
পুড়ে যায় হাত, কেটে যায় আঙ্গুল, ঘামে ভিজে কপাল
শরীরে হেঁটে বেড়ায়, তিরতির ঘাম পঙ্গপাল,
চুলার আগুনের তাপ, এই খরায় যে সয়ে নেয় সে নারী,
নেয়ে ঘেমে একাকার, দুঃসহ জীবন তবুও বসে চুলায় হাঁড়ি!
কেটে যাওয়া আঙ্গুলে লবণের প্রলেপ, জ্বালাময় প্রহর
পুড়ে যাওয়া হাতে জলের স্পর্শ... তীক্ষ্ণ ব্যথার লহর,
কুটকুট কামড়ায় ঘাম পোকা,
জ্বলন্ত চুলার আগুনে তাকালেই সর্ষে ফুল... সব ধোকা!
তবুও বায়নায় ঠোঁট রাখে পুরুষ, এ চাই ও চাই, দ্রুত
নারীর দুঃখ কষ্ট আনন্দ সুখ সবই অশ্রুত,
সংসারের গ্যাড়াকলে হারিয়ে যায় ইচ্ছে শত,
হুকুমদাতা বেখেয়ালি, কিছুই পারো না আহা ভৎসর্না কত!
তবুও অপ্রাপ্তি যায় রয়ে কর্তার বায়নায়,
দোষ ত্রুটি বেশ, দেখে যেন মন আয়নায়
কাটা আঙ্গুলে পেঁয়াজের ঝাঁঝ, কলিজায়,নিউরণে
সুতীব্র ব্যথায়ও নারী... কাজ করে যায় নির্দ্বিধায়,
অপ্রাপ্তি,আফসোস, নারী প্রস্তুত সব কষ্ট বরণে!
পুড়ে যায় নারী চৈত্রের খরায়, তাতে পুরুষের কী দায়!
কত বায়না সামলে, নারীর পথচলা এ সংসার অরণ্যে,
রান্নাবাটি সংসার বাচ্চা, সবই তোলা আছে নারীর জন্যে,
মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা, বিষাদে ভরা মন নিয়েও নারী..
চুলার আগুনে পুড়ে বায়নার ফুলঝুড়ি,
কত আয়োজন গুছিয়ে.... মধ্যরাতে ছুটি,
সব ইচ্ছে জলাঞ্জলি, চোখে ঘুম খায় লুটোপুটি!
একটি জীবন, এক দঙ্গল ইচ্ছে তুলে রাখে ইচ্ছের দেরাজে
খোলা হয়ে উঠে না ইচ্ছে বাক্স, না সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে!
নারীর নিজেকে ভাবার সময় আর হয়ে উঠে না,
অন্যের সুখে মন রেখে নারী হেঁটে যায় সম্মুখে...
তবুও কোন কোন নারীর জীবনেও অশীতিপরে
নিজ সংসারে আহার জুটে না!
©কাজী ফাতেমা ছবি
২৬/০০৬/২০২০
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




