somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

্সিআর রাকিব
আমার পরিচয় !! নিজেকেই আমি পাইনি আজো খুজে ।আমি এখনো নিজেকে বুঝতে পারেনি, জানতে পারেনি । প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করছি । হয়তো একদিন খুজে পাব নিজেকে, সাথে আমার অদৃশ্য 'আমি' টাকে ।তখন না হয় লিখব ।

খুন বা প্রেমের গল্প

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খুন করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল লাশ গুম করা । অনেক ঠান্ডা মাথার খুনিও লাশ দেখে ঘাবড়ে যায় অনেক সময় । তাড়াতাড়ি লাশ লুকাতে যেয়ে ভুল করে বসে ,যার ফলে ধরা পরে যায় । এক্ষেত্রে অবশ্য সে ভুলটা হবে না । এ বাড়ির আশে পাশে জনবসতি ঐরকম নেই বললেই চলে । যে বাড়িটা তৈরি করেছিল,সে বাগান বাড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছে ।।এখানে বাড়িওয়ালা মেয়ে-মদ নিয়ে ফুর্তি করার জন্য আসতো । ফুর্তি খুব বেশিদিন কপালে সইলো না । একদিন এই বাড়িতেই ফুর্তিরত অবস্থায় হার্ট এটাকে মারা যায় । হজ্ব করে ফেরা একজন বেশ্যা-মদ আবৃত হয়ে মারা গেছে,ব্যাপারটা বেচারার পরিবারের জন্য অস্বস্তিকর ছিল । তাই সম্ভবত বাড়ির পরবর্তী মালিক-মালকিনরা লজ্জায় এদিকটা খুব একটা মাড়াত না । বাড়ি বহুদিন পরে ছিল খালি,তালায় জং ধরে গিয়েছিল,ভেতরে মাকরসার জালে ভর্তি,চারদিকে আগাছায় জঙ্গলময় । বাগান বাড়ি রূপান্তরিত হয়েছিল ভূতুড়ে বাড়িতে । এজন্যই সম্ভবত নামমাত্র ভাড়ায় ভাড়া দিয়েছিল । এখন সে বাড়ির আলপনা আঁকা মেঝেতে পরে আছে লাশটা । জখমটা হয়েছে ঘাড়ের কাছে । থেমে থেমে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে । রক্ত খয়েরি মেঝেকে লাল বর্ন দান করছে । ঘাড়ের কাছে কাটা অংশ থেকে থেমে থেমে ছিটকে রক্ত বেড়িয়ে আসছে । দেখতে ভালো লাগছে ব্যাপারটা । খাটের উপর পা ঘুটিয়ে বসে একজন মুগ্ধ হয়ে রক্ত বের হওয়ার দৃশ্য দেখছে । আচ্ছা শরীরে থাকা পুরো রক্ত বের হয়ে যেত কতক্ষন লাগবে ?
মানুষের শরীরে কতটুকু রক্ত থাকে ?
লাশটা কী করবে ?
লাশের ব্যাপারে অবশ্য ভাবনা চিন্তা করাই আছে । পাশের রুমে ১৫ টি ক্ষুদার্থ কুকুর অপেক্ষা করছে । শরীরে থাকা মাংসগুলো যাবে তাদের পেটে । একদিনে অবশ্য শেষ হবে না,যা বাকি থাকবে পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হবে পরবর্তীতে খাওয়ানোর জন্য । হাড়-গোড়,নারি-ভুরি আর হাঁসি মাখা মুখটা পুতে রাখা হবে পেছনে ঝুপঝাড়ের মত হয়ে উঠা বাগানে ........
__________________________________________

-এই যে.........
মেয়ে কন্ঠের ডাকে বই থেকে মুখ তুলে ঘুরে তাকালো পেছনের দিকে । আজকে রাতুলের ভার্সিটিতে প্রথম দিন । দুয়েকজনের সাথে হাই,হ্যালো হয়েছে বটে কারো সাথে সেভাবে পরিচয় হয়নি । সবাই এখন ব্যস্ত নবীনবরন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কনসার্ট নিয়ে । রাতুলও সেখানে ছিল কতক্ষন তবে ভালো না লাগায় চলে এসেছে । মুক্তমঞ্চের পাশের বেদিতে বসে বই পড়ছে । মেয়েটির সাজগোছ দেখে মনে হচ্ছে সে নিজেও নবীনবরন অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতেই এসেছে । পরনে শাড়ি,মাথার খোপার মধ্যে অনেকগুলো ফুল । কাজী নজরুল কী এরকম কাউকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল,’মোর প্রিয়া হবে এসো রানী,খোপায় দেব তারার ফুল’
-আপনি কিছুটা অদ্ভুত সেটা জানেন ? সবাই যেখানে কনসার্টে নাচানাচি করছিল আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে বই পড়ছিলেন । অ মাই গড! ভাবা যায় । আচ্ছা আপনি কী সব সময়েই এরকম না এটেনশন সিকের জন্য ভাব নিচ্ছেন ?
