
দিবানিশি মোহ মন্ত্র গাঁথা জীবন
চোখে স্বপ্নঘোর, আধা জেগে আধা ডুবে
আধা ঘুমে কেটে যায় ছন্নছাড়া সময়।
ছাই পাশ স্বপ্ন চোখের কিনারে বসে নিথর
গভীর ঘুম টুটে যায়, অথচ বেভোলা মন
কোন সে স্বপ্নে ছিলাম আচ্ছন্ন, মন মনে রাখে না।
সে কী সুখের ছিলো, নাকি কোনো শিহরণ ক্ষণ
নাকি ভয়ংকর কিছু।
খেয়ালীপনায় হারাচ্ছি দিনের আলো
রাতের আঁধার হারাচ্ছি অযথা জেগে জেগে।
ছাদে নির্নিমিখ চোখ, নিস্তব্ধ বাড়ি
পাশ ফিরে শুয়ে থাকে আত্মজ,
তেলাপোকার উড়াউড়ি, মশারী ঘরে বন্দি
হাঁসফাঁস কেটে যায় ডুকে ডুকে পানি পানে।
এই যে ব্যস্ততায় চলে যায় দিন আরও অথৈ দিন
রাতে ভাবনার বেড়াজালে হই বন্দি,
কালচে আলোয় খুঁজি কবিতার ছন্দ,
না-প্রেম ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হই না আর
ক্ষয়ে গেছে দোয়েল প্রহর
পড়ে আছে কিছু মলিন জরাজীর্ণ সময়।
তবুও কেনো কিছু কথা বলার অধীর আকুতি
মনের ভিতর খঞ্জন পাখির ওড়াউড়ি,
আহত পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ নিয়ে
সটান শুয়ে থাকি রাতদুপুর।
ইচ্ছে করে মন বাড়িয়ে ডাকি শৈশব, কৈশোর আর
ডানামেলা পাখির প্রহরগুলো,
দীর্ঘশ্বাসে নড়ে যায় জানালার পর্দা,
সাঁই সাঁই ঘূর্ণি পাখা হীম হাওয়া ছড়ায়
এই আশ্বিনের শেষ রাতে আর
আমি নিথর স্বপ্নঘোরে হই আচ্ছন্ন।
©কাজী ফাতেমা ছবি
০৮-১০-২০১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


