#জীবন_গদ্য
পাশাপাশি আছি, কখনো তিন চাকার ডানায় চড়ে উড়েছি। কখনো পাশাপাশি চেয়ারে বসে রয়েছি, গুনেছি অপেক্ষার পল। কখনো হেঁটেছি পিচ ঢালা পথে। তখনো তুমি ছিলে পাশে আমার। দুজন পাশাপাশি.... নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ প্রহর। ঠোঁটে আঁটা খিল।
কথা নেই তোমার মুখে,কথা নেই আমার মুখে। কথা না বলার উৎসবে তুমি উল্টো চাঁদ মুখে কখনো আশেপাশের মানুষ দেখেছো, কখনো প্রাসাদের ছাদে কিংবা দেয়ালে চোখ। আর আমি আঁকুপাকু মন নিয়ে বসে ঝিমুতে ঝিমুতে ঢলে পড়ি নিদ্রার কোলে। আমাকে দেখেছিলো বিষ্ময়ে হয়তো কেউ... চমকে উঠে নিদ্রা টুটিয়ে ঠাঁয় বসে তোমার গা ঘেঁষে, অথচ কতটা নির্লিপ্ত তুমি ছিলে সে আমার মন জানে!
আমি জেনে গিয়েছি সেই যুগ আগে, তোমাকে সব বলা যায় না। তোমার সাথে মনের অগুছালো কথার ভাগাভাগি চলে না! শুধু জোরে নিঃশ্বাস টেনে ছাড়া আর কিই বা করার আছে। তুমি জানতেও পারলে না, এ আবেগি মনের অলিগলিতে কত কথার সমাহার, কত কথার সমুদ্দুর।
প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলরাশির যত ঢেউ জোয়ারে ভেসে আসে তার চেয়েও ঢের কথা আমার বুক দুমরে মুচড়ে ভেঙ্গে দিচ্ছে অহর্নিশ। নির্নিমিখ আঁখি পল্লবে কখনো দু'ফোটা অশ্রু ঝুলে থাকে আবেগ ঝরে পড়ার ছলে। কি দুঃসহ সময় আহ্ শুধু হাঁসফাস করে কাটিয়ে দেয়া দীর্ঘ প্রহর, জন্ম দিয়েছি কিছু অগুছালো কবিতা মনছেঁড়া ডায়রির পাতায় পাতায়। সেখানে তুমি আছো শব্দে ছন্দে মাত্রায়। কিন্তু সুখকর কোন কথা তোমায় নিয়ে আজও লিখতে পারিনি।
আমি বড় অসহায়। ক্ষমা করো, মিথ্যে আমার ধাঁতে নেই। অতপর আমি নিরবে কথা ঢেলে দেই নীল ডায়রীর পাতায়। তুমি শুধু একটি নীল গ্লাসে পরিপুর্ণ ব্যথার নীল জল ঢেলে দিলে। আমি চুমুকে চুমুকে ব্যথার নীল বিষ খেয়ে বিতৃষ্ণার নীল জলে ডুবে বসে থাকি কি দিন কি রাত। আর তুমি বা তোমার মনে আমার সম্পর্কে শুধু না বোধক প্রশ্ন ঘোরপাক খায় রোজ রোজ। সে আমি তোমার মুখ দেখেই বলে দিতে পারি।
(১১-০১-২০১৭)
এসব আগের লেখা, তখন দুঃখ ছিল কি ছিল না মনে নাই। নীল গ্লাসের ছবিটা তুলে হয়তো সেটা দেখে লিখে ফেলেছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