somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নানা ধরণের ফটোস..... (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)

২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১। লেখা ভালো না লাগলে মাউস স্ক্রল করে ছবিগুলো দেখে ফেলুন, তাতে তো কোনো দোষ নাই :)



©কাজী ফাতেমা ছবি
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী=
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে আমার নিত্য বাস,
তাদের আমি মধু মঞ্জুরী বলে ডাকি।

কবিতার খাতায় নীল কালির আঁচড়ে কেবল উঠে আসে
সুখ সুখ হাজার কবিতা,
নীল ঢেলে দেই আর শব্দগুলো হয়ে উঠে নিমেষে গোলাপী
অথবা শুভ্রতার রঙ প্রলেপে মোড়া;
সবুজ সামিয়ানার নিচে মাথা রেখে কবিতারা ঘুমায়
আর আমি স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে নতুন করে বুনে যাই
বুকের বাম জমিনে মধুমঞ্জুরীর চারা।
(সংক্ষেপিত)

২। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=ছন্দ হয়ে থাকিস পাখি আমার মনের খাতায়=
মুখ ফিরিয়ে আছিস পাখি, হলি অভিমানী,
ও পাখিরে জ্বলছে বুঝি, বিরহে মন খানি?
হাসতে বললে হাসিস নি তুই, মুখ ফিরিয়ে থাকিস
কার ভাবনাতে মন ক্যানভাসে, বিষণ্ণতা আঁকিস?

পিছু ফিরে দেখ্ না পাখি, কে দাঁড়িয়ে আছে
ডাক্ না এবার মান ভেঙ্গে তুই, একটু তোরই কাছে।
যত ব্যথা মনে জমা, দিস্ বলে দিস্ আমায়
নীল বিরহ কেনো তোকে, মধ্য পথে থামায়।
(সংক্ষেপিত)



৩। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=মন কী তোমার দেবে আমায়?=
একটি ফুলের বাগান দেবো, পাপড়ি দেবো হাজার
বুকে তোমার বসাবে কী ভালোবাসার বাজার!
গোলাপী রঙ প্রহর দেবো, পাতা দেবো সবুজ
আমার জন্য ভালোবাসায়, মন হবে কী অবুঝ?

মন উঠোনে রুয়ে দেবো, দূর্বাঘাসের চারা
আমার জন্য তুমি কি গো, হবে পাগলপাড়া?
জানলার কাঁচে এঁকে দেবো, প্রজাপতির ডানা
সেই ডানাতে আসবে উড়ে? মানবে না আর মানা?

বেলী ফুলের মালা দেবো, জবা ফুলের টুপর
মন কী তোমার পড়বে ধ্বসে, হঠাৎ আমার উপর? (সংক্ষেপিত)



৪। ©কাজী ফাতেমা ছবি
= ডুব সাঁতারের বেলা আমার=
ডুব সাঁতারের বেলা, কই হারিয়ে গেলো!

ইচ্ছে লাগে যাই ফিরে যাই, আবার মেয়েবেলা
যেখানটাতে জলে বসতো, সাঁতার কাটার মেলা।
ডানা মেলা স্বাধীন পাখি, উড়তাম যেথায় সুখে
যেথায় ছিলো উল্লাস অথৈ, উচ্ছ্বাস ভরা বুকে।

যেখানটাতে গরম এলে, ঝাপটা ঝাপটি জলে
কার আগে কে ডুব দিয়ে পার, ডুব সাঁতারের ছলে।
ডুব সাঁতারের বেলা আমার, কই হারিয়ে গেলো,
তপ্ত গরম লাগলে গায়ে, হই যে এলোমেলো।



৫। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=নিমন্তন্ন=
বাসলে ভালো ঠক খাওয়াবো, না না বন্ধু টক খাওয়াবো
ছোটো মাছের ঝুলে ঝালে, আমি তোমার হাত নাওয়াবো!

আইসো বন্ধু আমার বাড়ি, রান্না করবো নিজের হাতে
চুকাই চুকুর মেষ্টা ফলে, ছোট মাছও থাকবে সাথে।

সাদা ভাতে আলো ভর্তা, কোরমা পোলাও রোজই তো খাও
এবার বাপু সাদা ভাতে, চুপিচুপি হাতটা লুকাও।

বন্ধু তুমি ভাতের পাতে, টক তরকারী চাও কী অল্প?
শীতল পাটি বিছানো যে, জুড়বে বসে সুখের গল্প!

