somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে মতপ্রকাশে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।। একজন অপরাধী চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করছে তাই বলে কি মাংস কাটার জন্য চাপাতি তৈরী করা বন্ধ হয়ে যাবে। কখনই না....

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইচ্ছা করলেই এতদিন বিকল্প মাধ্যমে ফেচবুকে আসতে পারতাম কিন্তু ইচ্ছে করেই এতদিন বিকল্প মাধ্যম ব্যাবহার করিনি।
কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হলাম সরকার ফেচবুককে ভয় পাই কারন ফেচবুক হলো মানুষের নিজের মতপ্রকাশের একটি বড় ধরনের প্লাটফর্ম যে প্লাটফর্মে সরকারের বিপহ্মে বেশি সমালোচনা বেশি হয়। আর এই কারনেই আজ বাংলাদেশে মতপ্রকাশে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।

মূল বিষয় সমালোচনার পরিধি যেমনই হোক সেটা সত্য না মিথ্যা সেটা যাচাই করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় নিজের মত প্রকাশ করতে হলে টাকা দেওয়া লাগে কিন্তু ফেচবুকে কোন টাকা ছাড়া স্বাধীনভাবে নিজের কথা তুলে ধরাটা যেনো সরকার কোন ভাবেই গ্রহন করতে পারছে না।

ফেচবুকে যারা violence সৃষ্টি করে তাদেরকে শাস্তি দিন কিন্তু তাই বলে ফেচবুক বন্ধ করে রাখাটা মটেও কাম্য নয়।
একজন অপরাধী চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করছে তাই বলে কি মাংস কাটার জন্য চাপাতি তৈরী করা বন্ধ হয়ে যাবে। কখনই না....

মূল বিষয় হলো অপরাধীদের ধরুন এবং শাস্তি দিন।
অপরাধীদের কাজ অবৈধ পিস্তল দিয়ে মানুষ হত্যা করা কিন্তু তাই বলে কি কখনো অস্ত্র তৈরীর কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে...।

এটা একটা সিম্পল ব্যাপার যে, "ফেচবুক বন্ধ করার সাথে জনগনের নিরাপত্তার কোন সম্পর্ক নেই।"
ব্যার্থতা এটাই যে, "মূল-অপরাধীদের ধরতে না পারা"

আমরা জানি যে, যুদ্ধপরাধীদের ফাসি দেওয়ার জন্য ফেচবুক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের যে মানুষটি যুদ্ধপরাধীর বিচার চাই না সেও এক প্রকার অপরাধী। তাকেও আইনের মুখোমুখি করা উচিত কিন্তু তাই বলে মত প্রকাশের মাধ্যমে তালা মারাটা কখই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না।

একটি ঘটনা ঘটলে তার পহ্মে বিপহ্মে নানা রকম মতামত আসবে- এটা সুস্থ মস্তিষ্কে গ্রহন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা সকল রাজনৈতিক দলের নৈতিক দ্বায়িত্ব হোওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×