হড়বড় করে কথা বলে যাচ্ছে মেয়েটা । মেয়েটার চোখের মধ্যে এক ধরনের অন্য রকম চাঞ্চল্য আছে , ব্যাপারটা আসলে ভাষায় ঠিকঠাক প্রকাশ করা যাচ্ছে না । গোল গোল চোখ দুটির মধ্যে যে অপার্থিব সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে , সেটা কী কারো পক্ষে লেখায় ধারন সম্ভব ? জীবনানন্দ কী পারতেন ? তার বনলতা সেনের চোখ কী এর চেয়ে সুন্দর ছিল ?
-সুন্দরী মেয়ে দেখে তব্দা খেয়ে গেলেন নাকি ?
কোমড়ে দুই হাত দিয়ে মাথা ঝাকিয়ে শাসন করার ভঙ্গিতে বলল মেয়েটা । ভঙ্গি দেখে না হেসে পারলো না রাতুল । রাতুলের সাথে মেয়েটাও হেসে উঠলো । তবে হাসিটা রাতুলের মত নিঃশব্দে নয়,শব্দ করে হাসি ।
-আমি রাতুল
হাত বাড়িয়ে দিল মেয়েটির দিকে । বাঙালি মেয়েরা সচরাচর কারো সাথে হ্যান্ডশেকে আগ্রহী হয় না । কেউ হাত বাড়িয়ে দিলে নিজেদের শামুকের মত ঘুটিয়ে নেয় । অন্য কোনো মেয়ে হলে হয়তো রাতুল হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিত না । এই মেয়ে অন্য টিপিক্যাল বাঙালি মেয়েদের মত নয় সেটা এতক্ষনে বুঝে ফেলেছে রাতুল । তবে মেয়েটা হ্যান্ডশেক করলো নাহ । বাড়ানো হাত ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাশে পাশে বসতে বসতে বলল
-হঠ! সেই কতক্ষন থেকে দাঁড়িয়ে আছি কোথায় বসতে বলবে, না! ইনি আয়মান সাদিকের মত হাসি হাসি পোজ দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে হ্যান্ডশেক করার জন্য । হাউ ফলিস !
______________________________

-এই বুদ্ধু! চায়ে কী সাহিত্য খুজছিস নাকি । চা খা ,তোর চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
ধমকে উঠলো নীরা ।
-আচ্ছা,আমাদের প্রথম দেখার কথা মনে আছে তোর ?
এবার নীরা বড় বড় চোখ করে তাকালো রাতুলের দিকে । তারপর বলল
-অ আচ্ছা ,আমার হাবু বাবুটা এতক্ষন নস্টালজিক হয়ে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করছিল ।
তারপরই মাথার পেছনে থাপ্পর লাগিয়ে বলল
-বুদ্ধু তাড়াতাড়ি চা খা । এই ইন্টারভিউ মিস করলে তোর আর চাকরি করা হবে না
-আর খাব না । রিক্সা ডাক.........
রিক্সায় উঠে নীরা বলল
-বুদ্ধু,বলতো তোর চাকরিটা হয়ে গেলে আমরা কী করবো ?
-জানিনা
-তোর চাকরি হয়ে গেলে আমরা একটা বাড়ি ভাড়া নেব । তবে এখানে না,গাজীপুর থেকে একটু বাইরে গ্রামের দিকে-ফার ফ্রম মেডিং ক্রাউড
পাশ করার পরপরই নীরা চাকরি পেয়েছে । রাতুলের ব্যাপার সম্পুর্ন উল্টো । এই দেড় বছরে দশের অধিক ইন্টারভিউ দিয়েছে । চাকরির দেখা এখনো পায়নি ।
-বাবা ফোন দিয়েছিল । তোর কথা জিজ্ঞেস করলো......
-কী বললো?
-কী আর বলবে । বলল জামাই কোথায় ? বললাম ,বুদ্ধু টয়লেটের কমোডে বসে বই পড়ে । তারপর বলল,শোন মা ! জামাইকে এভাবে সম্বোধন করতে নেই ।
রাতুল হেসে বলল,তারপর তুই কী বললি ?
