©কাজী ফাতেমা ছবি
নিশ্চিন্তে যে রোজগার খাচ্ছো, হালাল করতে একদা দিয়েছিলে পরীক্ষা,
কত রাত জেগে নিয়েছিলে প্রস্তুতি গোনে গোনে
নিজের পায়ে দাঁড়াবেই মনে মনে নিয়েছিলে দীক্ষা
অতঃপর নির্ঘুম রাতের শেষে ঘুম, গিয়েছিলে রঙবাহারী স্বপ্ন বুনে।
কতটা পরিশ্রমের পর স্বপ্ন ধরা দেয় হাতের মুঠোয়, সে কী মনে আছে?
চোখে সুখের জল করেছিলো চিকচিক, নয় কী তাই?
স্বপ্ন তো এমনি এমনি ছুটে আসেনি তোমার কাছে,
দিনকে করেছো রাত, রাতকে দিন, জীবন পুড়ে যেনো ছাই।
পিছু ফিরে তাকাও নি, কত এপ্লিকেশন জমা দিয়ে দিয়ে হয়রান
কত ইন্টারভিউ, কত পরীক্ষা, কত অযস্র সময় করে দিলে পার,
দিনভর ছুটোছুটিম, রাতে পড়ার টেবিলে সময় কেটেছে অফুরান
তবুও যে একটুও মানোনি হার।
একদিন খাকি খামে উড়ে এলো স্বপ্ন, হালাল রুজির পেলে দিশা,
করলে শপথ পা বাড়াবে না ভুল পথে কভু
খাবে না ঘুষ, করবে না দুর্নীতি, করবে সম্মান রুটি রুজির ইনকামে
ভেবেছিলে জীবনে কখনো আসবে না অমানিশা;
রঙ মোহ ঝলমলানি আলোয় আলোকিত সবে তোমার বিঁভু।
জয়েন করেই ভুলে গেলে সেই শপথের কথা, হয়ে উঠলে লোভী
অথবা চাকুরী তো আছে বলে করে যেতে থাকলে অবহেলা
নিজের প্রয়োজনই বড়, অফিস ছেড়ে সময় কাটাও
বন্ধু আড্ডা অথবা সংসার সাজানোতে খুবই,
ইদানিং চাকুরীটা আছে বলেই নিদ্বির্ধায় ভাসাও অন্যায়ের ভেলা।
নিজের সাংসারিক প্রয়োজনে ক্ষমতা খাটিয়ে লিভ রিজার্ভে থাকো,
বাচ্চাদের স্কুল রান্নাবাটি খেলা অথবা শান্তি খুঁজো,
একদিন এসে দশদিনের স্বাক্ষর সন্তর্পণে হাজিরা খাতায় আঁকো,
মাস শেষে বেতন পাচ্ছো, পাচ্ছো লাঞ্চ বিল,
তুমি কী হালাল রুজি খাচ্ছো? সে বুঝো?
আমি ভেবেই শিউরে উঠি ভয়ে, এত কষ্টে পাওয়া সেই রোজগারের পথ
অথচ হালাল কে করে নিচ্ছো হারাম হেসে খেলে,
দায়িত্ববান কর্মকর্তা, পরিচয় দাও অকর্মকর্তাসুলভ, ভেঙ্গে দিলে
নিজেই নিজের শপথ;
ঘুষ খাওনি, তাতে কী, অফিস কামাই করেও যে টাকা নিচ্ছো; হালাল?
কী নির্ভয়ে পাপ করে উড়ো সংসারে সুখে ডানা মেলে!
২৮-০১-২০২০
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩১