে ঠেকিয়ে হয়তো
প্রার্থনা করেছিলো বেঁচে থাকো মা মনিরা, থাকো মায়ের আঁচল ছুঁয়ে!

ধীরে ধীরে তার দেহ জমিনে মৃত্যুর চারা বড় হতে থাকে...
সে হতে থাকে দুর্বল, ক্ষীণকায় দেহ, সওয়ার ক্ষমতা হারায়,
ব্যথার পাহাড় সর্বাঙ্গে, চোখের কোণে এক দুই ফোঁটা অশ্রু,
বেঁচে থাকার আশা আহা! সে তখনো হেসে বলেছিলো
আমি আবার কবে অফিসে যেতে পারবো,
যারা কাছে ছিলো, তাদের মুখে অস্ফুট কষ্ট কান্না রেখেছিলো বন্দি!

মৃত্যুর ফসল প্রস্ফুটিত হওয়া শুরু করেছে মাত্র
ফসল পাকলেই একটি আত্মার ইহজগতের সমাপ্তি টানতে হবে!
হয়েও ছিলো তাই, যমদূত ঠিক সময়মত এসে তাকে নিয়ে যায়
অসহায় করে দিয়ে তার দু'কন্যাকে-
মায়ের আঁচল ধরে থাকার আর সাধ্য ছিলো না তাদের!
-
হ্যা জীবন এমনই, হুটহাট দেহ ছেড়ে আত্মা উড়ে যায়
কেউ জানতেও পারে নি, পারবেও না;
যতজন ফেরেশতা নিয়োজিত ছিলো মানুষের সেবায়
একে একে দায়িত্ব থেকে হাত পা নেবেন গুটিয়ে,
শুধু পড়ে থাকবে অসহায় মানুষ নিথর দেহ নিয়ে।
(শর্মিলি পাল স্মরণে)
November 26, 2018 at 11:41 PM
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×