©কাজী ফাতেমা ছবি
=স্মৃতিগুলো ফিরে আসে বারবার=
উঠোনের কোণেই ছিল গন্ধরাজের গাছ আর তার পাশে রঙ্গন
তার আশেপাশে কত রকম জবা, ঝুমকো, গোলাপী আর লাল জবা,
আর এক টুকরা আলো এসে পড়তো প্রতিদিন চোখের পাতায়
সে ছিলো বেলীর ধবধবে সাদা আলো।
বৃষ্টি এলে ফুল চুয়ে যে জল পড়তো, হাতের তালুয় নিয়ে নিতাম সে জলটুকু
সে সময়গুলোর স্পর্শ ফিরে পাওয়া যায় না আর।
ভোরালোয় হেঁটে বেড়ানো হয় না এখানে ভেজা মাটিতে পা ফেলে
শিউলীর মালাও হয় না আর গাঁথা,
শিউলী গাছটা কি এখনো আছে উঠোনের ওপারে?
হয়তো নেই, সেও আমার মত বুড়িয়ে গিয়েছিলো বুঝি।
হেমন্ত ডাকছে হাত বাড়িয়ে ঐ
ভেজা বালিতে কিংবা দূর্বাঘাসে এখনো কি শিউলিরা ঝরে পড়ে থাকে?
যুগ পরিবর্তনের খেলায়, আধূনিকতার স্পর্শে মানুষ শিউলীর স্পর্শ ভুলে গেছে হয়তো!
হয়তো পা মাড়িয়ে হেঁটে যায় শিউলীর হলুদ বোঁটায়
কষ্টের প্রলেপ মেখে শিউলীরা পড়ে থাকে হয়তো অবহেলায়।
ভোরের মিষ্টি হাওয়া গায়ে মেখে এখন আর কেউ শিউলী কুঁড়ায় না।
আহা সেই সব দিনগুলো রইলো না আর চোখের খাঁচায় বন্দি
রইল না মুগ্ধতার সেই উঠোন
যে উঠোনে সুখের বৃষ্টি পড়তো, মন খারাপের মেঘের ছায়া পড়তো।
কখনো গন্ধরাজের ঘ্রাণ নিয়ে ঝরে পড়তো পাপড়ি ঝরা ফুল
সে উঠোনে মধ্যরাতে মনোহারী জোছনা ঝরতো
আর মধ্যদুপুরে ঝরতো খাঁখাঁ রোদ্দুর
গরম মাটিতে পা ফেলে যে উঠোনে চমকে উঠতাম
সে উঠোনে কি এখনো আগের মত সুখ দুঃখ মুগ্ধতা ঝরে পরে?
কে জানে, আমার উঠোনের গন্ধরাজ রঙ্গন বেলী শিউলী'রা কেমন আছে!
আমি কেবল হারিয়ে যাই স্মৃতির পেছনে,
ফিরে এসে দেখি যন্ত্র মানুষেরা আমায় কাঁদাচ্ছে।
September 28, 2017
ছবিগুলো ইন্ডিয়ার পুনে থেকে তোলা
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১