নিরামিষ হও যখন তখন, কী চাও বন্ধু তুমি এখন
তোমায় নিয়ে যায় না অল্প, ছন্দ দিয়ে কাব্য লেখন!
(সংক্ষেপিত)



৬। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=মন যেনো আমার আফুটা এক কলি=
মনতো প্রজাপতিই ছিলো, ছিলো ফড়িংয়ের মত
মনতো দোয়েল ছিলো, খঞ্জন পাখির মতনও ছিলো......
মনতো কচি ডগায় চুপ বসে থাকা কলি ছিলো,
মনতো আমার বেলী ছিলো, ঘ্রাণ ছড়ানো বেলা ছিলো।

তুমি আসার আগে মন আমার ভ্রমর ছিলো,
ইচ্ছে ঘুড়ি ছিলো, নীল ছুঁয়ে আসা ডানা মেলা চিল ছিলো।
ফুটে থাকা গোলাপ ছিলো, আফোটা এক কুসুম ছিলো,
মন ছিলো মেঘ আমি ছিলাম মেঘ বালিকা
গোধূলীর ধূলো উড়িয়ে সে মন নীল ছুঁয়ে আসতো;
যেথায় ইচ্ছে সেথায় ছুটে বেড়ানো.
নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি ছিলো মন।

ডানপিঠে পাড়া ঘর বাড়ি দাপিয়ে বেড়ানো এক
সুখ পাখি ছিলো মন;
জানি না একদিন কী করে কী হলো,
মন আমার হয়ে গেলো চুপসে যাওয়া পাপড়ি অথবা
পাপড়ি গুঁটিয়ে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা
অযত্নে বেড়ে উঠা কলি হয়ে গেলো মন.....
মনের অলিগলি কত স্বপ্ন উঁকিঝুঁকি দিলো,
ফুটি ফুটি করেও ফুটা হলো না আর,
সব উচ্ছ্বলতা, উচ্ছ্বাস হারিয়ে মন বসে থাকে চুপসে।
(সংক্ষেপিত)



৭। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=ঈদের শুভেচ্ছা=
আর ক'টা দিন রইলো বাকী, বইছে ঈদের হাওয়া
রঙবাহারী সাজে সাজবে, আমার দখিন দাওয়া,
হলুদ রঙের পরবো শাড়ী, সবুজ রঙের জামা
মন যে আমার গাইছে সুরে, সুখের সারে গামা।

খুশির হাওয়া মনের বাড়ি, উথাল পাথাল বইছে
পাপড়ি মেলা প্রহর আমার, সুখের কথা কইছে!
রঙ বাসন্তি ফাগুন যেনো, মনের অলিগলি,
হাওয়ার সাথে ঈদের কথা, হচ্ছে বলাবলি।
(সংক্ষেপিত)



৮। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=
ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয় ঘূর্ণ,
অবশেষে মুগ্ধতারা লুটিয়ে পড়ে চোখে আমার।

ক্লান্তির বুকে মাথা রেখে আর কত শুয়ে থাকবে বলো!
এবেলা এসো, ডানা বেঁধে দেই তোমায়, তুমি উড়ো, প্রজাপতি হও
দেখো ভালোবাসারা পাতা হয়ে ঝুলছে গাছের ডালে ডালে,
এখানে চোখ রাখলেই তুমি উচ্ছ্বাস পাবে, পাবে কিছু স্নিগ্ধ প্রহর।

আমাকে ছুঁয়ে থাকো, অনুভবের জানালায় একবার আমাকে ভাবো
চোখের আয়নায় উঁকি দিয়ে দেখো, এখানে কেবল স্বস্তি প্রহর
নি:শ্বাস টেনে ছেড়ে দিলেই তুমি ভুলে যাবে সব ভ্রান্তি;
ফিরে পাবে বুকের বামে অথৈ শান্তি। সে কী তুমি চাও না?
(সংক্ষেপিত)



