©কাজী ফাতেমা ছবি
=সেই ঐতিহাসিক সাত'ই মার্চ=
একাত্তরের সাত মার্চ, ঝরেছিলো কথার তুফান মাইকের হাওয়ায়
গর্জে উঠেছিলেন বাংলার বন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান,
আর পাক সেনারা নিরবে পুড়েছিলো রোষানলের তাওয়ায়;
সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজও বাংলার আকাশে বহমান।
কয়েক দফা দাবী ছুঁড়ে দিয়েছিলেন হায়েনাদের সম্মুখ
উত্তাল জনতা স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে
হয়ে ছিলো অপেক্ষায় উন্মুখ,
শুরু করেছিলো বাংলার মানুষ দিন গুনতে।
তিনি বলেছিলেন ঝাঁঝালো কণ্ঠে, তোমরা ঘরে ঘরে তৈরী করো দূর্গ
মোকাবেলা করতে হও প্রস্তুত, তোমাদের যা আছে তাই দিয়ে
ছেড়ো না হাল, অবিশ্বাসের দুয়ারে মারো তালা, ছেড়ো না বাংলার মাঠি এক বর্গ
ইনশাআল্লাহ তোমরা বাংলার জয় আনবে নিশ্চিত ছিনিয়ে।
আঙ্গুল তুলে বলেছিলেন হায়েনাদের, বুকের উপর গুলি চালাতে করো না চেষ্টা
ভালো হবে না, সাত কোটি মানুষ দাবায়ে রাখবে কি করে?
রক্ত গরম করা ভাষণ শুনে, বাঙালীর পেয়েছিলো স্বাধীনতার তুমুল তেষ্টা
নেমে পড়েছিলো কৃষক বৃদ্ধ যুবা যুদ্ধের ময়দানে, না, কেউ বসে থাকে নি ঘরে।
আরও বলেছিলেন বাংলার বন্ধু, "রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্"
মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া বাঙালীর কথা একটাই, এবার প্রতিশোধ নেবো
খুন ধর্ষন বিভৎস বাংলার পথ প্রান্তর,পাক সেনারা ভারী করেছিলো পাপের পাল্লা।
বেতারে প্রচারিত ভাষণ, ছড়িয়ে পড়েছিলো বাংলার ঘরে ঘরে, পথে প্রান্তরে
আহা! স্বাধীনতা, পতাকা উড়বে, বাঙলার আকাশে পতপত উড়বে,
কত স্বপ্ন লালিত বাঙালীর বুকে, চোখে মুখে অন্তরে
স্বাধীনতার ইচ্ছে ঘুড়ি বাংলার আকাশে নাটাইবিহীন ঘুরবে।
স্বপ্ন সত্যি হয়, স্বাধীনতার ঘোষণায় যুদ্ধ হয়, নয় মাস ধরে যুদ্ধ
বিজয়ের সুর ভেসে আসে সেই একাত্তরের মধ্য ডিসেম্বরে,
শত চেষ্টাতেও পারেনি পাক সেনারা স্বাধীনতার পথ করতে রুদ্ধ
এখনো নীল ছুঁয়ে স্বাধীনতার পতাকা উড়ে পতপত,
সাত'ই মার্চ এখনো বাজে হাওয়ায় হাওয়ায় মুগ্ধতার আড়ম্বরে।
০৭ মার্চ ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৮