©কাজী ফাতেমা ছবি
#এসো_এখানটাতে
একটি ভোরের হলুদ আলো ছুঁয়ে তুমি এসো,
সহসা অসুস্থ সময় আঁকড়ে ধরেছে আমায়
আমার ভালো লাগে না কিছু, মন বড় উচাটন।
চারিদিকে জ্বালা ধরা সময়, তপ্ত বিতৃষ্ণার বেড়া
একটি চৈত্রের শেষ প্রহরের রাত্রিরে তুমি এসো।
কেমন জানি অসুখী ক্ষণ ঘোর লাগা দিন চোখে
সেঁটে আছে মনে বিষণ্ণতা, তলিয়ে যাচ্ছি ধীরে
বুকের গহীনে বাজে বিষাদের নিষাদ....খসখসে সুর।
একটি বৈশাখী ভোরের পেয়ালায় মুগ্ধতা নিয়ে এসো
আমি তৃষ্ণা গিলি ডকডক করে, বড্ড কষ্ট এবেলা,
আকণ্ঠ ডুবে আছি চৈত্রের নদীতে, মাথা ডুবাতে চাই টলমল জলে।
একটি বর্ষার অঝোর বৃষ্টি হয়ে এসো, মন শুকনো কাঠ,
মাথায় শীতল জল হয়ে ঝরে পড়ো, নিউরনগুলো পাগল,
এলোমেলো চুলের ফাঁকে ঘর্মাক্ত চৈত্র, খাঁ খাঁ বিরানভুমি।
একটি হেমন্তের গা বেয়ে শিশিরের স্পর্শ নিয়ে এসো...
পায়ের তলা পুড়ে ছাই,চৈত্রের রোদ্দুরে ফেটে চৌচির মাঠ।
হাত ধরে টেনে নিয়ে চলো নগ্ন পায়ে হাঁটা দূর্বা প্রহরে,
শিশির স্পর্শ শিহরণে কাঁপিয়ে দাও, শক্ত মুঠোয় নাও হাত।
চাপা কান্নাগুলো ভোরের ঘুম হয়ে গেলো,
যায় না খোলা চোখ, জ্বলে পুড়ে অঙ্গার চৈত্রের ডোবা
ছটপট প্রহরগুলো বুকের ভিতর জলহীন ডোবায় সাঁতার কাটা হাঁস
নাক ডুবানো ঘোলা জলে ডুবে হাঁপিয়ে গেছি, দাঁতে কিরকির বালি
একটি ফাগুনের মিষ্টি হাওয়া নিয়ে এসো, ধুয়ে দাও ক্লান্তি ক্ষণ।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষজল, ছলাৎ ছলাৎ উপছে পড়া ঢেউ;
যে ঢেউয়ে হাবুডুবু খেয়ে কূল হারা নীল তিমি আমি,
নিঃশ্বাসে আর নেই অক্সিজেন, তলিয়ে যাচ্ছি ফের অসুস্থ ক্ষণে;
নিথর দেহ টেনে তুলার সাধ্যি হারাই, অবশ মন ক্ষয়ে যাচ্ছি,
একটি শরতের পেঁজাতুলো মেঘ হয়ে এসো কাছে...
উড়িয়ে নিয়ে যাও আকাশ সীমায়, মেঘের ভেলায়;
বেঁধে নাও বাহুবন্ধনে, ভালোবাসার উষ্ণতা দাও দেহে,
একটি ফুলেল প্রহর দাও আমায় একটু, মুগ্ধ হবো!
নয়তো শীতের হাওয়া হয়ে এসো, বুকের বিছানায় শুই,
শুধু তুমি গ্রীষ্ম হয়ো না, না হয়ো চৈত্রের খরা....
এত জ্বালাপুড়ার ভার আমি নিতে পারবো নে আর...
আমি নিঃশেষ, যেনো নিকোটিনের শেষ টান....
ছুঁড়ে ফেলো নে মর্ত্যে, ঠোঁটের স্পর্শে রেখে দাও আজীবন
তোমার প্রশস্ত বুকে না হয় থেকে যাই, শুভ্র মেঘ আঁকড়ে ধরে।
(১৩ এপ্রিল ২০১৭)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২