৯। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=এই চলো না-ভাসি চলো=
স্বচ্ছ জলের একটি দীঘি, তুমি আমি বসে নিশ্চুপ পাড়ে
ঢেউয়ের ধাক্কা এসে পা ভিজিয়ে দিয়ে যায়, ওপার হতে এপারে,
মধ্যসকালের গা বেয়ে নেমে আসে ধূয়াশা আলো;
মিষ্টি হাওয়ার ছোঁয়ায় লাগে বড় ভালো।

আনমনা আমি, কত ছন্দ উথাল পাথাল মন সমুদ্দুরে,
তুমি কেবল উঠার তাড়া দিয়ে বলো, পুড়ে যাবে দুপুর রোদ্দুরে!
আমি ঠিক তখনো কল্প ডানায় উড়ছি হাওয়ায়,
অর্কিড আর পাতাবাহার দুল খেয়ে যায় সুখে, মনের দাওয়ায়।
(সংক্ষেপিত)



১০। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=চলো ফিরে যাই গ্রামে এই ঈদ মৌসুমে=
চলো ফিরে যাই এই বর্ষা মৌসুমে ধলাই নদীর তীরে
ছোট মাছ থই থই প্রহর, টেংরা পুটির নাচন মন পুকুরে যেনো ভাবলেই
মাছের আঁশটে ঘ্রাণ নাকে টেনে চলো বসি গিয়ে শান্ত নদীর ছুঁয়ে;
যেখানে হাওয়ার তালে আঁকাবাঁকা ঢেউয়ে মিশে যায় মনের ক্লান্তি।

শহরজুড়ে রোদ্দুর জ্বালাপুড়া, অথচ ধলাই নদীর জলে ঝুম বৃষ্টি
এখানে কালো ধোঁয়ায় চোখে ঝাপসা আলো, বিতৃষ্ণারা কপালে হয় ঘাম
চলো ফিরে যাই এই ঈদ মৌসুমে সবুজাভ গ্রামের মাটিতে;
যেখানে থিরথির দুলে ধানপাতা, হাঁসেরা কাটে সাঁতার নদীর জলে।

চোখ জ্বলা প্রহরে কেবল দীর্ঘশ্বাস বয়ে যায় বুকের নদীতে,
চারটি রুমে দমবন্ধ জীবন, চারিদিকে কেবল ইটপাথরের পাহাড়,
আমি আকাশ দেখি না, শ্বাস টেনে শুদ্ধ অক্সিজেন নিতে পারি না এখানে,
ধুলো বালি ওড়া শহরে অস্বস্তি কেবল গড়াগড়ি খায়।

চলো ফিরে যাই, শান্তির অন্বেষনে ঘুরি গ্রামের মেঠো পথ প্রান্তরে
স্বচ্ছ জলে পা ডুবিয়ে বসে কিছুটা বিতৃষ্ণার ঘাম ধুয়ে আসি
খালি পা ছুঁয়ে আসুক দূর্বাঘাস, আর মন ছুঁয়ে আসুক মুগ্ধতা অল্প;
এখানে ইটসুড়কির পথে খানাখন্দ, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে অলিগলিতে।

বন্ধ চোখে ভাবো তো, সেই দিনগুলো, যেখানে তুমি আমি ধুলোমাটির ঘ্রাণে
মন ডুবিয়ে, বসে থাকতাম নদীর তীর ঘেঁষে, ডানা মেলা গাঙচিল
আর হাঁসের সাঁতার দেখে তুমিও বলতে, চলো মধ্যদুপুরে সাঁতার কাটি আমরাও
ডুব সাঁতারে কাটিয়ে দেই মুগ্ধতার এমন হাজার বেলা;
তবে চলো না শহুরে জঞ্জাল পা মাড়িয়ে চলে যাই সবুজাভ ছোট আদুরে গ্রামে,
যেখানে দুর্বাঘাসের গালিচায় অভ্যর্থনা জানাতে আমাদের
ঘাস ফড়িংরা জলের কলকল অনুরণনে করে যাচ্ছে উলঙ্গ নৃত্য।
(পুরোটাই দিয়ে দিলাম)



সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
২৭টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×