ফেব্রুয়ারীতে গিয়েছিলাম সদরঘাট, যেখানে লঞ্চ জাহাজ ফেরী চলাচল করে। আমি আসলে আগে এত বড় লঞ্চ জাহাজ দেখিনি। কেবল ছবিতে বা ভিডিও, টিভিতে দেখেছি। সত্যিই অবাক হইছি এত্ত বড় বড় যানবাহন পানির উপরে বাপরে, তাও দুই তিন চার পাঁচ তলা, আর এত লম্বা ভিতরে গেলে মনে হয় কূল কিনারা নাই। যে লঞ্চগুলোতে উঠেছিলা সেগুলো রাত সাড়ে আট, নয়টায় ছাড়ার কথা । আমরা সেই লঞ্চগুলো একে একে সব তলায় ঘুরেছি আর দেখেছি কী সুন্দর ব্যবস্থা পানির উপর। ছোটো ছোট রুম, রুমে কী সুন্দর বিছানা পাতা।
ডাইনিং রুমও আছে, আবার দোকানপাঠও আছে। কিছু জায়গা এত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। মনে একটাই দুঃখ ছিলো বুড়িগঙ্গার পানি নিয়ে। কালো পানি আর দুর্গন্ধ উফ্ ।
জাহাজের ভিতর, ফ্লোরে মানুষগুলো সারি সারি বিছানা পেতে আন্ডা বাচ্চা নিয়ে অপেক্ষা করছে কখন জাহাজ ছাড়বে। আমরা লঞ্চের ছাদে গিয়ে দাঁড়ালাম তখন সন্ধ্যা। সন্ধ্যায় নদীঘাট যে কী সুন্দর যে দেখেছে সে বলতে পারবে। যদিও বেশীক্ষণ থাকা হয়নি। আরেকটু রাত গভীর হলে মনে হয় আরও সুন্দর ফটো তুলে আনতে পারতাম।
লঞ্চের ভিতরে রংবাহারী বাতি, সে বাতির আলোয় মানুষের আনাগোনা, আহারে কত মানুষ হন্তদন্ত ছুটতে। কার মনে যে কী। কার মনে যে আনন্দ আর কার মনে দুঃখ জানা গেলে ভালো লাগতো। লঞ্চের ভিতরে সোফা পাতানো কোথাও, আর বারান্দায় চেয়ার পাতা। ইশ কখনো যদি লঞ্চে করে কোথাও যাওয়া যেত ভালোই লাগতো।
কিছুক্ষণ পর পর জাহাগুলো ছাড়ছে আবার কিছু জাহাজ ঘাটে এসে ভিড়ছে। মানুষের ব্যস্ততা। আমার ব্যস্ততার পাঠ চুকিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম মানুষের ব্যস্ততা। আমার নীড়ে ফেরার কথা ভুলে সেদিন দেখেছিলাম মানুষের নীড়ে ফেরার দৃশ্য। যে যার মত হেঁটে যাচ্ছে। হাসছে, গল্প করছে। এসব দেখতে কী যে ভালো লাগে উফ্।
যদি কেউ বলতো ছইব্বানি তোর চাকুরী করা লাগতো না বা তোর সংসারী হওয়ার দরকার নেই। ক্যামেরা হাতে নিয়ে ছুটে যা নদী পাহাড় ঝর্না অথবা সমুদ্রে। তোর রান্না বান্নায় কাজ নাই, খাতা কলম নিয়া লিখতে বইয়া যা হাহাহা। আর যদি তখন এক সমুদ্র টাকা কড়ি থাকতো মনে হয় আমি দুনিয়াটাই ঘুইরা লাইতাম।
সন্ধ্যায় যখন সূর্যটা ডুবে যায় কালো পানিও হলুদ হয়ে যায়। ভালোই লাগে কালো পানি হলুদ দেখতে। হয়তো শরত কালে সন্ধ্যার নদীঘাট আরও ভালো লাগে। কারণ তখন আকাশে সাদা মেঘগুলোর উড়াউড়ি থাকে। এত্ত বড় বড় লঞ্চও ভরে যায় মানুষে। আমরার দেশে মানুষের অভাব নাই।
যতই বড় ভাবি না কেন লঞ্চগুলোকে। যে লঞ্চগুলো ছেড়ে যায় ঘাট, দূরে দেখি নদীর বুকে পিপড়ার মতন। হুম সেও নদীর চেয়েও ছোট। নদীর কাছে এত এত লঞ্চ যেন কিছুই না। যখনই মানুষ নদীটাকে নিজের মনে করে পানি দূষিত করে। পাড় দখল করে তখনই বৈরী হাওয়া এসে বুঝিয়ে দেয় লঞ্চ ডুবিয়ে sad মানুষ হুড়োহুড়ি করে মাত্রার চেয়ে বেশী ওজন দিয়ে লঞ্চটাকে নদীর বুকে তলিয়ে দেয় যেন।
০২। ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ
০৩। বুড়িগঙ্গার পানি হলুদাভ
০৪। নদীঘাট যেখানে ফেরী, লঞ্চ নৌকা ভীড়ে
০৫। কত শত নৌকা ছুটে চলে নিরবে..... দেখলে ভয়ও লাগে যদি ডুবে যায়
০৬। ঘাটে এসে ভিড়ছে নৌকাগুলো
০৭। স্পিডবোড
০৮। সন্ধ্যার বুড়িগঙ্গা
০৯। আহা আকাশটা
১০। ধোয়া ছেড়ে যাচ্ছে নৌকা
১১। সন্ধ্যার বুড়িগঙ্গা
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬। কত্ত বড় লঞ্চ
১৭। ডাইনিং হল
১৮।
১৯।
২০। কালো পানি আরো কালো হয়ে গেছে
২১।
২২।
২৩। সিড়িঁর লাইটিং
২৪।
২৫।
২৬। যে মোটা দড়ি
২৭। বারান্দা লঞ্চের