-আমি আর কী বলবো । বললাম,আমি তো ওকে বিয়ে করিনি । বারবার জামাই-জামাই করছো কেন ? শুনে খটাস করে ফোন রেখে দিল
নীরার মুখে হাসি । ব্যাপারটা সত্য,নীরা-রাতুল প্রচলিত আইন মেনে বিয়ে করেনি । আসলে ওরা প্রচলিত-অপ্রচলিত-ধর্মীয় কোনো ধরনের আইন মেনেই বিয়ে করেনি । ব্যাপারটা নীরার বাবা মেনে নিতে পারেনি । উনি আত্মীয়-স্বজন ডেকে নীরাকে ত্যাজ্য ঘোষনা করেছেন । নীরা বাবার একমাত্র মেয়ে । সে কারনেই হয়তো ভদ্রলোক নিজের রাগ বেশিদিন পুষে রাখতে পারেন নি । এখন মাঝে মাঝেই নীরাকে ফোন করেন । নীরার বাবা ফোন করলেই নীরা বাবাকে রাগিয়ে দিয়ে মজা পায় । রাগের এক পর্যায়ে ভদ্রলোক ফোন রেখে দেন । দীর্ঘদিন পর আবার ফোন দেন,আবারো সে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ।
-তোর কী মনে হচ্ছে ,এবার কী চাকরি হবে ?
-বাবা তো সেরকমই বলল । আর বাদ দে,হলে হবে না হলে নাই । আমার তো চাকরি আছে । তবে চাকরি হলে আরেকটা সুখবর পাবি , না হলেও অবশ্য পাবি । তবে চাকরি হলে ভালো । দুই খুশি একবারে সেলিব্রেট করবো
রাতুল ভাইবা দিয়ে বের হয়েছে । চাকরি হবে মনে হচ্ছে । ভাইবা বোর্ডে তাকেই কিছুই জিজ্ঞেস করেনি । কোম্পানির মালিক নীরার বাবার পরিচিত । রাতুলকে ডেকে নিয়ে অফিসে বসিয়ে নীরার বাবা উনাকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন তার ফিরিস্তি শোনালো ।
-আপনার শ্বশুর না থাকলে তো আমার কোম্পানিই হতো না । আপনার শ্বশুর তো আমার কাছে দেবতার মত । তার জামাইকে সামান্য একটা চাকরি দিতে পারবো না সেটা কী হয়
স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে,এই চাকরি পাওয়ার পেছনের মূল কারন নীরার বাবা । অন্য সময় হলে হয়তো চাকরিটা রাতুল নিত না । তবে এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন । নীরা গাজীপুরের এই কোলাহল ছেড়ে গ্রামের দিকে বাড়ি নিতে চায় । তবে সেটা নীরার একার চাকরির বেতন দিয়ে সম্ভব না ।
-কী রে । গুম হয়ে বসে আছিস কেন ? বাবার লবিং-এ চাকরি পাবি এজন্য মন খারাপ ?
-বাদ দে । কী জানি সুখবর দিবি ,সেটা বল ।
-তোর পুরোনো কয়েকটা প্রেমিকার নাম বল
-আমার পুরোনো প্রেমিকা নাই
-নাই কে বলল । ঐ যে তুই ছোট সময় যার সাথে বর-বউ খেলতি,তারপর তোর আব্বাকে গিয়ে একদিন বললি,আব্বা আমি বিয়ে করে ফেলেছি । ঐ মেয়ের নাম কী ছিল ?
-শ্রেয়া । ওর নাম দিয়ে কী করবি ?
-আমাদের একটা মেয়ে হবে ,তার নাম দিব শ্রেয়া ।
বলেই জিভে কামড় দিল ।
-যা শালার,বলেই ফেললাম ।
বলেই জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখলো নীরা । এই নীরা অন্য নীরা,সব সময়ের দুষ্টো-ডানপিঠে নীরা নয় । সব মেয়ের মধ্যেই কী কনসিভ করার পর এমন পরিবর্তন আসে ?
-আচ্ছা বলতো এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি ? হা করে তাকিয়ে আছিস কেন ? আমরা আমাদের নতুন বাড়ি দেখতে যাচ্ছি । তোকে বলিনি ? শিট বাল! মনে ছিল না । আচ্ছা শোন,আমি গাজীপুরের বাইরে একটা বাড়ি দেখেছি । দেখেছি মানে ভাড়া নিয়েও ফেলেছে । আমরা পরশু সেখানে উঠছি । তোর পছন্দ হবে,বাগান বাড়ি টাইপ ।
গল্পটা এভাবে চলতে পারত । নাটকীয়তা ছাড়া কোনো গল্প সম্পূর্ন হতে পারে না । নীরা-রাতুলের জীবনেও সে নাটকীয়তা আসলো খুবই শীঘ্রই । না ঠিক নীরা না,রাতুলই গল্পে নাটকীয়তা নিয়ে আসলো । এক পূর্নিমা রাতে বারান্দায় বসে সিদ্ধার্থ পড়তে পড়তে রাতুলের মধ্যেও ভবঘুরে হওয়ার নেশা চাপলো । প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই ভবঘুরে হওয়ার বীজ সুপ্ত থাকে । কারো কারো মধ্যে থাকা ভবঘুরে হওয়ার বীজ পূর্নিমা রাত্রে ডালপালা মেলে দেয় । তারা জীবননানন্দের কবিতার পঙক্তি
‘ যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ।
বধু শুয়ে ছিল পাশে—শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল—জ্যোৎস্নায়— ‘
পাঠ করতে করতে জোছনায় বের হয়ে যায় । কেউ হয়তো কখনো ফিরে আসে ,কেউ যায় লাশকাটা ঘরে । রাতুল তাদের একজন হয়ে নীরাকে কিছুই না জানিয়ে ঘুমন্ত নীরাকে একবার দেখে বের হয়ে গেল জোছনায়.........
