#মেঘের_কাছে_রোদ্দুরের_চিঠি_৭
#একটু_ভাল্লাগা_দিবে?
হ্যালো মেঘ,
আছো কেমন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বাসায় মেহমান ছিল তাই চিঠি লেখা হয়ে উঠে নাই। মন খারাপ বা অভিমান হয়নি তো! আর মোবাইলে লিখতে লিখতে মে থাক গেয়ি। পিসি চাই, ল্যাপটপ চাই, তুমি গিফট করবা নাকি হা হা হা, আরে তা না হলে চিঠি লিখুম ক্যাম্নে । ঈদের পরবর্তী দিন গুলা কেমন যাচ্ছে ও অচীনপুরের রাজপুত্তুর... ব্যস্ততা নেই, নেই কাজের চাপ তাই না। তবে কাল থেকে ব্যস্ততা বেড়ে যাবে সবারই বোধয়। আমার তো বটেই, জেরির স্কুল খোলা, ছয়টায় ঘুম ভাঙ্গাতে হবে, তারপর রেডি দুইজনেই, তারপর দৌঁড় স্কুলে... দৌঁড়ের দিন শুরু হয়ে যাবে। অবশ্য একটা উপকার হয় আমার, ওকে স্কুলে দিয়ে আনমনে হাঁটতে থাকি, পরিপাটি রাস্তা ধরে। কত মুগ্ধতা কুঁড়াই তুমি যদি দেখতে। প্রতিটি সকাল আমাকে নতুন করে মনে মুগ্ধতা আর সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়, এ-ই বা কম কিসে, তাই না মেঘ!
নিত্য সকাল আমার তরে
আলো আনে বয়ে
নতুন আলোয় বাঁচি হরদম
বেদনা যায় ক্ষয়ে।
ও মেঘ একবার হাঁটতে যদি
পাশে আমার তুমি
ষোলকলা হত পূর্ণ
সুখী মনোভূমি!
দেখতে তুমি কেমন তোমায়
মুগ্ধতায় দেই ভরি
এসব কিনতে হয় না শুনো
লক্ষ কোটি কড়ি!
চলতি পথে কত শত
সুন্দর রয় ছড়িয়ে
নিবে নাকি পাশে থেকে
সুখে প্রাণ ভরিয়ে!
সুখের পায়রা উড়তো উপর
হাসতে তুমি দেখে
মনের মাঝে আমার ছবি
নিতে তবে এঁকে।
মেঘ মন ভালো নাই অকারণে। দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা এসে মনে ভর করেছে। এর থেকে বের হতে চাই। তুমি পারবে আমাকে হতাশা থেকে টেনে বের করতে। দুঃখনদীর জলে ডুবে যাচ্ছি। কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি তলিয়েই যাবো।
কেউ নেই আশেপাশে যে আমায় টেনে তুলবে। কেউ হাত বাড়ায় না, কারণ আমি ফুরিয়ে গেছি। চোখের নদীতে নীল জল, ঢেউ নেই, খুব স্থবির জলে সাঁতার কাটা খুব কষ্ট। চোখের দিশায় কূল কিনারা নেই আর। ধুঁধু নীল আমার চারপাশে। কেনো এমন হচ্ছে আমার সাথে! তুমি কি আসবে? বাঁচাবে আমায়? আমি খিলখিলিয়ে হাসতে চাই। বুক ফুলিয়ে হাসতে চাই। আজকাল হাসতেও ভুলে গেছি।
মন ভালো নেই একটু আমার
ভাল করে দাও না
আমায় তুমি আপন করে
কাছে টেনে নাও না!
দাও ফিরিয়ে ঠোঁটে হাসি
হাসতে আমি খুব চাই
খিলখিলিয়ে ঝিলমিলিয়ে
চাই সে সেরা হাসিটাই!
তুমি আমার হাসি হবে
নাকি হবে উচ্ছ্বাস
নিত্য মনে করবে তুমি
ভালোবাসার চাষ?
হওনা তুমি আমার প্রেমী
থাকবে আমার পাশে
গল্প কথায় আসন পেতে
বসবো দূর্বাঘাসে।
ও মেঘ তুমি যেয়ো নাক
আমায় ছেড়ে দূরে
থাকলে তুমি পাশে আমার
প্রেম উঠে বুক ফুঁড়ে!
ভালোবাসি খুব যে বাসি
জানো কি তা তুমি
তুমি ছাড়া জীবন হবে
বিরান মরুভূমি!
ভাল্লাগছে না তো! কি করব বলো! সময় চলে যাচ্ছে, অফিস যেতে হবে। আজ হাঁটতে পারিনি... শরীর বেশ দুর্বল। মনের মাঝে হতাশাদের ভিড় সব মিলিয়ে কেনো জানি ভাল্লাগছে না। এই মেঘ, ভাল্লাগা ফিরিয়ে দিবে, আমার চোখে মুগ্ধতা এনে দাও ফের। আর লিখতে পারছি না, আসি- ইতি রোদ্দুর
পুনশ্চঃ নিজের প্রতি খেয়াল রেখো। ভালো থেকো। উত্তর দিয়ো। অনেক ভালোবাসা রইল।
১৮-৯-১৬
(ধারাবাহিক চিঠি ২০১৬ সালের লিখা তখনের অনুভূতি মনে নেই এখন)
ফেসবুকের বদিউজ্জামান । উনি এখানের লেখা সব কপি করে তার ওয়ালে নাম ছাড়া পোস্ট দিচ্ছেন। তাকে চিনে রাখুন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