একটি ছবি স্যামসাং এসনাইনে তোলা বাকীগুলো ক্যাননে তোলা। আশা করি ভালো লাগবে।
০২।
©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
মনে আছে সেই ছেলেবেলার দুষ্টুমিগুলো? মনে আছে ফড়িং দেখলেই চুপচুপ পা ফেলে তার ডানায় ঝাপটে ধরার দিনগুলো? মনে আছে একটা ফড়িং মুঠোয় বন্দি করতে পারলেই সেকী উল্লাস। এক দৌড়েঁ ঘরে পৌঁছেই বলতাম আম্মা সূতো দাও সেকী মনে আছে? সূতোয় আটকে দিতাম ফড়িংয়ে লেজ, তারপর তারপর মনে আছে সেই সুতোটি বেঁধে রাখতাম কাপড় শুকানোর রশিতে। আহা কত চেষ্টা ছিলো তার বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেতে । অথচ সে উড়ে ঘুরে সে একই জায়গায় এসে থেমে যেতো অথবা সেই রশিতে বেজার মনে বসে থাকতো দিনভর। আচ্ছা এগুলো পাপ হয়েছিলো কী, এবেলায় এসে যে আমার বড় অনুশোচনা হয়। কত বদদুয়াই না সে দিয়েছে আমাকে উফ ভাবলেই মন চুপসে যায় বিষাদে।
কারো কী মনে পড়ে, প্রজাপতি দেখলেই মৃদু পায়ে এগিয়ে যেতাম তাকে ধরতে। অথচ তাকে ধরা বড় দুষ্কর ছিলো সে বেলা। প্রজাপতি বড় চঞ্চল, সে বসতেই চাইতো না ফুলের উপর অথবা পাতার উপর। ডানায় ছিলো না তার কোনো ক্লান্তি। দিনভর কী রোদ্দুর তাপে কী বৃষ্টি ভেজা দিনে ফড়িং আর প্রজাপতিরা উড়েই যেতো উড়েই যেতো ফুলে ফুলে গাছে গাছে লতা পাতায়।
মনে আছে তোমাদের ছেলেবেলার দিনগুলোর কথা? সেই ফড়িং আর প্রজাপতির মতই কী কোনো ক্লান্তি ছিলো আমার অথবা তোমাদের। বসে থাকার কী জুঁ ছিলো, এখন এ খেলা তো তখন ও খেলা। কখনো ডাংগুলি, কখনো দাঁড়িয়াবান্ধা, কখনো বউছি। কখনো হাডুডু। আবার সিগারেটের প্যাকেট ছিঁড়ে টাকা বানিয়ে কী খেলাটাই না খেলেছিলাম বিকেল হলেই। ক্যারামের গুটিগুলো সোজা দাঁড় করিয়ে কেউ কী বল ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আবার ঠিক জায়গায় রাখতে পেরেছিলে?
মনে পড়ে সেই খঞ্জন পাখির মত উড়ে বেড়ানো দিনগুলোর কথা? কত স্বাধীনতা ছিলো আমাদের। পড়ার সময় পড়াশুনা আর খেলার সময় খেলাধুলা করেই কেটে যেতো অযস্র প্রহর। শীত মৌসুমে আমরা বিকেল হলেই খোলা মাঠে (ধান কাটার পর ক্ষেত) চলে যেতাম নাটাই বাঁধা সুতোর ঘুড়ি নিয়ে। কী মিষ্টি আবেশে জড়ানো সেই বিকেলগুলো ভাবলেই দীর্ঘশ্বাস বেয়ে পড়ে বুক হতে। তোমাদেরও কী এমন অনুভূতি হয়?
ফড়িং প্রহর প্রজাপতি প্রহর আমার আহা সেই স্মৃতিমূখর দিনগুলোকে আজও বড্ড আপন লাগে। বুকের খাঁচায় হুহু পাখিরা কেঁদে উঠে নির্দ্বিধায়। স্মৃতিদের মনে করলেই বুকের তারে মুর্হুমুর্হু বেজে উঠে সুখ সুর।
সেই দিনগুলোর মত আজও ফড়িং অথবা প্রজাপতি দেখলে ওর ডানায় ধরে ছেড়ে দেই মুক্ত হাওয়ায়, আহা স্বাধীনতার উড়াউড়ি ওদের, কেনো যে ফড়িং হলাম না কেনো যে হলাম না খঞ্জন পাখি। তবুও কতট সুখি সে জানেন আমার অর্ন্তযামী। সুখগুলো এমনি এমনি আসে না, সুখ মুগ্ধতা অনুভব করতে হয়। ভালোবাসতে হয় মানুষ, পশু পাখি আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সব কে। ভালোবাসি আল্লাহ তোমাকে। তুমি আমায় দিয়েছো এত সুন্দর একটা মন। সে মন দিয়ে অনুভব করতে পারি তোমার দয়া।
ফি আমানিল্লাহ। ভালো থাকুন সব ফড়িং প্রজাপতি বন্ধুরা।
০৩।
০৪।
০৫।
০৬।
০৭।
০৮।
মনে আছে বন্ধু তোদের মনে আছে কিছু?
ফড়িং দেখলেই নিতাম, আমরা তাদের পিছু!
লেজে বেঁধে রঙিন সুতায় রাখতাম বেঁধে তারে
উড়ে যেতে চেষ্টা করতো ফড়িং বারে বারে।
দিনগুলো সেই উড়ে গেলো, দমকা হাওয়ার তোড়ে
এখনো যে করলে মনে, থাকি সুখের ঘোরে,
প্রজাপতির ডানায় বেঁধে, সুখ উড়িয়ে দিতাম,
হাওয়া হতে মুগ্ধতা সব, বুকের বামে নিতাম।
মনে আছে তোদের কী সব, ছেলেবেলার কথা?
নাকি তোদের অনুভূতি হয়ে গেলো ভোঁতা?
খেলতাম মিলে ভাইবোনেরা, কত রঙের খেলা
খেলতে খেলতে সুখের চোটে, চলে যেতো বেলা।
কানামাছি বউছি খেলা, ডাংগুলি হাডুডু
কখনো যে বসতাম নিয়ে, সাঁপঘরের সে লুডু,
ক্যারাম খেলতাম রুমাল চোরও, লাগতো মজা কী যে
করলে মনে সেসব কথা, চোখ জলে যায় ভিজে।
চলে গেলো কত দ্রুত, ছেলেবেলার সময়
সুখ আপ্লুত বসে ভাবি, এখানটাতে তন্ময়;
মেঘবালিকা ছিলাম আমরা, ডানপিঠে খুব আহা
বাজতো মনে মুর্হুমুহু, পাপিয়া পিউ কাহা।
দুরন্তপনার দিনগুলো সেই , ছেলেবেলায় ছিলো
স্বাধীনতায় ডানা মেলে, উড়তাম এলেমেলো;
আমাদের ঐ ছেলেবেলার কত আছে গল্প
তোমরা বাপু ডিজিটাল যুগ, সবই যেনো কল্প।
(২৩-১২-২০১৯)
০৯।
১০।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২১