
আগের লিখাগুলো মাঝে মাঝে সম্মুখে চলে আসে। ভালো লাগে আগের অনুভূতিগুলো ছুঁয়ে দেখতে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
ভোরের এই স্নিগ্ধ আলোয় যদি না লিখি কিছু
এমন বৃষ্টি ভেজা ভোর হাসবে না আর ঝলমলিয়ে;
পাতার ফাঁক গলে এক চিলতে রোদ্দুর পড়বে না আর
আমার থাই জানালার শার্শিতে,
ফাগুন আকাশ হয়ে যাবে গ্রীষ্মের তীক্ষ্ণ আলোর আকাশ
দুলবে না আর রঙধনু রঙ পর্দা ফাগুন হাওয়ায়
আম গাছের আগাছা'রা তুলবে করুণ সুর
পাখিদের কলকাকলি যাবে থেমে, শুধু কাক ছাড়া।
সবুজ পাতা'রা মলিন বদনে চুপসে যাবে, নিথর
যদি না লিখি চোখের পাতায় সেঁটে থাকবে ঘুম
অলস পাখি'রা ওড়ে বসবে দেহে আরাম স্পর্শ নিয়ে।
ঐ যে কলাপাতা ঝাঁড়,
তাদের পাতাগুলো বিষাদে পড়বে নুয়ে
দূরের মরা ঘাসের ধুঁধুঁ বালির মাঠে ঝরবে না আর
ফাগুন হাওয়ায় হলুদ কমলা বাসন্তি পাতা'রা,
ছন্দ হারাবে ঝরা পাতার কাব্য।
এমন মিষ্টি সকালে যদি একটুও না লিখি
বাজবে না আর ঘন্টা কলরবের ঐ পাঠশালায়
শিশুরা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ফিরে আসবে নীড়ে।
আজ লিখি নাই বলে আকাশ কাঁদছে
কালো মেঘের দঙ্গল চেপে বসেছে আকাশের বুকে।
মৌ পোকারা গাইছে না গান, গাছে গাছে পাখিরা চুপটি নিরব
ফেরিওয়ালার নেই গলাফাঁটা হাক, রোদ্দুর নিভে গেছে;
বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেছে চারিদিক আজ লিখিনি বলে।
যদি না লিখি একটি ভোরে তবে ভাঙ্গবে না কারো ঘুম
দিবস হয়ে যাবে রাত্রি, সূর্য'টা ঠাঁয় বসে থাকবে পূর্বাশায়।
যদি না লিখি, বদ হজম হবে পেটের খাবার
বুকে জমবে রাজ্যের দীর্ঘশ্বাস, নিঃশ্বাসে বের হবে বিষ ধোঁয়া
দিবসজুড়ে হাঁসফাঁস কাটবে মলিন বদনে
তার চেয়ে ঢের হবে আমি লিখে ফেলি
ছন্দহীন গদ্য নিরস মাত্রা তাল লয় ছাড়া একটি অকবিতা
তোমাদের সময় নষ্ট করে আমি সুখি হব এবেলা।
(০৭-০৩-২০১৭)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



