বাংলাদেশ থেকে এসেছি ১৮ মার্চ। দেখতে দেখতে এক মাস পার হয়ে গেলো..। বাসার কথা ছাড়া ..আর সব কিছুই মজা লাগছে। লাইবেরিয়া আফ্রিকার ছোট একটা দেশ।আয়াতনে বাংলাদেশের ছোট ভাই,মানুষ ৩'৫ মিলিয়ন মাত্র। মানুষ গুলো আশ্চর্য রকমের কালো।
আমি এই প্রথম মাতৃভূমির বাহিরে পা ফেললাম। বলতে লজ্জা নাই,প্রথম উড়োজাহাজ ও সেদিন চড়লাম। ফাহিম (আমার বড়বোনের ছেলে) মুখ গম্ভীর করে বললো,মামা সাবধান! ভুলেও অপরিচিত কারো কাছ থেকে প্লেনে কিছু খাবেনা,জানালা দিয়ে হাত বের করবেনা।আমি বাধ্য ছেলের মতো ওর কথা রেখেছিলাম।
প্রথম যখন প্লেন টেক অফ করল,পেটের মধ্যে কেমন জানিনা করছিল।এটা কি আমার মতো সবারই হয়?
লাইবেরিয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশ। আমেরিকানরা এখনো এটাকে তাদের উপনিবেশ মনে করে।পৃথিবীর ৪৮% লোহা এই দেশে পাওয়া যায়। হীরার বেশ কয়েকটি বড় খনি রয়েছে এই দেশে।
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের পতাকা,আর এই দেশের পতাকার মধ্যে একটাই শুধু
পার্থক্য,তারকার সংখ্যা। এই দেশের পতাকায় একটা মাত্র তারকা। রাজধানীর নাম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনরোর নামে, মনরোভিয়া।
আমার ধারণা ছিল,বাংলাদেশের মতো গরিব দেশ পৃথিবীতে খুব কম আছে। আর আমার বর্তমান ধারণা হলো বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ধনী একটি দেশ।
সণ্ধ্যার পর,পুরো দেশ অন্ধকারে ডুবে থাকে,বিদ্যূতের অভাবে। এক মেগাওয়াট বিদ্যূত ও উতপন্ন হয়না। কবি বহুকাল আগে তাই লিখেছিলেন-আফ্রিকা অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ।
যেহেতু অন্ধকার,লাইবেরিয়ানরা EARLY TO BED AND EARLY TO RISE-এ বিশ্বাসী। সন্ধা নামলেই পুরো জাতি বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে। মজা না?
তবে জাতিসংঘ আমাদের জন্য ২৪ ঘন্টা আলোর ব্যবস্হা করে রেখেছে। 125 KV র চারটা জেনারেটর অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশে আলো দিয়ে যায় আমাদের। এইমাত্র অলৌকিক একটা ঘটনা ঘটলো।বিদ্যূত আছে বলতেনা বলতেই চলে গেল।
UPS এর Backup-এ বেশিক্ষণ লেখা যাবেনা। আজ এ পর্যন্ত থাকুক। কারো ভালো লেগে থাকলে নিয়মিত এখানে লিখব।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



