
সতত ডুবে থাকি শব্দের জলে, মন খারাপগুলো উড়ে যায়
শব্দের নদীতে ডুব সাঁতারে কেটে যায়, নির্ভাবনায় দিন;
অক্ষরে অক্ষরে কী যে মায়ার বেড়াজাল
আটকে থাকি মুহুর্তে, কবিতা না হোক তা
তবুও মায়ায় পড়ে যাই
তবুও সারি সারি সাজানো শব্দ ছুঁয়ে থাকি বেলা অবেলা,
এ কী সৃষ্টির অনাসৃষ্টি?
ব্যস্ততার পিছনে দাঁড়ি টেনে, ফিরে আসি কবিতার ঘরে,
এখানে রাখা যেনো, সাত রাজার ধন - হীরে মানিক
আঁচল ভরে কুঁড়াই; দিনশেষে আমি শব্দের সমাজ্ঞী,
অযস্র শব্দ মিলে হয় জীবন উপন্যাস,
যেখানে সুখ দুঃখ, সামাজিক,দেশত্ববোধগুলো জমা রাখি,
কবিতা নাই বা হলো-তাতে কী?
সময় কেউ তুলে দেয় না হাতে, সময়ের কাছে সঁপি না মন
এদিক ওদিক গুছানো, ব্যস্ত দিন অথবা ব্যস্ত রাতের
কিছুটা প্রহর একান্ত আমার-মন জমিনে শব্দ বোনার,
নিজেকে খুঁজি শব্দের মাঝে, নিজেকে হারাই শব্দ ডহরে,
কোথায় জমা রাখি আর কষ্ট
কষ্ট বিষাদ বুকে পুষে লাভ কীই বা শুনি?
এককণা অবসরও কেউ কেড়ে নিতে চায়,
অতঃপর আমি সেই বাঁধার পাহাড় ঠেলে
আপন সুখ হাতের মুঠোয় নিয়ে, বীনে সূতায় গাঁথি শব্দের মালা,
নৈঃশব্দের জগতে আমি আর শব্দ,
কারো কানে নাই বা বাজলো সুখ সুর অনুরণ;
শব্দ আঁকড়ে ভালো থাকার মুহূর্তগুলো একান্ত আমার,
শব্দ সাজিয়ে সারি সারি লাইন অথবা প্যারা
নাই বা হলো সে পরিপূর্ণ কবিতা,
ভালো থাকার এক গোপন ঔষধ খেয়ে বেঁচে থাকি
কেবল কবিতার হাত ধরে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৯-০৬-২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



