চল্লিশের পরেই পঞ্চাশ ডাক হাত বাড়িয়ে,
যেতে না চাইলেও তার বাড়ী, যেতে হয় স্বয়ংক্রিয়তায়
ক'দিনই বা টিকবো এখানে,
গুছাই গুছাই করেই কেটে গেল এই অগণিত দিন।
জীবন তো দেখাই হলো না নিবিড়
বাকি দিনগুলোও কেটে যাবে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে;
জীবনকে নিয়ে ভাববার সময়ই পাইনি
এর তার প্রয়োজন মিটিয়ে নিজেকেই ভুলে বসে আছি।
বাকি দিনগুলো কাটাবো কী করে,
কেউ দেবে না আরেকটা জীবন ধার,
তবুও যদি পাই অফুরন্ত অবসর
আমি লাঠি হাতে ঘুরে বেড়াবো অরণ্যে, পথে প্রান্তরে।
নিঃশ্বাস টেনে যাতে বলতে পারি এই তো জীবন;
এইতো সুখে বেঁচে থাকা;
প্রভুর কাছে না হয় তখন, আরও কিছু সময় চাইবো ধার
বলবো তাকেঁ, আমায় অনুভব করতে দাও জীবন।
এত হাউকাউ, হইচই প্রহর, নিঃশ্বাসে বিষ
দম ফেলতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস আটকে থাকে গলায়;
আমার বিগত দিনের দুঃখবোধগুলো ধার দেব যদি কেউ নেয়
এবং অনুভব করতে পারে অন্তত যন্ত্রণা সেই সব।
এই তো চল্লিশের সিঁড়ি বেয়ে আগাচ্ছি
পঞ্চাশ ডাকছে, ফুরিয়ে যাবে দেহের শক্তি
পায়ের গিরায় আসবে ব্যথা, পেটে বদহজম,
খাওয়ার ক্ষমতা কমবে,
আর ফিরে পাবো না কুড়ি হতে ত্রিশের সময়গুলো।
কত উচ্ছাস মেখে হেঁটে বেড়াই বুক ফুলিয়ে
ভাবি এ জীবন ফুরাবার নয়
অথচ ক্যালেন্ডারের পাতা ঠিকই উল্টায়
ঘড়ির কাঁটা ঠিকই ঘুরে রোজ
বয়সগুলো ঘড়ির কাঁটায় ভর করে যাচ্ছে পঞ্চাশে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৮/০৬/২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