গত সেপ্টেম্বরে গিয়েছিলাম অসুস্থ মামীকে দেখতে। মামা বাড়ী হতে ফেরার পথে গিয়েছিলাম কালিশিরি, চুনারুঘাট চা বাগানের ফ্যাক্টরিতে। গরম ছিল প্রচুর। রোদ ছিল অসম্ভব। তারপরও বিকেলের সময়টা চা বাগান ঘেঁষে ছিলাম ভালো লেগেছিল। চা বাগানের ভিতরে ফিনলে চায়ের ফ্যাক্টরি । ছোটো বোনের বর বললো চলে ভিতরটা ঘুরে দেখে আসি। ম্যানেজারের কথা বলে চায়ের ফ্যাক্টরিতে ঢুকলাম। কিন্তু তিনি আগেই বলে দিলেন যে ক্যামেরা ক্লিক করা যাবে না। তাই বাইরে যতটুকু ছিলো ততটুকুতেই ক্লিকাইছি।
ফ্যাক্টরিতে ঢুকলে অন্য রকম আমেজ এসেছিল দেহমনে। উফ কী মনকাড়া ঘ্রাণ। অথচ আমরা যে চা পাতা কিনি সেসবে এমন ঘ্রাণ পাই না। চায়ের পাহাড় চারিদিকে। কত যে মেশিন। একই মেশিন থেকে কয়েক ধাপে চা বের হচ্ছে, ছোট মাঝারী বড় আকারের চা। বালতি ভরতেছে আবার বালতি দিতেছে। কিছু চায়ের বল গাড়ীর মত এ রুম থেকে অন্য রুমে চলে যাচ্ছে মাথার উপর। কর্মীরা নিরিবিলি কাজ করে যাচ্ছে।
চা বাগানের পাশে রেললাইন, চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। অদ্ভুত ভালো লাগে এমন পরিবেশ।
০২। ফ্যাক্টরির পাশে গলি রাস্তা
০৩। ফ্যাক্টরির বাইরে , চা গাছের কলম চারা, কী যে সুন্দর, এক বড় পাতা জেগে আছে শুধু
০৪। এই যে দারাগাঁও ফ্যাক্টরি
০৫। চা গাছের চারাগুলো একটু বড় হয়েছে এগুলোই রোপন করা হবে
০৬। চা বাগান সহ কী সুন্দর সবুজ অরণ্য, চোখ রাখলেই শান্তির
০৭। চা পাতা তুলে এখানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে, এগুলোই যাচ্ছে ফ্যাক্টরির ভিতর। আগে এগুলোকে ধুলে মেশিনের সাহায্যে পানি ঝরানো হবে। তারপর অন্য মেশিন দিয়ে ধীরে ধীরে কালো চা পাতাতে পরিণত হবে।
০৮। ফ্যাক্টরির বাইরের দিক
০৯। ফ্যাক্টরির গেইট
১০। চা গাছের কলম চারা
১১। সামনেই চা বাগান
১২। উপরে যে লাল বোলটা দেখা যাচ্ছে সেটা গাড়ির মতই যাচ্ছে এক রুম থেকে অন্য রুমে চা পাতা বহন করে।
১৩। ফ্যাক্টরিতে ঢুকার সময় একটা ক্লিক
১৪। বোনের বর বাচ্চাসহ। এটা ভিতের ঢুকার রাস্তা
১৫। সামনেই রেল লাইন
১৬।
ঘুরা শেষে এখানে সবুজের মাঝে এক কাপ চা খেতে বসছিলাম আমরা, ভাবছিলাম আসল চায়ের স্বাদ পামু। আশায় গুঁড়েবালি জঘন্য চা হয়েছিলো । লিকার কম। সিঙারাটা ভালো ছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৮