____________________________________________

রাতুল দরজায় কয়েকবার কড়া নাড়ল । সবকিছু সেই আগের মতই আছে , আট মাসে মনে হচ্ছে পরিবর্তন হয়নি কিছুরই । টবগুলোতে লাগানো গোলাপ গাছে ফুল ফুটেছে । আচ্ছা নীরা তার আটমাস পর ফিরে আসাটা কীভাবে দেখবে ? দরজা খুলে গেল । ভেতর থেকে নীরা বলল,ভেতরে আয় ...
নীরাকে দেখে বুঝার উপায় নেই রাতুলের ফিরে আসাটাকে কীভাবে নিয়েছে । অনুভূতিহীন মুখায়ব ।
-হঠাৎ করে .........
কথা শেষ করতে দিলনা নীরা । এর মাঝেই বলে উঠল
-আমি জানতাম তুই ফিরে আসবি
-তুই আগের থেকে রোগাটে হয়ে গেছিস
-কী করবো বল । তুই চলে যাওয়ার পর সব কিছু একাই করতে হয়েছে । নিজের কথা ,শ্রেয়ার কথা ভাবতে হয়েছে । অতিরিক্ত টেনশন-চাপের কারনেই হয়তো অসুস্থ হয়ে পরলাম । একদিন অফিস থেকে ফেরার সময় চলন্ত রিক্সা রিক্সা থেকে পরে গেলাম । অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হল । আমার মেয়ে শ্রেয়া পৃথিবীতে আসার আগেই বিদায় নিল ...
নীরা রাতুলকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করলো । কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলতে লাগলো
-তুই থাকলে আমার এত টেনশন করা লাগতো না । চাকরিও হয়তো ছেড়ে দিতাম ,আমাদের শ্রেয়াকে পৃথিবীতে আসার আগেই বিদায় নিতে হতো না ।
রাজ্যের অপরাধবোদ এসে হঠাৎ জড়িয়ে ধরল রাতুলকে । নিজেকে অপরাধী মনে হতে লাগলো । মনে হল তার সারা গায়ে লেপ্টে আছে নিজের অনাগত সন্তান হত্যার ছাপ । এর মধ্যে নীরা বলে যেত লাগলো
-হাসপাতাল থেকে বাবা নিয়ে যেতে চেয়েছিল । যাইনি । কেন যাইনি জানিস ? জানতাম একদিন তুই ফিরে আসবিই । সন্তান হত্যার দায় তুকে চুকাতেই হবে
এই প্রথম বার রাতুলের মনে হল নীরা অস্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে । দুহাতে ধরে নীরাকে সামনে নিয়ে আসলো রাতুল । ভালো করে তাকিয়ে চমকে উঠলো রাতুল । নীরার সারা শরীরেই ফ্যাকাশে একটা আভা ,অনেকদিন যাবৎ কেউ আলো-বাতাসহীন কোথাও আটকে থাকলেই এরকম হয় । নীরা ভয়ংকর অসুস্থ টের পেল রাতুল । রাতুলের হাত দুটি সবেগে সরিয়ে দিল নীরা । তারপর দাতে দাত চেপে বলতে শুরু করলো
-আমি এখানে কী করেছি জানিস । অনেক ভেবে চিনতে তোকে কী শাস্তি দিব বের করেছি
রাতুল শান্ত স্বরে বলল
-নীরা তুই অসুস্থ ,ভয়ংকর অসুস্থ । চল তোকে আমি সাইকিস্টের কাছে নিয়ে যাব । এবং কথা দিচ্ছি,আর কখনো তোকে রেখে কোথাও যাব না
ততক্ষনে নীরা হাতে তুলে নিয়েছে বটি । বটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে,দীর্ঘ দিন যাবৎ কেউ এটাকে দাড়ালো করছে । চকচকে দাড়ালো বটি হাতে নীরা রাতুলের দিকে এগিয়ে আসছে । রাতুল এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীরার দিকে.........
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×