# মনের ভাবনা লিখি। কিন্তু ফেবুতে ব্লগে আমি পপুলার ! না বিধায় আমার কথাগুলো অনেককেই জানাতে পারি না। যারা দায়িত্ব মনে করবেন তারা আমার হয়ে জানিয়ে দেবেন।।
মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) একে খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কিছু কিছু ঘটনা আগে শুনেছিলাম যা বিতর্কিত ছিল, বিশ্বাস করিনি। কিন্তু উনার লেখা ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ অনেক কিছু ক্লিয়ার হতে সাহায্য করছে।। আশা করি এমন আরো কিছু বই লিখবেন সমর যুদ্ধের সেনানীরা। আমাদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন সত্যিকারের ইতিহাস।
এই ধরনের বইগুলো ৩০-৪০ বছর পর না লিখে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যাক্ষভাবে জড়িত দায়িত্বশীল লোকজনের অনেক আগেই লেখা উচিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা এখন নতুন প্রজন্মের কাছে বিকৃত ভাবে যে যার মত করে উপস্থাপন করেছে। আমাদের জন্যে আমাদের অগ্রজরা উপহার দিয়েছেন বিকৃত ইতিহাস। যদি এইসব ঘটনা অনেক আগেই বইয়ের পাতায় স্থান পেত আমি শিউর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হত না।। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দায়িত্বশীল লোকজনের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ব্যার্থতা বলব ইতিহাসকে ঠিকভাবে তুলে না ধরা। এমনকি অনেকে আছেন যারা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে কবর দিয়েছেন নিজের দেখা বাস্তব ঘটনার। ধিক্কার!!!
শ্রদ্ধা তাদের প্রতি যারা লিখে গেছেন নিজের দেখা মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব ঘটনা। দেরীতে হলেও যারা লিখছেন তখনকার পাণ্ডুলিপি তাদের সালাম। আমাদের সাহায্য করছেন খুঁজে পেতে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের হাইজ্যাক হওয়া ইতিহাস।। প্রজন্ম, মেধা খরচ করে খুঁজে নাও তোমার ইতিহাস, যাকে বালুচরে ছুড়ে ফেলেছে নরকের কীটরা। সুন্দর প্যাকেট মুড়ে দলীয় লোগোর আড়ালে তোমাকে যা খাওয়ানো হচ্ছে তাকে বিশ্বাস করো না।। আমি খুঁজে ফিরি আমার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। ... সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।
আমি আহ্বান জানাই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা এখনও নিজের জানা ও দেখা সত্যি ঘটনা আমাদের জানাননি তাঁরা লিখে ফেলুন। ভাববেন না আমরা আপনাদের কথা শুনব না, আমরা শুনি এবং শুনবো। আমরা খুঁজে ফিরে আমাদের স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস।। আমরা ময়দানের সাহসী বীরদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চাই, কোন ভীরু যারা পালিয়ে গিয়েছিল নিজের জান বাঁচাতে, বিদেশ ফেরত চর, দালালদের কাছে না।।
ওভার এন্ড আউট।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


